ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের কারাদণ্ড

  • শিমুল বিশ্বাসসহ ৯১ নেতাকর্মীর বিচার শুরু

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকনসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার বিচারক মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।
দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম,তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলামকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ৩০/৪০ জন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচলে গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ মো. সাজু মিয়া।
শিমুল বিশ্বাসসহ ৯১ নেতাকর্মীর বিচার শুরু: রাজধানীর রমনা থানার মামলায় খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া চকবাজার থানাধীন বকসীবাজারের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রমনা মডেল থানাধীন মগবাজার মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ১০০০/১৫০০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রসজ্জিত হয়। তখন তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। হত্যার উদ্দেশে পুলিশ সদস্যের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ৯১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ট্যাগস :

বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • শিমুল বিশ্বাসসহ ৯১ নেতাকর্মীর বিচার শুরু

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকনসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার বিচারক মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।
দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম,তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলামকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ৩০/৪০ জন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচলে গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ মো. সাজু মিয়া।
শিমুল বিশ্বাসসহ ৯১ নেতাকর্মীর বিচার শুরু: রাজধানীর রমনা থানার মামলায় খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া চকবাজার থানাধীন বকসীবাজারের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রমনা মডেল থানাধীন মগবাজার মোড়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ১০০০/১৫০০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রসজ্জিত হয়। তখন তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। হত্যার উদ্দেশে পুলিশ সদস্যের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ৯১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।