বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের হামলা ও গুলির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
২৯ অক্টোবর (রবিবার) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাবি শাখা সভাপতি প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
উক্ত বিবৃতিতে ফোরামের নেতৃবর্গ বলেন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত গতকাল ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার ঢাকার নয়া পল্টনের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীকর্তৃক গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ মাধ্যমে মহাসমাবেশ বানচাল করা হয়।
এই ঘটনায় যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা নিহত এবং অসংখ্য নেতাকর্মী আহত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুমতির পরও উসকানি দিয়ে সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেওয়ার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত, নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। জাতীয় নির্বাচনের পুর্বে এক দফা দাবি আদায়ে বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যেই সমাবেশ পণ্ড করা হয়েছে। এই মহাসমাবেশে নাশকতার সব দায় দায়িত্বও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামীলীগের নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন যে, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাপলা চত্বরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিয়েছিলেন। বিএনপি’র সমাবেশস্থলে মোবাইল সংযোগ সীমিত ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়া শেল ব্যবহার করে আকস্মিক পুলিশি হামলা করে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, তাদের আলাদা সমাবেশ স্থল থাকা সত্ত্বেও বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ালীগ লগী-বৈঠা নিয়ে উপস্থিত হওয়া তাদের পুর্বপরিকল্পনারই অংশ। লাঠি আর বৈঠা বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বহনকারী আওয়ামীলীগের গ্রেফতারের কোনো চেষ্টা পুলিশ করেনি। রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশকে সরকার দলীয় বাহিনী রুপান্তরের মাধ্যমে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তারা আরোও জানান, মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর রোববার ভোর রাত থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারে বাসায় বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। তার আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি অবিলম্বে তার মুক্তির জোর দাবি জানান। ভোর থেকেই বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অনেক জাতীয় নেতাকে আটক করার জন্য তাদের বাসায় অভিযানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, দেশের জনগণকে আন্দোলন থেকে সরাতে বিএনপি নেতাদের নানা অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের উপর জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলা কোন কিছু করেই এবার আর এই অবৈধ সরকার পার পাবেনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে, অবসান হবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নসহ সকল অনাচার ও অপশাসনের।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন, প্রফেসর সায়েদুর রহমান পান্নু, প্রফেসর ফজলুল হক, প্রফেসর আমজাদ হোসেন, প্রফেসর সাহেদ জামান, প্রফেসর মতিয়ার রহমান, প্রফেসর আশরাফুজ্জামান, প্রফেসর আফরিনা মামুন, প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন, প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর নুরুল হক মোল্লা, প্রফেসর খন্দকার ইমামুল হক সানজিদ, প্রফেসর মোস্তফা কামাল আকন্দ, প্রফেসর মামুনুর রশিদ, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ফারুকি, প্রফেসর গোলাম রব্বানি মন্ডল, প্রফেসর মাজেদ চৌধুরি, প্রফেসর রবিউল ইসলাম, প্রফেসর হাছানাত আলী, প্রফেসর আওরঙ্গজীব আব্দুর রহমান, প্রফেসর আব্দুল আলীম, প্রফেসর আমিনুল হক (পরি), অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহিম সাজিদ, প্রফেসর সাবিরুজ্জামান সুজা, প্রফেসর পারভেজ আজহারুল হক প্রিন্স, প্রফেসর আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সামিউল ইসলাম, প্রফেসর হারুনর রশিদ, প্রফেসর মোজাফফর হোসেন
প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল, প্রফেসর নুরুল মোমেন, প্রফেসর কামরুজ্জামান, প্রফেসর শরীফুল ইসলাম, প্রফেসর শাহাদত হোসেন, প্রফেসর তারিকুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল খালেক, প্রফেসর আমীরুল ইসলাম, প্রফেসর আনিসুর রহমান, প্রফেসর মইজুর রহমান, প্রফেসর মতিউর রহমান, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ইসমাইল তারেক, প্রফেসর সারোয়ার জাহান, প্রফেসর ইফতেখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, প্রফেসর খালেদুজ্জামান, প্রফেসর নেসার উদ্দিন, প্রফেসর আব্দুস সোবহান হিরা, প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রফেসর নুরুল হুদা, প্রফেসর মোস্তফা কামাল, অধ্যাপক আব্দুস সালামসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকবৃন্দ।