প্রতিনিধির নাম 
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়ছে
খুলনায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে পুলিশের ধরপাকড়। গ্রেপ্তার হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কারাগারে বাড়ছে বন্দির চাপ। ৬০৮ বন্দি ধারণ ক্ষমতার খুলনা জেলা কারাগারে বুধবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত বন্দির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৭০ জন। এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
খুলনা জেলা কারাগারে থাকা বন্দির স্বজনরা জানান, কারাগারে থাকা-খাওয়া, গোসল সবকিছুতেই গাদাগাদি অবস্থা। মশার উৎপাত, নিম্নমানের খাবার অনেকেই খেতে পারছেন না। সামনে শীত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
কারাবিধি অনুযায়ী একজন বন্দির জন্য কারাগারে ৩৬ বর্গ ফুট জায়গা বরাদ্দ থাকার কথা। কিন্তু খুলনা জেলা কারাগারে সেই জায়গায় এখন থাকছেন ৩-৪ জন বন্দি। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, খুলনা জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৬০৮ জনের। এখানে ৫৯০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী থাকার কথা। কিন্তু সেখানে পুরুষ বন্দি আছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন এবং নারী ৩৫ জন।
গত ১৪ দিনে খুলনা মহানগরী ও জেলায় কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন সেই তথ্য পুলিশের কাছে পাওয়া যায়নি। তবে খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের দাবি, গত ২৬ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নগর ও থানা পর্যায়ে তাদের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। জামায়াতের গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও অর্ধশত।
থানা থেকে আদালতে পাঠানো নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১৪ দিনে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের ৯০ শতাংশই নাশকতার মামলার আসামি। নিয়মিত ও মাদক মামলার আসামি কম।
কারাবন্দি সিরাজুল ইসলামের স্বজন সেলিনা বেগম জানান, দিনের বেলা বন্দিরা সেলের বাইরে থাকতে পারলেও রাতে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। গোসলের পানি, টয়লেট সবকিছুতে সমস্যা হচ্ছে।
খুলনা কারাগারের জেলার এ জি মাহমুদ বলেন, ‘বন্দি কিছুটা বাড়লেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। সব বন্দিকে কারাবিধি অনুযায়ী পরিমাণমতো খাবার ও অন্য সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’
খুলনার জেল সুপার রফিকুল কাদের বলেন, বন্দি কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো।
