ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে নিজ বাড়িতে রেখেই ধর্ষক, আত্নগোপনেঃহয়নি কোন সুরাহা

লালমনিরহাটে ভিক্ষুকের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের বাড়িতে ওই মেয়েটিকে রেখে আত্মগোপনে রয়েছে ধর্ষক।এমন ঘটনায় এলাকাজুড়ে বেশ চান্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় লালমনিরহাটের কালীগন্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি গ্রামের চার মাথা নামক এলাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগন্জ থানায় দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়,অসহায় ভিক্ষুকের শারীরিক প্রতিবন্ধীদ ওই মেয়েটি একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে লেখা পড়া করে আসছিল।মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে প্রায়শই প্রতিবেশী মৃত সাত্তার আলীর পুত্র রমজান আলী(২০)তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও উত্যাক্ত করতো।এতেও কোন সারা না পেয়ে আরো বেশী করে উত্যাক্ত করতে থাকে রমজান আলী।
এক পর্যায়ে রমজানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে মেয়েটি।এর পরে বিয়ের প্রলোভনে
জোড় পুর্বক কয়েকবার ধর্ষন করে রমজান।অবশেষে গত ২৩ অক্টোবর রাতে বাড়ির পার্শে চার মাথা নামক এলাকায় মেয়েটিকে বিয়ের বিষয়ে জরুরি আলোচনার জন্য ডেকে নেয় রমজান।পরে রাস্তার এক ব্রীজের নিচে নিয়ে জোড় পুর্বক ধর্ষন করতে থাকে।তার আত্নচিৎকারে পথচারীদের কয়েজন তাদের আটক করে।এঅবস্থায় রমজান তাদের জানায় আমি মেয়েটিকে বিয়ে করবো। তাৎক্ষণিকভাবে রমজান ভিক্ষুকের অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনার রাতেই নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায় রমজান।দুজনেই রাত কাটায় ওই বাড়িতে।
শুরু হয় নতুন ঘটনা।মেয়েটিকে বাড়িতে রেখেই আত্নগোপনে চলে যায় রমজান ও তার পরিবারের লোকজন।এখব পাঠানো কালিন সময় পর্যন্ত রমজান সহ তারা সকলেই ছিল আত্নগোপনে।কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি এলাকা দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য রমজান আলী সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান,স্থানীয়ভাবে এবিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে আমরা ব্যার্থ হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেই।তিনি আরো জানান,মেয়ের বাবা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।অনেক আশা নিয়ে মেয়েটির লেকা পড়া চালাচ্ছিলেন। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
মেয়েটি এখন কোথায় আছেন কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটি রমজানদের বাড়িতেই আছে।তবে ওই বাড়িতে রমজানের বৃদ্ধা মা ছাড়া আর কেউ নেই সবাই আত্নগোপনে আছেন।
এঘটনায় মেয়ের বাবা গত ২৩ অক্টোবর জেলার কালীগন্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।তিনি জানান
মামলা দিয়েছি আমি ন্যায় বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন ভিক্ষা করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতাম।মেয়েকে অফিসার বানার আশা ছিল।কিন্তু সে আশা আর পুরন হলনা সব চুরমার হয়ে গেল।
এব্যারে কালীগন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগস :

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে নিজ বাড়িতে রেখেই ধর্ষক, আত্নগোপনেঃহয়নি কোন সুরাহা

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
লালমনিরহাটে ভিক্ষুকের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের বাড়িতে ওই মেয়েটিকে রেখে আত্মগোপনে রয়েছে ধর্ষক।এমন ঘটনায় এলাকাজুড়ে বেশ চান্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় লালমনিরহাটের কালীগন্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি গ্রামের চার মাথা নামক এলাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগন্জ থানায় দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়,অসহায় ভিক্ষুকের শারীরিক প্রতিবন্ধীদ ওই মেয়েটি একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে লেখা পড়া করে আসছিল।মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে প্রায়শই প্রতিবেশী মৃত সাত্তার আলীর পুত্র রমজান আলী(২০)তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও উত্যাক্ত করতো।এতেও কোন সারা না পেয়ে আরো বেশী করে উত্যাক্ত করতে থাকে রমজান আলী।
এক পর্যায়ে রমজানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে মেয়েটি।এর পরে বিয়ের প্রলোভনে
জোড় পুর্বক কয়েকবার ধর্ষন করে রমজান।অবশেষে গত ২৩ অক্টোবর রাতে বাড়ির পার্শে চার মাথা নামক এলাকায় মেয়েটিকে বিয়ের বিষয়ে জরুরি আলোচনার জন্য ডেকে নেয় রমজান।পরে রাস্তার এক ব্রীজের নিচে নিয়ে জোড় পুর্বক ধর্ষন করতে থাকে।তার আত্নচিৎকারে পথচারীদের কয়েজন তাদের আটক করে।এঅবস্থায় রমজান তাদের জানায় আমি মেয়েটিকে বিয়ে করবো। তাৎক্ষণিকভাবে রমজান ভিক্ষুকের অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনার রাতেই নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায় রমজান।দুজনেই রাত কাটায় ওই বাড়িতে।
শুরু হয় নতুন ঘটনা।মেয়েটিকে বাড়িতে রেখেই আত্নগোপনে চলে যায় রমজান ও তার পরিবারের লোকজন।এখব পাঠানো কালিন সময় পর্যন্ত রমজান সহ তারা সকলেই ছিল আত্নগোপনে।কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি এলাকা দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য রমজান আলী সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান,স্থানীয়ভাবে এবিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে আমরা ব্যার্থ হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেই।তিনি আরো জানান,মেয়ের বাবা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।অনেক আশা নিয়ে মেয়েটির লেকা পড়া চালাচ্ছিলেন। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
মেয়েটি এখন কোথায় আছেন কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটি রমজানদের বাড়িতেই আছে।তবে ওই বাড়িতে রমজানের বৃদ্ধা মা ছাড়া আর কেউ নেই সবাই আত্নগোপনে আছেন।
এঘটনায় মেয়ের বাবা গত ২৩ অক্টোবর জেলার কালীগন্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।তিনি জানান
মামলা দিয়েছি আমি ন্যায় বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন ভিক্ষা করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতাম।মেয়েকে অফিসার বানার আশা ছিল।কিন্তু সে আশা আর পুরন হলনা সব চুরমার হয়ে গেল।
এব্যারে কালীগন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।