বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

প্রচ্ছদ /

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি

বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার হত্যাকারীদের দোসররা ফের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়াঃএনামুল হক শামীম

Add Your Heading Text Here

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গের কারোরই চিহ্ণ রাখা যাবে না। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল এবং আওয়ামী লীগ যাতে নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায় সে কারণে জাতীয় চার নেতার হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় চার নেতাসহ অনেককেই নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হয়েছিলো খুনী মোশতাকের স্বৈরশাসিত সরকারের কেবিনেটে যোগদানের জন্য। কিন্তু তাঁরা ঘৃণাভাবে সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তখন থেকেই তারা জিয়া ও মোশতাকের কুনজরে পড়েন। তাদের দোসর বিএনপি জামায়াত ফের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া। তবে এদেশের জনগণ তাদের আর কোনোদিন ক্ষমতায় আনবে না।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তাই তারা এসব ছাড়তে পারে না। জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া থেকে তারেক রহমান একই ধারায় চলছে। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একইসুতোয় গাঁথা। ওরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগকে ভয় পায়, ওরা জনগনের রায়কে ভয় পায়। তাই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সবসময় মরিয়া থাকে।

উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আগ্রাসী মনোভাবের রাজনীতি এদেশের মানুষ আর চায় না। এই অপরাজনীতির রাজনীতির কারনে এদেশের মানুষ বারবার বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে। কারণ, এদেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কথা ভোলে নাই। গণধিকৃত বিএনপি আবারও দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টায় মত্ত। তবে সেটা আর সম্ভব না। কারণ, জনগণ বিশ্বাস করে,”বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা শেখ হাসিনার কাছেই নিরাপদ।” অন্য কারো হাতে নয়।

এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনি আজ আমরা দেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম না হলে উন্নয়নশীল দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। দেশে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে শক্তিমান, জনগণের বলে বলিয়ান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শরীয়পতপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, বিএনপি মহা সমাবেশরে নামে যেভাবে পুলিশ হত্যা করে দেশে যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ তা রুখে দিয়েছে। আবারও নতুন করে আগুন সন্ত্রাসের লক্ষে হরতাল-অবরোধ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীল নকশা করছে। আওয়ামী লীগ তা হতে দিবে না। আগামী দ্বাদশ নির্বাচন সম্বপন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মাঠে থেকে বিএনপির সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসাবে। কোন ষড়যন্ত্র চক্রান্তই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম ইসমাইল হক , আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও শরীয়তপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এরআগে সকালে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা ও মিলাদে অংশগ্রহণ করেন উপমন্ত্রী।

ট্যাগঃ

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়