ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুমেক হাসপাতালের এনএস স্যালাইন যাচ্ছে কোথায়?

  • সিন্ডিকেটের ‘আখড়া’ হেরাজ ম্যার্কেট
খুলনা বিভাগে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। শনিবার পর্যন্ত শুধুমাত্র খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু ছড়াল ২৬ হাজার ৪১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ৯৯ জনের। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দেওয়া হয় ৩ হাজার ২৮ জনকে এবং মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। মৃত্যুতে বিভাগের মধ্যে এই হাসপাতালে সর্বেঠচ্চ।
খুমেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ দাবি, হাসপাতালে আপাতত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নরমাল (এনএস) স্যালাইন সংকট নেই। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশই ডেঙ্গু রোগীরা পাচ্ছেন না এই স্যালাইন। রোগী ও স্বজনদের প্রশ্ন- সংকট না থাকলে যাচ্ছে কোথায় খুমেক হাসপাতালের এনএস স্যালাইন।
ডেঙ্গু রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে স্যালাইন তো পাই-ই না, এমনকি নাপা ট্যাবলেট ও সিরিঞ্জও বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালের মধ্যে মডেল ফার্মেসীতেও নেই এই স্যালাইন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালের সামনে ছোট-বড় সব ধরনের ফার্মেসীতে চলছে তীব্র স্যালাইন সংকট। এ কারণে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে খুলনায় পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিক্রি নামে পরিচিত বৃহত্তর হেরাজ মার্কেটে। বৃহত্তর হেরাজ মার্কেটে কতিপয় ওষুধ ব্যবসায়ী দাম হাকাচ্ছেন (এনএস-১০০০ এসএল) ১৩০-২২০ টাকা পর্যন্ত। যা এমআরপি মূল্য ৮৭ টাকা। রাত গভীর হলে দাম এর চেয়ে আরও বেড়ে যায়। অসাধু সিন্ডিকেট এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত কয়েকদিনে খুমেক হাসপাতালে একাধিক ডেঙ্গু রোগীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী (ছদ্মনাম) রুহুল আমিন (১২)। গত গত ৩১ অক্টোবর খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার মা আমেনা বলেন, এই পর্যন্ত হাসপাতালে কোন স্যালাইন দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত মোট ১১টি স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছোট স্যালাইন কিনছেন হাসপাতালের সামনে থেকে ৯৮ টাকায়। এছাড়া বড় (১০০০ এমএল ) ১০ কিনতে হয়েছে হেরাজ মার্কেট থেকে। তিনি বলেন, ওই মার্কেটে হেনা ফার্মেসী থেকে বড় নরমাল স্যালাইনের একটির দাম নিছে ১৮০ টাকা এবং হাসান ফার্মেসী থেকে দাম নিছে ১৩০ টাকা। দুই দোকান থেকে মোট ১০ টা স্যালাইন নেওয়া হইছে। তার স্বামী একজন রিক্সা চালক। দাম বেশি  নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানীরা বলে স্যালাইন সংকট, নিলে নেন না নিলে বাদ দেন।
অপর রোগী মা ও মেয়ে দুইজনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। গত ২ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে কোন স্যালাইন পাননি। সব বাইরে থেকে ম্যানেজ করা লাগছে। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন পায়নি। তিনি বলেন, আমার হাসপাতালের ওষুথ দরকার নেই। অনন্ত হাসপাতালের বাথরুমটা যেনো একটু পরিষ্কার থাকলেই হবে। তাও নেই। বাথরুমে ঢুকলে বমি চলে আসে। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
একই অভিযোগ করেন, (ছদ্মনাম ) নাছিমা । তার স্বামী বলেন, ভর্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীর জন্য স্যালাইন তো দুরের থাক। নাপা ট্যাবলেট পর্যন্ত বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। এমনকি সিরিঞ্জও।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দেশে এবার অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কারণে স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট কারসাজি ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে স্যালাইন। খুলনায় বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট কতিপয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা মজুদ করে অতিরিক্ত অর্থ বাণিজ্য করছেন। এর মধ্যে হেনা ফার্মেসী, হাসান ফামেসী, রূপ ফার্মা অন্যতম। এছাড়া ওই মার্কেটে স্কয়ার ট্রেডিং (ভেটেনারী  মেডিসিন দোকান) ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে নরমাল স্যালাইন বিক্রি করছেন। যা আইনগত অপরাধ। কারণ ওই দোকানে শুধু পশু-পাখিদের ওষুধ বিক্রির অনুমোদন দেওয়া আছে। সাধারণ মানুষের ওষুধ বিক্রির অনুমোদন নেই।
খুমেক হাসপাতালের নবাগত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মো: হুসাইন সাফায়াত শনিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে আপাতত নরমাল স্যালাইন সংকট নেই বলে জানতে পেরেছি। হাসপাতালে সব ডেঙ্গু রোগীরা স্যালাইন পাাচ্ছে না, এমন কোন সংবাদ কেউ আমাকে জানায়নি। তিনি বলেন, নরমাল স্যালাইন থেকে শুরু করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ওষুধ সাপ্লাই আছে বলে আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু রোগীরা কেনো পাচ্ছে না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
খুলনা নগরীর বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো: রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সুজা বলেন, আমার সভাপতি দেশের বাইরে থাকায় আমি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, এমআরপি বাদে নরমাল স্যালাইন যাতে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি না করে সে জন্য নোটিশও জারি করেছি। তবে এনএস স্যালাইন সংকটের কারণে কিছু ওষুধ দোকানীরা রোগীদের স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বেশি দামে নরমাল স্যালাই কিনে আনছেন। সে অনুযায়ী দাম একটু বেশি নিতে পারে। তাও ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু এর চেয়ে কেউ বেশি নিতে পারেন না। কেউ যদি অতিরিক্ত দামে নরমাল স্যালাইন বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগরীর শান্তিধাম মোড়স্থ নিউ দীলিপ ফার্মেসিতে ৮৭ টাকার এনএস স্যালাইন ২০০ টাকায় বিক্রি করায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তার সুত্র জানায়, এ প্রতিষ্ঠানে ওষুধের মোড়কে দাম কেটে বর্ধিত দাম বসানো এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান’স স্যাম্পল বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
ট্যাগস :

খুমেক হাসপাতালের এনএস স্যালাইন যাচ্ছে কোথায়?

আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
  • সিন্ডিকেটের ‘আখড়া’ হেরাজ ম্যার্কেট
খুলনা বিভাগে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। শনিবার পর্যন্ত শুধুমাত্র খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু ছড়াল ২৬ হাজার ৪১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ৯৯ জনের। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দেওয়া হয় ৩ হাজার ২৮ জনকে এবং মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। মৃত্যুতে বিভাগের মধ্যে এই হাসপাতালে সর্বেঠচ্চ।
খুমেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ দাবি, হাসপাতালে আপাতত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নরমাল (এনএস) স্যালাইন সংকট নেই। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশই ডেঙ্গু রোগীরা পাচ্ছেন না এই স্যালাইন। রোগী ও স্বজনদের প্রশ্ন- সংকট না থাকলে যাচ্ছে কোথায় খুমেক হাসপাতালের এনএস স্যালাইন।
ডেঙ্গু রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে স্যালাইন তো পাই-ই না, এমনকি নাপা ট্যাবলেট ও সিরিঞ্জও বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালের মধ্যে মডেল ফার্মেসীতেও নেই এই স্যালাইন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালের সামনে ছোট-বড় সব ধরনের ফার্মেসীতে চলছে তীব্র স্যালাইন সংকট। এ কারণে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে খুলনায় পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিক্রি নামে পরিচিত বৃহত্তর হেরাজ মার্কেটে। বৃহত্তর হেরাজ মার্কেটে কতিপয় ওষুধ ব্যবসায়ী দাম হাকাচ্ছেন (এনএস-১০০০ এসএল) ১৩০-২২০ টাকা পর্যন্ত। যা এমআরপি মূল্য ৮৭ টাকা। রাত গভীর হলে দাম এর চেয়ে আরও বেড়ে যায়। অসাধু সিন্ডিকেট এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত কয়েকদিনে খুমেক হাসপাতালে একাধিক ডেঙ্গু রোগীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী (ছদ্মনাম) রুহুল আমিন (১২)। গত গত ৩১ অক্টোবর খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার মা আমেনা বলেন, এই পর্যন্ত হাসপাতালে কোন স্যালাইন দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত মোট ১১টি স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছোট স্যালাইন কিনছেন হাসপাতালের সামনে থেকে ৯৮ টাকায়। এছাড়া বড় (১০০০ এমএল ) ১০ কিনতে হয়েছে হেরাজ মার্কেট থেকে। তিনি বলেন, ওই মার্কেটে হেনা ফার্মেসী থেকে বড় নরমাল স্যালাইনের একটির দাম নিছে ১৮০ টাকা এবং হাসান ফার্মেসী থেকে দাম নিছে ১৩০ টাকা। দুই দোকান থেকে মোট ১০ টা স্যালাইন নেওয়া হইছে। তার স্বামী একজন রিক্সা চালক। দাম বেশি  নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানীরা বলে স্যালাইন সংকট, নিলে নেন না নিলে বাদ দেন।
অপর রোগী মা ও মেয়ে দুইজনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। গত ২ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে কোন স্যালাইন পাননি। সব বাইরে থেকে ম্যানেজ করা লাগছে। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন পায়নি। তিনি বলেন, আমার হাসপাতালের ওষুথ দরকার নেই। অনন্ত হাসপাতালের বাথরুমটা যেনো একটু পরিষ্কার থাকলেই হবে। তাও নেই। বাথরুমে ঢুকলে বমি চলে আসে। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
একই অভিযোগ করেন, (ছদ্মনাম ) নাছিমা । তার স্বামী বলেন, ভর্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীর জন্য স্যালাইন তো দুরের থাক। নাপা ট্যাবলেট পর্যন্ত বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। এমনকি সিরিঞ্জও।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দেশে এবার অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কারণে স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট কারসাজি ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে স্যালাইন। খুলনায় বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট কতিপয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা মজুদ করে অতিরিক্ত অর্থ বাণিজ্য করছেন। এর মধ্যে হেনা ফার্মেসী, হাসান ফামেসী, রূপ ফার্মা অন্যতম। এছাড়া ওই মার্কেটে স্কয়ার ট্রেডিং (ভেটেনারী  মেডিসিন দোকান) ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে নরমাল স্যালাইন বিক্রি করছেন। যা আইনগত অপরাধ। কারণ ওই দোকানে শুধু পশু-পাখিদের ওষুধ বিক্রির অনুমোদন দেওয়া আছে। সাধারণ মানুষের ওষুধ বিক্রির অনুমোদন নেই।
খুমেক হাসপাতালের নবাগত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মো: হুসাইন সাফায়াত শনিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে আপাতত নরমাল স্যালাইন সংকট নেই বলে জানতে পেরেছি। হাসপাতালে সব ডেঙ্গু রোগীরা স্যালাইন পাাচ্ছে না, এমন কোন সংবাদ কেউ আমাকে জানায়নি। তিনি বলেন, নরমাল স্যালাইন থেকে শুরু করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ওষুধ সাপ্লাই আছে বলে আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু রোগীরা কেনো পাচ্ছে না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
খুলনা নগরীর বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো: রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সুজা বলেন, আমার সভাপতি দেশের বাইরে থাকায় আমি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, এমআরপি বাদে নরমাল স্যালাইন যাতে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি না করে সে জন্য নোটিশও জারি করেছি। তবে এনএস স্যালাইন সংকটের কারণে কিছু ওষুধ দোকানীরা রোগীদের স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বেশি দামে নরমাল স্যালাই কিনে আনছেন। সে অনুযায়ী দাম একটু বেশি নিতে পারে। তাও ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু এর চেয়ে কেউ বেশি নিতে পারেন না। কেউ যদি অতিরিক্ত দামে নরমাল স্যালাইন বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগরীর শান্তিধাম মোড়স্থ নিউ দীলিপ ফার্মেসিতে ৮৭ টাকার এনএস স্যালাইন ২০০ টাকায় বিক্রি করায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তার সুত্র জানায়, এ প্রতিষ্ঠানে ওষুধের মোড়কে দাম কেটে বর্ধিত দাম বসানো এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান’স স্যাম্পল বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।