বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

প্রচ্ছদ /

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি

গোয়ালন্দের পদ্মায় জেলের জালে ৩৬ কেজির বাগাড়, অর্ধ লক্ষ টাকায় বিক্রি

Add Your Heading Text Here

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জেলে আঃ মাজেদ হলদারের জালে ৩৬ কেজি ওজনের ১টি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ৫০ হাজার ৪ শ টাকায় ঢাকার এক ব্যাবসায়ীর কাছে বিক্রি হয়।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬ টার দিকে এ মাছটি ধরা পরে। পরে মাছটি দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত আনোয়ার খাঁর মাছের আড়ত থেকে নিলামে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান শেখ ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৬ হাজার ৮০০ টাকায় কিনে নেন।

দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরি ঘাট এলাকার মাছ ব্যাবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, মাছটি আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করি।মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভীড় করে। এরপর বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঢাকার এক ব্যাবসায়ী ১হাজার ৪ শ টাকা কেজি দরে মোট ৫০ হাজার ৪ শ টাকায় কিনে নেন বলে তিনি জানান।

জেলে আঃ মাজেদ হালদার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় হতাশ ছিলাম।নদীতে পানি কমায় অনেক দিন পর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেললে ৩৬ কেজি ওজনের এই বাগাড় মাছটি ধরা পরে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে আঃ মাজেদ হলদার ও তার দল পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। দীর্ঘক্ষণ কোন মাছ নাা পাওয়ায় তারা হতাশ হন। পরে তারা বাড়ি ফিরে যাবার মনস্থীর করে শেষবারের মতো মনে করে নদীতে জাল ফেলেন। জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার সময় কয়েকবার বড় ঝাকি দিলে তখনই বুঝতে পারেন বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি বাগাড় মাছ। পরে মাছটি সকাল ৭ টার দিকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আড়তদার আনোয়ার খাঁর মাছের আড়তে। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি কমছে । নদীতে পানি কমলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরো বেশি পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে তিনি জানান।

ট্যাগঃ

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়