সোহাগ রহমান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে বিএনপির ডাকা অবরোধের প্রভাবে ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে মারাত্মক ধস নামছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরের এ সময়ে গ্রামা লে বিভিন্ন ধরনের কৃষি ফসল উৎপাদন করে থাকেন কৃষকেরা। এ সময় বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। চলমান অবরোধ কর্মসূচির কারণে যানবাহন না পেয়ে ঢাকাসহ দুরের বেপারীরা এখানে আসতে পারছেন না। ফলে সবজিসহ কাঁচা পন্য সামগ্রী দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা যাচ্ছেনা। পণ্যবাহী যান ও বেপারী না পেয়ে ক্ষেতেই ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এক কৃষক জানান, তিনি পেঁপের চাষ করেছেন। ঢাকার বেপারী না পেয়ে স্থানীয় বাজারে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে অল্প পরিমানে পেঁপে বিক্রি করছেন। বেপারী না পেলে তার মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। এছাড়া শীতকালিন সবজি বেগুন, বাধাকপি, ফুলকপি, শিম, লাউ ও মুলা চাষিদেরও একই আশঙ্কা। এভাবে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকলে গ্রামীণ অর্থনীতি অচিরেই অচল হয়ে পড়বে। অন্যদিকে ১ নভেম্বর অবরোধের দ্বিতীয় দিন সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। ভালুকা বাসস্ট্যান্ড আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে, যুবলীগ কার্যালয়ের সামনে, সিডষ্টোর ও ভরাডোবা এলাকায় নেতাকর্মীরা মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয়। তবে অবরোধের পক্ষে কাউকে মিছিল বা পিকেটিং কিংবা জ¦ালাও পোড়াও করতে দেখা যায়নি। সড়কে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। ভালুকা সদরসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে সিএনজি, অটো ও স্থানীয় যান চলতে দেখা গেছে। সড়কে যাত্রী সাধারণ ছিল খুবই কম। তবে দুরপাল্লার যানবাহন না পেয়ে অনেক যাত্রীরা সিএনজি ও মিনিবাসে ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়ায় যেতে দেখা গেছে।