নেত্রকোনা প্রতিনিধি
দেশের এক ক্রান্তিলগ্নে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগামীর এ সময়ে শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধে ফেলে দিয়েছে কতিপয় অর্থলিপ্সু প্রধান শিক্ষক। নেত্রকোনার পৌর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলছে শিক্ষার নামে অনৈতিক ব্যবসা। নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শুধু মূল্যায়ন পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য শিটে বর্গ, ত্রিভুজ ও বৃত্তের চিহ্ন ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মান মূল্যায়ন করার জন্য পরীক্ষার ফিস নেওয়া অযৌক্তিক। আর সেই কারণেই মাউশির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মাউশির পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে যে ধারাবাহিক মূল্যায়নের খরচ স্কুল থেকে বহন করতে হবে । ষান্মাসিক মূল্যায়নের জন্য পল্লী গ্রামে টাকার পরিমাণ কম হলেও পৌর এলাকায় টাকার পরিমাণ এক হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণের দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না। উল্লেখ্য যে,বিগত পরীক্ষা পদ্ধতির সময়েও পরীক্ষার ফিস গলাকাটার সম পরিমাণ ছিল না। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষায় দুর্নীতি বন্ধ না হলে দেশের সার্বিক কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণকর পরিস্থিতি বয়ে আনবে। তার মাঝে আবার বাধ্যতামূলক কোচিং বাণিজ্যের কারণে অনেক অভিভাবক এক বিব্রতকর জুলুমের পরিস্থিতির কবলে। এ পরিস্থিতিতে ভূক্তভোগীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। গত মূল্যায়নের সময়েও এমনটা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত পদক্ষেপের অভাবে আবারও একই অন্যায়ের পুরাবৃত্তি বলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।