বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

প্রচ্ছদ /

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি

সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ প্রচেষ্টায় মামলা, ধরাছোয়ার বাহিরে ভূমি অফিসে কর্মচারীরা

Add Your Heading Text Here

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি আত্মসাতের প্রচেষ্টার অভিযোগে ৬ জন নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। রোববার রাতে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন ঘটমাঝি ইউনিয়ন  ভূমি সহকারি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। গ্রেপ্তারের আগে আটককৃতদের দাবি, এই চক্রের সঙ্গে ভূমি অফিসের কর্মচারীরা জড়িত। তারা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

মামলায় ছয় আসামি হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলী খানের ছেলে রুহুল আমিন খান ও ফুকুচিয়া গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল কুদ্দুস সিংয়ের ছেলে মাহমুদুল হাসান সিং, ছয়না গ্রামের মন্নান মোল্লার ছেলে তাজেল মোল্লা, একই গ্রামের আব্দুল মন্নান মোল্লার ছেলে রুবেল হোসেন মোল্লা, গৈদি গ্রামের শাহ আলম সিংয়ের ছেলে ফয়েজ আহমেদ, শহরের পুরান বাজার কলাতলা এলাকার সালাম সরদারের ছেলে মুন্না সরদার। এদের মধ্যে তাজেল মোল্লা ও ফয়েজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ১২৪ নম্বর ছয়না মৌজার বিআরএস ৪৪৬ নম্বর দাগের ১৩ শতাংশ এবং ১৭ নম্বর দাগের ১৮ শতাংশ জমি ১/১ খতিয়ানে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডকৃত। এই ৩১ শতাংশ জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে ভুয়া নামজারি ও খতিয়ান বসিয়ে বিক্রি বা আত্মসাতের পায়তারা করে একটি চক্র। ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি তাজেল মোল্লা ও রুবেল হোসেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে। যেখানে নতুন একটি খতিয়ান খোলা হয়েছে। যার কোন অস্তিত্বই নেই। বিষয়টি প্রতারণা ও ভুয়া খতিয়ান বলে বুঝতে পেরে ওই দুইব্যক্তিকে ইউনিয়ন অফিসে আসতে বলেন ঘটমাঝি ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা। তাজেল মোল্লা ও তার এক সহযোগি ফয়েজ আহমেদকে নিয়ে রোববার বিকেলে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে আসেন। পরে কৌশলে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটমাঝি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে তাজেল ও ফয়েজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রের সঙ্গে আরও চারজন জড়িত রয়েছে বলে জানতে পারে। পরে এই ঘটনায় ঘটমাঝি ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা আটক দুইজনসহ ৬ জনের নামে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কে মাদারীপুর সদর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রতারণার অভিযোগে ও সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের প্রচেষ্টার ঘটনায় ছয় জনের নামে মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী দুজনকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও চার আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডকৃত সম্পত্তি দুই ব্যক্তির নামে ভুয়া মিউটেশন ও খতিয়ান বই খোলে ওই প্রতারক চক্রটি। এমন প্রতারণার ঘটনা নজিরবিহীন। চক্রটির সঙ্গে আমাদের ভূমি অফিসের লোকজনও জড়িত থাকতে পারে। যারাই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিত করা হবে।’

ট্যাগঃ

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়