বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

প্রচ্ছদ /

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চালু হয়েছে বিশ্বের ৩য় “অমনি প্রসেসর”

Add Your Heading Text Here

সেনেগাল, ভারতের পর তৃতীয় কোন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে পরীক্ষামুলক চালু হয়েছে ‘অমনি প্রসেসর’। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি প্রথম প্রকল্প। তাও তৈরি হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জরুরি সহায়তা প্রকল্প (ইএপি) এর অধিনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। প্রকল্পটির ভারতের অংকুর সাইন্টিফিক ও বাংলাদেশের এসআর করপোরেশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায়। শতভাগ ভৌত অগ্রগতি শেষে বর্তমানে পরীক্ষামুলক চালু করা হয়েছে। যার অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারি প্রকৌশলী আবুল মঞ্জুর জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। পরীক্ষামুলক চালু হওয়া প্রকল্পে প্রতিদিন ৩০ কিউবিট মিটার বা ৬ টন শুকনো পয়ঃ বর্জ্য, ৫ টন জৈব ব্যর্জ, ৫ শত কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে মোট ১১.৫ টন বজ্য পরিশোধ করতে সক্ষম। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়েই মুল প্রকল্পের সকল যন্ত্রপাতি চালু রাখা হয়। ফলে এই প্রকল্পের জন্য কোন প্রকার জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ বা ভিন্ন কোন বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না।
আবুল মঞ্জুর বলেন, প্রকল্পের বর্জ্য পরিশোধনের পর প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার থেকে ১২ শত লিটার ডিস্ট্রিল্ড ওয়াটার (পানি) উৎপাদন হয়। যে পানিকে কোন আয়ন বা সলিড কোন সল্ট থাকে না, শুধু হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আয়ন থাকে। ব্যাটারিতে এই পানি আয়নাইজ হয়ে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আয়ন হয়ে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস হয়ে থাকে। এটি বাজারজাত করা যাবে। একই সঙ্গে প্রকল্প থেকে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ১২ শত থেকে ১৫ শত কেজি অ্যাস। যা সিমেন্ট সহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে চুক্তি মতে ভারতের অংকুর সাইন্টিফিক তার নিজস্ব দক্ষ জনবল দ্বারা প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন। আগামি ২ বছরের মধ্যে অংকুর বাংলাদেশের এসআর করপোরেশনের নিজস্ব লোককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবেন। এরপর প্রকল্পটি এসআরকে বুঝিয়ে দেবেন। খুব অল্প জায়গায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় সুবিধাও রয়েছে।

ট্যাগঃ

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়