সোহাগ রহমান, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
চলতি মৌসুমে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ জমিতেই আমনের আবাদ লক্ষ্য করা গেছে। তবে অনেক ক্ষেতেই ছিল পাতা মরা রোগের আক্রমণ। অনেক কৃষক শুরু থেকেই বালাইনাশক ছিটিয়ে কিছুটা রক্ষা পেলেও আবার অনেকের ক্ষেত রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে চলতি আমন মৌসুমের শুরুতেই ভারী বর্ষণে উপজেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং নানা প্রতিকূল অবস্থা কাটানোর পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যে আমনের পাকা ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেতে ধান পাকতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেতই কেটে ধান মাড়াই করছেন কৃষকেরা। ডাকাতিয়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের কয়েকজন শ্রমিকদেরকে ক্ষেতে ধান কাটতে দেখা গেছে। তারা জানায়, উচ্চ ফলনশীল রঞ্জিত জাতের ধান কাটছেন তারা। এ ক্ষেতে ফলন ভালো হয়েছে। এদিকে ডাকাতিয়ার দক্ষিণপাড়ার শাহজাহান ডাক্তার বলেন, এবার তিনি ৮ কাঠা জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান ৪৯ জাতের ধানের ক্ষেত করেছেন। আড়াই কাঠা জমির ধানগাছে পাতা মরা রোগের আক্রমণ হয়। সঠিক সময়ে বালাইনাশক ছিটাতে না পারায় ওই ক্ষেতে ফলন কম হয়েছে। তিনি তার ওই ক্ষেতে ৪ থেকে ৫ মণ ধান পাওয়ার কথা জানান। এই ক্ষেতে শ্রমিক খরচই উঠবেনা। তবে অন্য ক্ষেতে ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাশের
অনেক ক্ষেতেই পাতা মরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফলন কম হয়েছে। কৃষি অফিসের লোকজন তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনিজানান, কেউই তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন জাহান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয়েছে ১৯ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে। ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা ও নানা প্রতিকূল পরিবেশ কাটানোর পরও ফলন ভালো হয়েছে। তবে কৃষকরা সচেতন হলে ভবিষ্যতে আরো ভালো ফলন পাবে।