ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বগুড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিন্টুর হুমকিতে নিহত রোহানের পরিবার অনিরাপত্তায় ভুগছে 

গত কয়েকদিন আগে প্রকাশ্য দিবালোকে বগুড়া সদর উপজেলার মানিকচক গ্রামে শাকিব বাবু রোহান চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ১নং আসামি  ১৯ নং ওয়াড কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টু ও তাঁর সহযোগিরা মোকাদ্দমা তুলিয়ে নেওয়ার হুমকি  দিয়ে আসছে। এতে নিহত রোহানের পরিবার পরিজন নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। হত্যাকাণ্ডের এক মাস অতিবাহিত হলেও ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচার চেয়ে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে রোহানের অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাকিব বাবু রোহান চৌধুরীর বড় ভাই রকি হাসান চৌধুরী এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১১ অক্টাবরে শহরতলীর মানিকচক এলাকায়  আগে থেকে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ছোট ভাই রোহানকে হত্যা করেছে। এ হত্যা মামলার আসামি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুর্ধর্ষ খুনি, ভূমিদস্যূ চাঁদাবাজ হাফ ডজ্জন মামলার আসামি লুৎফর রহমান মিন্টু ও তার সহযোগিদেরকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে ১ নং আসামি মিন্টু ও তার সহযোগি অন্যান্য আসামিরা বিভিন্ন ভাবে রোহান হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত হলে রোহান হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার না করায় তারা এলাকায় প্রকাশ্য চলাফেরা করলেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। মিন্টু এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত এবং ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর লিডার।  তারপরও  গত ৫ নভেম্বরে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এক মানববন্ধনে মিন্টুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে উক্তি করা হয়েছে। এতে এলাকার আপামর জনসাধারণ ও নিহত রোহানের পরিবার হতবাক হয়ে পড়েছে। এছাড়াও একটি স্বার্থন্বেষী মহল নিহত রোহানের পরিবারকে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। উক্ত হুমকিতে আমার পরিবার বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। রোহান হত্যা মামলার সকল আসামিকে গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করছি।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে আর কোন বাবা মায়ের বুক খালি হবে না।
বগুড়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম জানান, রোহান মামলার সকল আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামিদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।  যদি আসামীরা রোহানের পরিবারকে হুমকি দেয়, তাহলে তারা যেন থানায় এসে ডায়েরি করে।
ট্যাগস :

বগুড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিন্টুর হুমকিতে নিহত রোহানের পরিবার অনিরাপত্তায় ভুগছে 

আপডেট সময় : ০৫:০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
গত কয়েকদিন আগে প্রকাশ্য দিবালোকে বগুড়া সদর উপজেলার মানিকচক গ্রামে শাকিব বাবু রোহান চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ১নং আসামি  ১৯ নং ওয়াড কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টু ও তাঁর সহযোগিরা মোকাদ্দমা তুলিয়ে নেওয়ার হুমকি  দিয়ে আসছে। এতে নিহত রোহানের পরিবার পরিজন নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। হত্যাকাণ্ডের এক মাস অতিবাহিত হলেও ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচার চেয়ে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে রোহানের অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাকিব বাবু রোহান চৌধুরীর বড় ভাই রকি হাসান চৌধুরী এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১১ অক্টাবরে শহরতলীর মানিকচক এলাকায়  আগে থেকে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ছোট ভাই রোহানকে হত্যা করেছে। এ হত্যা মামলার আসামি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুর্ধর্ষ খুনি, ভূমিদস্যূ চাঁদাবাজ হাফ ডজ্জন মামলার আসামি লুৎফর রহমান মিন্টু ও তার সহযোগিদেরকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে ১ নং আসামি মিন্টু ও তার সহযোগি অন্যান্য আসামিরা বিভিন্ন ভাবে রোহান হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত হলে রোহান হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার না করায় তারা এলাকায় প্রকাশ্য চলাফেরা করলেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। মিন্টু এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত এবং ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর লিডার।  তারপরও  গত ৫ নভেম্বরে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এক মানববন্ধনে মিন্টুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে উক্তি করা হয়েছে। এতে এলাকার আপামর জনসাধারণ ও নিহত রোহানের পরিবার হতবাক হয়ে পড়েছে। এছাড়াও একটি স্বার্থন্বেষী মহল নিহত রোহানের পরিবারকে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। উক্ত হুমকিতে আমার পরিবার বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। রোহান হত্যা মামলার সকল আসামিকে গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করছি।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে আর কোন বাবা মায়ের বুক খালি হবে না।
বগুড়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম জানান, রোহান মামলার সকল আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামিদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।  যদি আসামীরা রোহানের পরিবারকে হুমকি দেয়, তাহলে তারা যেন থানায় এসে ডায়েরি করে।