দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে বিএনপি-জামাত জোট। বিএনপি জামাত দেশে গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বার বার নাশকতা করে জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে। নির্বাচন এলেই তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে ধংসযজ্ঞ চালায়।কারণ তাদের আন্দোলনে জনগণের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপি ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের জীবন নষ্ট করেছে।তারা যুবসমাজকে মাদক ধরিয়ে দিয়ে তাদেরকে বিপদগামী করেছে।
এই বিএনপিই হাঁ-না ভোটের নামে বাংলাদেশের ভোট ব্যবস্থায় কলঙ্ক লেপে দেয়। বিএনপি অরাজনৈতিক মানুষকে নমিনেশন দিয়ে বারবার নমিনেশন বানিজ্য করেছে। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে জনমুখী কোন কর্মসুচি নেই।তাই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমানুষের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য দারিদ্র বিমোচন কর্মসুচি প্রনয়ন করে কৃষিখাতে স্বাস্থ্যখাত সহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে দেশের মানুষের আস্থা কুড়িয়েছে।
আজ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তারা আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
বিএনপি এক দফা আন্দোলন করছে ইসরাইল স্টাইলে। তারা পুলিশ হত্যা,হাসপাতাল পুড়িয়ে দেয়া,মানুষ হত্যা সহ ধংসযজ্ঞ শুরু করেছে।তারা কর্মসুচি দিয়ে রাস্তায় থাকেনা। তারা নেতৃত্বশুন্য হয়ে পড়েছে। তিনি বিএনপিকে ধংসের রাজনীতি পরিহার করে নির্বাচনমুখী হবার আহবান জানিয়ে বলেন,ক্ষমতা পরিবর্তন করতে হবে মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় যেতে হবে। সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবেনা।বাংলার মানুষ তা মেনেও নেবেনা। আওয়ামী লীগ সুষ্টু নির্বাচন করে জনগণের রায় নিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাবে।
বুধবার বেলা ১১ টায় বগুড়ার বনানীর মোড়ে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের হত্যা অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা,যানবাহন ভাংচুর ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু ওবায়দুল হাসান ববি, প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, আব্দুস সালাম,মন্জুরুল হক মন্জু,আলহাজ শেখ,জুলফিকার রহমান শান্ত,সজীব সাহা ও রাজন প্রমুখ।