ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পুষ্টিহীনতার কারণে ভূগান্তিতে স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্তের মানুষ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

আয়ের সঙ্গে ব্যয়কে সঙ্গতি রেখে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হওয়ার কারণে মানুষের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে যা মানুষের নানান ব্যধিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানুষ নীরব দুর্ভিক্ষের যাতনায় আছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের জীবন কঠিনতম খাদ্য সংগ্রামে অতিষ্ঠ  হয়ে উঠেছে। সস্তা খাবার আর দামী খাবারের বিভাজন নয় বরং কিনে খেয়ে বাঁচার প্রশ্নই এখন বড়। পূর্বে বিকল্প সস্তা খাদ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ ছিল। বর্তমানে উচ্চ দামের কাছে দম হয়ে সংকীর্ণ পরিসরে কেনা অর্থাৎ এক কেজির স্থলে আড়াইশত গ্রাম, ফলে কম খেয়ে আয়ের সাথে ব্যয় মিলাতে গিয়ে পক্ষান্তরে মানুষ পুষ্টি থেকেই সরে পড়ছেন। শাক সবজি কিনার পর মাছ বা ডিম কেনার টাকা থাকে না।  বেশি করে  আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান। এখন আলুর দাম ভাতের চেয়ে বেশি। গরীবের আলু বর্তাতেও  শকুনের চোখ পড়েছে। বাজারের ব্যাগ হাতে মানে বিশাল একটা চাপ মাথায় নেয়া। প্রত্যাশিত বাজার হতে সংকোচিত বাজারের প্রতিক্রিয়া পুষ্টিহীনতার সৃষ্টি হতে পারে। আজকের শিশু আগামী দিনের কান্ডারী এবং এরাই দেশের সম্পদ। সুতরাং ঊর্ধ্বগামী বাজার কে বিভিন্ন সিন্ডিকেট থেকে রক্ষা করে অসৎ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এখনই উপযুক্ত সময়। এছাড়াও ভেজাল খাবারে কারণে ইতোমধ্যে মানুষ বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ছে। এক্ষেত্রে সার ও ফরমালিন যুক্ত খাবারে পুষ্টি ঘাটতি যোগে মানব স্বাস্থ্যের ভয়াবহতা বয়ে আনতে পারে। এমনেতেই আমাদের দেশের মানুষের স্বাস্থবিধি ও পুষ্টি জ্ঞানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।  ইনঅর্গানিক খাদ্যে মানুষের রোগের ব্যাপকতা লক্ষনীয়ভাবে পরিলক্ষিত। অর্গানিক খাদ্যের পরিসর কমে ইনঅর্গানিক খাদ্যের পরিসর নাই বললেই চলে। সব কিছুই আজকাল ফার্মিং আর প্যাকেটিং। অল্প সময়ে অধিক লাভের জন্য রাসায়নিক খাবার খাইয়ে অধিক বড় করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা অনৈতিকতার পথ বেছে নেয়। আমরাও ফার্মিং খাবারে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। ন্যাচারাল খাবার থেকে সরে গিয়ে বিষাক্ত খাবার খেতে শুরু করেছি। মাছের জন্য ফিসারি, গরুতে ডেইরি, পল্ট্রি ইত্যাদি সব কিছুই ভেজালে মানুষের অনৈতিকতার ছুঁয়া। তাই পুষ্টির প্রশ্নে গণসচেতনতা বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর দ্রব্যমূল্যের সময়ে ভীষণ দাবি রাখে।

ট্যাগস :

পুষ্টিহীনতার কারণে ভূগান্তিতে স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্তের মানুষ

আপডেট সময় : ০৫:১৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

আয়ের সঙ্গে ব্যয়কে সঙ্গতি রেখে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হওয়ার কারণে মানুষের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে যা মানুষের নানান ব্যধিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানুষ নীরব দুর্ভিক্ষের যাতনায় আছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের জীবন কঠিনতম খাদ্য সংগ্রামে অতিষ্ঠ  হয়ে উঠেছে। সস্তা খাবার আর দামী খাবারের বিভাজন নয় বরং কিনে খেয়ে বাঁচার প্রশ্নই এখন বড়। পূর্বে বিকল্প সস্তা খাদ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ ছিল। বর্তমানে উচ্চ দামের কাছে দম হয়ে সংকীর্ণ পরিসরে কেনা অর্থাৎ এক কেজির স্থলে আড়াইশত গ্রাম, ফলে কম খেয়ে আয়ের সাথে ব্যয় মিলাতে গিয়ে পক্ষান্তরে মানুষ পুষ্টি থেকেই সরে পড়ছেন। শাক সবজি কিনার পর মাছ বা ডিম কেনার টাকা থাকে না।  বেশি করে  আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান। এখন আলুর দাম ভাতের চেয়ে বেশি। গরীবের আলু বর্তাতেও  শকুনের চোখ পড়েছে। বাজারের ব্যাগ হাতে মানে বিশাল একটা চাপ মাথায় নেয়া। প্রত্যাশিত বাজার হতে সংকোচিত বাজারের প্রতিক্রিয়া পুষ্টিহীনতার সৃষ্টি হতে পারে। আজকের শিশু আগামী দিনের কান্ডারী এবং এরাই দেশের সম্পদ। সুতরাং ঊর্ধ্বগামী বাজার কে বিভিন্ন সিন্ডিকেট থেকে রক্ষা করে অসৎ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এখনই উপযুক্ত সময়। এছাড়াও ভেজাল খাবারে কারণে ইতোমধ্যে মানুষ বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ছে। এক্ষেত্রে সার ও ফরমালিন যুক্ত খাবারে পুষ্টি ঘাটতি যোগে মানব স্বাস্থ্যের ভয়াবহতা বয়ে আনতে পারে। এমনেতেই আমাদের দেশের মানুষের স্বাস্থবিধি ও পুষ্টি জ্ঞানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।  ইনঅর্গানিক খাদ্যে মানুষের রোগের ব্যাপকতা লক্ষনীয়ভাবে পরিলক্ষিত। অর্গানিক খাদ্যের পরিসর কমে ইনঅর্গানিক খাদ্যের পরিসর নাই বললেই চলে। সব কিছুই আজকাল ফার্মিং আর প্যাকেটিং। অল্প সময়ে অধিক লাভের জন্য রাসায়নিক খাবার খাইয়ে অধিক বড় করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা অনৈতিকতার পথ বেছে নেয়। আমরাও ফার্মিং খাবারে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। ন্যাচারাল খাবার থেকে সরে গিয়ে বিষাক্ত খাবার খেতে শুরু করেছি। মাছের জন্য ফিসারি, গরুতে ডেইরি, পল্ট্রি ইত্যাদি সব কিছুই ভেজালে মানুষের অনৈতিকতার ছুঁয়া। তাই পুষ্টির প্রশ্নে গণসচেতনতা বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর দ্রব্যমূল্যের সময়ে ভীষণ দাবি রাখে।