ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জ থেকে খালি করতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা, একজন মৃত পুলিশেকে চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছে। যার ভিডিও আমরা সবাই দেখেছি। আড়াইহাজারে এক পুলিশ ভাইকে কোপানো হলো। তাকে যখন ভ্যান গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, তখনও তার উপর হামলা করা হলো। যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করতে পারে, পুলিশকে কোপাতে পারে, সাংবাদিক ভাইদের কিভাবে পেটানো হলো আমরা সবাই দেখলাম। এত কিছুর পরেও আমরা ধৈর্য ধরেছি। একদিকে জামাত একদিকে বিএনপি। ওরা দুই দিক থেকে এই কাজ গুলো করেছে। আল্লাহকে স্মরণ করে বলতে চাচ্ছি। শেখ হাসিনা কাউকে ভয় করেন না। কারণ তিনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন। ওরা যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে নাকে খত দিয়ে আসবে। সারা দেশের মানুষের কাছে এখন ওদের মুখোশ উম্মোচন হয়ে গেছে। কাকে না কাকে ধরে বাইডেনের উপদেষ্টা বানায় দিলো। ওরা কতটা ভুয়া।
আগামী ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহা সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত নম পার্কে আয়োজিত এক প্রস্ততি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি সভাপতি আছে। বার বার দল পরিবর্তন করেছে। অন্য কোন দল আছে কিনা খবর নেন। সেখানেও যোগ দিতে পারে। তৃণমুল বিএনপিতে যাবে না, তৈমুর আলম খন্দকার লাথি মেরে বের করে দিবে।
বিএনপির সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, ওদের কি দৈন্য দশা অবস্থা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নারায়ণগঞ্জে আসে, আর তার সঙ্গে থাকে ৯-১০ জন নেতাকর্মী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নো, আমরা কোন ভায়োলেন্স করবো না।’ এরা ক্ষমতায় না থেকে এত কিছু করতে পারলে, ক্ষতায় গেলে কি করবে একবার ভেবে দেখুন; যদিও তারা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ওরা আর কিছুদিন পর হায়নার রূপ নিবে। লাশ ফেলা শুরু করবে। বিএনপির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জে যা করেছেন, ব্যাস শেষ। আর কইরেন না। আপনারা পুলিশ পেটাবেন, জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন, মহিলাদের শাড়ি খুলে ফেলবেন; আপনাদের কি বাড়ি ঘর নাই। জনগণ ক্ষেপে গেলে আপনাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে খালি করতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না।
মহা সমাবেশ প্রস্ততির বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আগামী ৪ তারিখ সম্ভবত নির্বাচনের আগে আমাদের শেষ বৃহত্তর জনসভা হবে। প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলছিলাম, আমরা যারা নারায়ণগইঞ্জা আছি; আমাদের একটা সুযোগ দেন। তিনি বলেছেন, আমি জানি তোমরা পারবা। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবো। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও বন্দর; এই তিন উপজেলার জন্য আমরা ট্রেন ভাড়া করেছি। আমরা এই জনসভা স্বতস্ফুর্ত ভাবে করবো। সেইদিন আমরা আমাদের সর্বচ্চ জমায়েতটা সেদিন করতে চাই। এই সমাবেশ দেখার পরে বিদেশিরা হয়তো কথা বরা বন্ধ করে দিবে। আপনারা সেইদিন একটু কষ্ট করে ১টার মধ্যে সেখানে থাকার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, আমি কালকে নাও থাকতে পারি। ওরা আমাকে খুঁজে। আমি না থাকলেও ৪তারিখের সমাবেশ যাতে সফল হয়। ওইদিন সবাই সাদা পরবেন। কারণ সাদা শান্তির প্রতিক। নিশ্চিন্ত থাকেন আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওরা কেউ থাকবে না। ইতিমধ্যে ওরা অনেকে চায় যাতে আমরা ওদের আলোচনার জন্য ডাকি, সরমে বলতে পারে না। নেত্রী বলেছে, যেদিন ডোনাল ট্রাম্প আর বাইডেল আলোচনায় বসবে; সেদিন আমরা আলোচনায় বসবো।
তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমান করতে চাই, নারায়ণগঞ্জে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা যদি সবাই একসাথে যাই, তাহলে লক্ষাধী লোক আমরা জমায়েত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। দুপুর দুইটার মধ্যে যাতে আমরা সমাবেশস্থলে পৌছাতে পারি সেরকম ভাবে প্রস্ততি নিবো।
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে শাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আগামী ৮ তারিখ থেকে আমরা মানুষের সাথে কথা বলা শুরু করবো। রাত ১০টা পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। দুপুরো কারো একজনের বাসায় ভাত খেয়ে ফেলবোনে। আমারে শুধু একটু হাটার ব্যবস্থা করে দিবেন। নো সেলফি, আমি শুধু মানুষের সাথে কথা বলবো। সেদিন যাতে আশেপাশে কোন হাইব্রীড নেতা না থাকে। যাদের সিএস, আরএস, এসএ পরচা আছে আমরা এই কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহাসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস :

নারায়ণগঞ্জ থেকে খালি করতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না : শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা, একজন মৃত পুলিশেকে চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছে। যার ভিডিও আমরা সবাই দেখেছি। আড়াইহাজারে এক পুলিশ ভাইকে কোপানো হলো। তাকে যখন ভ্যান গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, তখনও তার উপর হামলা করা হলো। যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করতে পারে, পুলিশকে কোপাতে পারে, সাংবাদিক ভাইদের কিভাবে পেটানো হলো আমরা সবাই দেখলাম। এত কিছুর পরেও আমরা ধৈর্য ধরেছি। একদিকে জামাত একদিকে বিএনপি। ওরা দুই দিক থেকে এই কাজ গুলো করেছে। আল্লাহকে স্মরণ করে বলতে চাচ্ছি। শেখ হাসিনা কাউকে ভয় করেন না। কারণ তিনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন। ওরা যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে নাকে খত দিয়ে আসবে। সারা দেশের মানুষের কাছে এখন ওদের মুখোশ উম্মোচন হয়ে গেছে। কাকে না কাকে ধরে বাইডেনের উপদেষ্টা বানায় দিলো। ওরা কতটা ভুয়া।
আগামী ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহা সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত নম পার্কে আয়োজিত এক প্রস্ততি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি সভাপতি আছে। বার বার দল পরিবর্তন করেছে। অন্য কোন দল আছে কিনা খবর নেন। সেখানেও যোগ দিতে পারে। তৃণমুল বিএনপিতে যাবে না, তৈমুর আলম খন্দকার লাথি মেরে বের করে দিবে।
বিএনপির সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, ওদের কি দৈন্য দশা অবস্থা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নারায়ণগঞ্জে আসে, আর তার সঙ্গে থাকে ৯-১০ জন নেতাকর্মী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নো, আমরা কোন ভায়োলেন্স করবো না।’ এরা ক্ষমতায় না থেকে এত কিছু করতে পারলে, ক্ষতায় গেলে কি করবে একবার ভেবে দেখুন; যদিও তারা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ওরা আর কিছুদিন পর হায়নার রূপ নিবে। লাশ ফেলা শুরু করবে। বিএনপির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জে যা করেছেন, ব্যাস শেষ। আর কইরেন না। আপনারা পুলিশ পেটাবেন, জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন, মহিলাদের শাড়ি খুলে ফেলবেন; আপনাদের কি বাড়ি ঘর নাই। জনগণ ক্ষেপে গেলে আপনাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে খালি করতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না।
মহা সমাবেশ প্রস্ততির বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আগামী ৪ তারিখ সম্ভবত নির্বাচনের আগে আমাদের শেষ বৃহত্তর জনসভা হবে। প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলছিলাম, আমরা যারা নারায়ণগইঞ্জা আছি; আমাদের একটা সুযোগ দেন। তিনি বলেছেন, আমি জানি তোমরা পারবা। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবো। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও বন্দর; এই তিন উপজেলার জন্য আমরা ট্রেন ভাড়া করেছি। আমরা এই জনসভা স্বতস্ফুর্ত ভাবে করবো। সেইদিন আমরা আমাদের সর্বচ্চ জমায়েতটা সেদিন করতে চাই। এই সমাবেশ দেখার পরে বিদেশিরা হয়তো কথা বরা বন্ধ করে দিবে। আপনারা সেইদিন একটু কষ্ট করে ১টার মধ্যে সেখানে থাকার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, আমি কালকে নাও থাকতে পারি। ওরা আমাকে খুঁজে। আমি না থাকলেও ৪তারিখের সমাবেশ যাতে সফল হয়। ওইদিন সবাই সাদা পরবেন। কারণ সাদা শান্তির প্রতিক। নিশ্চিন্ত থাকেন আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওরা কেউ থাকবে না। ইতিমধ্যে ওরা অনেকে চায় যাতে আমরা ওদের আলোচনার জন্য ডাকি, সরমে বলতে পারে না। নেত্রী বলেছে, যেদিন ডোনাল ট্রাম্প আর বাইডেল আলোচনায় বসবে; সেদিন আমরা আলোচনায় বসবো।
তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমান করতে চাই, নারায়ণগঞ্জে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা যদি সবাই একসাথে যাই, তাহলে লক্ষাধী লোক আমরা জমায়েত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। দুপুর দুইটার মধ্যে যাতে আমরা সমাবেশস্থলে পৌছাতে পারি সেরকম ভাবে প্রস্ততি নিবো।
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে শাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আগামী ৮ তারিখ থেকে আমরা মানুষের সাথে কথা বলা শুরু করবো। রাত ১০টা পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। দুপুরো কারো একজনের বাসায় ভাত খেয়ে ফেলবোনে। আমারে শুধু একটু হাটার ব্যবস্থা করে দিবেন। নো সেলফি, আমি শুধু মানুষের সাথে কথা বলবো। সেদিন যাতে আশেপাশে কোন হাইব্রীড নেতা না থাকে। যাদের সিএস, আরএস, এসএ পরচা আছে আমরা এই কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহাসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।