ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে পালন করা হয় না জাতীয় কৃষি দিবস 

বাকৃবি প্রতিনিধি 
শীতের অগমনী বার্তা নিয়ে নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয় অগ্রহায়ণ। এ সময় কৃষকরা মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়। নতুন ধানের চাল থেকেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। অগ্রহায়ণে ধান কাটার উৎসব গ্রামবাংলা তথা বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য। বাংলার কৃষিকে উজ্জীবিত করতে জাতীয়ভাবে কৃষি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কৃষি দিবস পহেলা অগ্রহায়ণ। কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই ২০০৮ সালের ১ অগ্রহায়ণ পালন করা শুরু হয় জাতীয় কৃষি দিবস। সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে। ‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয় নি। এ বছরও পহেলা অগ্রহায়ণ  ঘিরে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রাচীন কাল থেকেই আবাহমান বাংলায় নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব পালিত হচ্ছে। হেমন্তের মাঝামাঝিতে গ্রামবাংলার ঘরেঘরে নতুন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় নবান্ন উৎসবটি। নবান্ন উৎসবকে অনেক বড় পরিসরে পালন করা হলেও কৃষি দিবসটি এখনও রয়ে গেছে অনেকের অজানা। দেশে কৃষি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে থাকলেও বাকৃবিতে জাতীয় কৃষি দিবস পালনে কোনো সংগঠন এগিয়ে আসে নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষও দিবসটি পালনে আগ্রহ দেখায় নি।
কৃষি দিবস পালন না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবসস্থাপনা শাখার উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপাদান কৃষি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আগ্রহ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিম দিবস, দুধ দিবস পালন করা হয়। তবে মূল কৃষি দিবস পালন করা হয় না। ২০১৪ সালের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। এ সময় পিঠা উৎসব পালন করা হতো। তবে এখন আর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ উদ্যেগ নিলেই কৃষি দিবস পালন করা সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পর্যন্ত কৃষি দিবস পালন করা হয় নি। সরকারি ভাবে নির্দেশনা না আসলে আমরা পালন করতে পারি না। তবে কৃষি অনুষদ, ডিন কাউন্সিল দিবসটি পালন করতে পারে। সরকারিভাবে পালন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বাজেট দিতে পারে না। কৃষি দিবস পালন করতে হলে এক মাস আগে প্রস্তুতি নিতে হয়। আগামীতে দিনগুলোতে এই দিবস পালন হয়তো আলোর মুখ দেখবে।
 এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবি কৃষিবিদ দিবস পালন করে থাকে। কৃষি দিবস এর আগে বাকৃবিতে পালন করা হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয় নি। আগামী বছর থেকে বাকৃবিতে কৃষি দিবস পালন করা হবে।
ট্যাগস :

বাকৃবিতে পালন করা হয় না জাতীয় কৃষি দিবস 

আপডেট সময় : ১১:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
বাকৃবি প্রতিনিধি 
শীতের অগমনী বার্তা নিয়ে নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয় অগ্রহায়ণ। এ সময় কৃষকরা মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়। নতুন ধানের চাল থেকেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। অগ্রহায়ণে ধান কাটার উৎসব গ্রামবাংলা তথা বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য। বাংলার কৃষিকে উজ্জীবিত করতে জাতীয়ভাবে কৃষি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কৃষি দিবস পহেলা অগ্রহায়ণ। কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই ২০০৮ সালের ১ অগ্রহায়ণ পালন করা শুরু হয় জাতীয় কৃষি দিবস। সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে। ‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয় নি। এ বছরও পহেলা অগ্রহায়ণ  ঘিরে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রাচীন কাল থেকেই আবাহমান বাংলায় নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব পালিত হচ্ছে। হেমন্তের মাঝামাঝিতে গ্রামবাংলার ঘরেঘরে নতুন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় নবান্ন উৎসবটি। নবান্ন উৎসবকে অনেক বড় পরিসরে পালন করা হলেও কৃষি দিবসটি এখনও রয়ে গেছে অনেকের অজানা। দেশে কৃষি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে থাকলেও বাকৃবিতে জাতীয় কৃষি দিবস পালনে কোনো সংগঠন এগিয়ে আসে নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষও দিবসটি পালনে আগ্রহ দেখায় নি।
কৃষি দিবস পালন না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবসস্থাপনা শাখার উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপাদান কৃষি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আগ্রহ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিম দিবস, দুধ দিবস পালন করা হয়। তবে মূল কৃষি দিবস পালন করা হয় না। ২০১৪ সালের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। এ সময় পিঠা উৎসব পালন করা হতো। তবে এখন আর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ উদ্যেগ নিলেই কৃষি দিবস পালন করা সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পর্যন্ত কৃষি দিবস পালন করা হয় নি। সরকারি ভাবে নির্দেশনা না আসলে আমরা পালন করতে পারি না। তবে কৃষি অনুষদ, ডিন কাউন্সিল দিবসটি পালন করতে পারে। সরকারিভাবে পালন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বাজেট দিতে পারে না। কৃষি দিবস পালন করতে হলে এক মাস আগে প্রস্তুতি নিতে হয়। আগামীতে দিনগুলোতে এই দিবস পালন হয়তো আলোর মুখ দেখবে।
 এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবি কৃষিবিদ দিবস পালন করে থাকে। কৃষি দিবস এর আগে বাকৃবিতে পালন করা হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয় নি। আগামী বছর থেকে বাকৃবিতে কৃষি দিবস পালন করা হবে।