ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডুবোচর ও নাব্যতা সংকটে ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময়

ফিরোজ আহম্মেদ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে পানি কমে নাব্যতা সংকট ও নদীতে বিভিন্ন অংশে দেখে দিয়েছে ছোট বড় ডুবোচর। এতে ছোট বড় যে সকল ফেরি রয়েছে তাদেরকে নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিপথ ঘুরে চলাচল করছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দিগুণ সময় বেশি লাগছে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গেলো বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেরি চলাচলের জন্য নির্ধারিত চ্যানেল গুলোতে পলি জমে অনেকটা ভরাট ও সরু হয়ে গেছে। এতে করে বর্ষার শেষে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন ছোট-বড় অনেক ডুবোচর জেগে উঠছে। পাশাপাশি পানির গভীরতা কমে গিয়ে এখন নদী ও ফেরির চ্যানেলে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে যে সকল রো রো (বড়) ফেরি রয়েছে তা চলাচলের জন্য কমপক্ষে আট ফুট গভীরতা প্রয়োজন থাকলেও তার তুলনায় চ্যানেল গুলোতে গভীরতা কম থাকায় ফেরি গুলোকে অনেকটা বাড়তি পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে।তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন চ্যানেলে ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চালাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের কর্মীরা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাটে এসে ভেড়েন “ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্রমল্লিকা”। এসময় গাড়ি থেকে নামছিলেন কুষ্টিয়া গামী একটি প্রাইভেট কার। গাড়ির চালক জহুরুল ইসলাম হালিম বলেন, নদীতে যখন পানি বেশি ও অনেক স্রোত ছিল তখন পারাপার হতে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগতো। এখন নদীতে পানি কম ও সেইসাথে স্রোত নাই।
এখন সোজাসুজি পারাপার হলে সময় লাগার কথা ২০-২৫ মিনিট। কিন্তু ফেরি ঘুরে চলাচল করায় এখন সময় লাগে ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট। দ্রুত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সোজাসুজি চ্যানেল করে ফেরি চলাচল করার অনুরোধ জানান তিনি।

বিআইডাব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আক্কাছ আলী  বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলের চ্যানেলে পলি জমায় নাব্যতা সংকট তৈরি হয়েছে, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ চালাচ্ছি,  আশা করি নাব্যতা সংকট দূর হয়ে ফেরি চলাচলে ভোগান্তি নিরসনে হবে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের  ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সার্ভিস কিছুটা  ব্যাহত হচ্ছে। ছোট-বড় সব ফেরি এখন নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে দুই কিলোমিটার ভাটিপথে দিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে, যার কারনে একটি ফেরিকে সাধারণ সময়ের থেকেও অতিরিক্ত সময় লাগছে। ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ করা হচ্ছে।আশাকরি অতি শীঘ্রই নাব্যতা সংকট দূর হয়ে ফেরি পারাপারে সময় কম লাগবে।

ট্যাগস :

ডুবোচর ও নাব্যতা সংকটে ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময়

আপডেট সময় : ০৫:১৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

ফিরোজ আহম্মেদ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে পানি কমে নাব্যতা সংকট ও নদীতে বিভিন্ন অংশে দেখে দিয়েছে ছোট বড় ডুবোচর। এতে ছোট বড় যে সকল ফেরি রয়েছে তাদেরকে নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিপথ ঘুরে চলাচল করছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দিগুণ সময় বেশি লাগছে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গেলো বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেরি চলাচলের জন্য নির্ধারিত চ্যানেল গুলোতে পলি জমে অনেকটা ভরাট ও সরু হয়ে গেছে। এতে করে বর্ষার শেষে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন ছোট-বড় অনেক ডুবোচর জেগে উঠছে। পাশাপাশি পানির গভীরতা কমে গিয়ে এখন নদী ও ফেরির চ্যানেলে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে যে সকল রো রো (বড়) ফেরি রয়েছে তা চলাচলের জন্য কমপক্ষে আট ফুট গভীরতা প্রয়োজন থাকলেও তার তুলনায় চ্যানেল গুলোতে গভীরতা কম থাকায় ফেরি গুলোকে অনেকটা বাড়তি পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে।তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন চ্যানেলে ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চালাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের কর্মীরা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাটে এসে ভেড়েন “ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্রমল্লিকা”। এসময় গাড়ি থেকে নামছিলেন কুষ্টিয়া গামী একটি প্রাইভেট কার। গাড়ির চালক জহুরুল ইসলাম হালিম বলেন, নদীতে যখন পানি বেশি ও অনেক স্রোত ছিল তখন পারাপার হতে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগতো। এখন নদীতে পানি কম ও সেইসাথে স্রোত নাই।
এখন সোজাসুজি পারাপার হলে সময় লাগার কথা ২০-২৫ মিনিট। কিন্তু ফেরি ঘুরে চলাচল করায় এখন সময় লাগে ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট। দ্রুত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সোজাসুজি চ্যানেল করে ফেরি চলাচল করার অনুরোধ জানান তিনি।

বিআইডাব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আক্কাছ আলী  বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলের চ্যানেলে পলি জমায় নাব্যতা সংকট তৈরি হয়েছে, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ চালাচ্ছি,  আশা করি নাব্যতা সংকট দূর হয়ে ফেরি চলাচলে ভোগান্তি নিরসনে হবে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের  ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সার্ভিস কিছুটা  ব্যাহত হচ্ছে। ছোট-বড় সব ফেরি এখন নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে দুই কিলোমিটার ভাটিপথে দিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে, যার কারনে একটি ফেরিকে সাধারণ সময়ের থেকেও অতিরিক্ত সময় লাগছে। ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ করা হচ্ছে।আশাকরি অতি শীঘ্রই নাব্যতা সংকট দূর হয়ে ফেরি পারাপারে সময় কম লাগবে।