ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায়ে গৃহবধূর যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায়ে চান্দগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় এক গৃহবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম নাসিমা বেগম। সে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকার বাবর আলীর স্ত্রী। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে পুকুরে ফেলে সাত বছরের এতিম শিশু নিশি সুলতানা হত্যা মামলার ঘটনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার (৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জসিম উদ্দিন এ রায় দেন। রায়ের বিষয় নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য এই প্রতিবেদককে  বলেন, চান্দগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় নাসিমা বেগম নামের এক গৃহিণীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, শিশু নিশি সুলতানার বাবা-মা ছিল না। নগরীর খুলশীতে চাচা ফারুকের বাসায় থাকতেন। ২০১০ সালে ফারুকের বাসায় একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। নিশি মোবাইল চোরকে দেখে ফেলেন এবং বিষয়টি চাচাকে জানিয়ে দেন। ফোনটি চুরি করেন পাশের বাসার নাসিমা বেগম। এতে নিশির প্রতি ক্ষুব্ধ হন নাসিমা। পরে নিশিকে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে কাপ্তাই এলাকায় একটি পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নাসিমা। এতে পুকুরের পানিতে ডুবে নিশি মারা যায়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় মামলা হয়। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিমাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর নাসিমা পুকুরে ফেলে নিশিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ নাসিমা বেগমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বিচারে আদালত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
ট্যাগস :

চট্টগ্রামে শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায়ে গৃহবধূর যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
চট্টগ্রামে শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায়ে চান্দগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় এক গৃহবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম নাসিমা বেগম। সে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকার বাবর আলীর স্ত্রী। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে পুকুরে ফেলে সাত বছরের এতিম শিশু নিশি সুলতানা হত্যা মামলার ঘটনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার (৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জসিম উদ্দিন এ রায় দেন। রায়ের বিষয় নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য এই প্রতিবেদককে  বলেন, চান্দগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় নাসিমা বেগম নামের এক গৃহিণীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, শিশু নিশি সুলতানার বাবা-মা ছিল না। নগরীর খুলশীতে চাচা ফারুকের বাসায় থাকতেন। ২০১০ সালে ফারুকের বাসায় একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। নিশি মোবাইল চোরকে দেখে ফেলেন এবং বিষয়টি চাচাকে জানিয়ে দেন। ফোনটি চুরি করেন পাশের বাসার নাসিমা বেগম। এতে নিশির প্রতি ক্ষুব্ধ হন নাসিমা। পরে নিশিকে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে কাপ্তাই এলাকায় একটি পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নাসিমা। এতে পুকুরের পানিতে ডুবে নিশি মারা যায়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় মামলা হয়। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিমাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর নাসিমা পুকুরে ফেলে নিশিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ নাসিমা বেগমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বিচারে আদালত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।