ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় হরতালে দূরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ

 ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ২৯ অক্টোবর রবিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুরপাল্লার যানবাহন না পেয়ে ভালুকার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে
যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে সকাল থেকে ভালুকার সড়কগুলোতে সিএনজি, অটোরিক্সা ও স্থানীয় মিনি বাস চলতে দেখা গেলেও
চাহিদার তুলনায় ছিল খুবই কম। জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষজন ছাড়া রাস্তা-ঘাটে তেমন জন সমাগমও ছিলনা।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, এদিন সকালে থেকেই মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিল নিরবতা। যেখানে সব সময়ই
মানুষের কোলাহল, গাড়ির শব্দে থাকে মুখর। সেখানে হরতালের কারণে যেনো অনেকটাই থমকে ছিল। ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে দুরপাল্লার বাস না পেয়ে
ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক যাত্রী। ফলে ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিকল্প যানে গন্তব্যে যেতে হয়েছে অনেককেই। উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শিল্প কারখানাগুলো যথারীতি খোলা থাকলেও শ্রমিক কর্মচারিরা খুব কষ্টে কাজে যোগ দিয়েছেন। এক শ্রমিক জানান, সব কারখানারই স্টাফ বাস নেই। যার ফলে বহু শ্রমিক লোকাল বাসে কারখানায় যাচ্ছে। হারতালের কারণে যানবাহন কম থাকায় বাসওয়ালারাও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো খোলা থাকলেও তাতে লোক সমাগম কম ছিল। মহাসড়ক অংশে    কিংবা ভালুকা সদর এলাকায় হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে বিএনপির এক কর্মী দাবী করেছেন। এদিকে সকালে হরতালের প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। ভালুকা বাসস্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা। সমাবেশের আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হরতালে উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কিংবা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল সতর্ক অবস্থানে।

ট্যাগস :

ভালুকায় হরতালে দূরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

 ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ২৯ অক্টোবর রবিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুরপাল্লার যানবাহন না পেয়ে ভালুকার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে
যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে সকাল থেকে ভালুকার সড়কগুলোতে সিএনজি, অটোরিক্সা ও স্থানীয় মিনি বাস চলতে দেখা গেলেও
চাহিদার তুলনায় ছিল খুবই কম। জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষজন ছাড়া রাস্তা-ঘাটে তেমন জন সমাগমও ছিলনা।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, এদিন সকালে থেকেই মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিল নিরবতা। যেখানে সব সময়ই
মানুষের কোলাহল, গাড়ির শব্দে থাকে মুখর। সেখানে হরতালের কারণে যেনো অনেকটাই থমকে ছিল। ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে দুরপাল্লার বাস না পেয়ে
ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক যাত্রী। ফলে ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিকল্প যানে গন্তব্যে যেতে হয়েছে অনেককেই। উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শিল্প কারখানাগুলো যথারীতি খোলা থাকলেও শ্রমিক কর্মচারিরা খুব কষ্টে কাজে যোগ দিয়েছেন। এক শ্রমিক জানান, সব কারখানারই স্টাফ বাস নেই। যার ফলে বহু শ্রমিক লোকাল বাসে কারখানায় যাচ্ছে। হারতালের কারণে যানবাহন কম থাকায় বাসওয়ালারাও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো খোলা থাকলেও তাতে লোক সমাগম কম ছিল। মহাসড়ক অংশে    কিংবা ভালুকা সদর এলাকায় হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে বিএনপির এক কর্মী দাবী করেছেন। এদিকে সকালে হরতালের প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। ভালুকা বাসস্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা। সমাবেশের আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হরতালে উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কিংবা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল সতর্ক অবস্থানে।