সাতক্ষীরা জেলায় বেড়েছে সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ উৎপাদন। চলতি মৌসুমে ২৬ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যা থেকে প্রায় ২ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। তবে ইতোমধ্যে লক্ষমাত্রার ৮০% অর্জন হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
সরকারি তথ্য মতে বিগত অর্থ বছরে ২৫ হাজার টন লক্ষমাত্রা ধরা হলে অর্জিত হয় ২৪ হাজার ৬০০ টন। সে হিসাবে বিগত বছরের তুলনায় এবছর আরো এক টন।
সরকারি তথ্য মতে বিগত অর্থ বছরে ২৫ হাজার টন লক্ষমাত্রা ধরা হলে অর্জিত হয় ২৪ হাজার ৬০০ টন। সে হিসাবে বিগত বছরের তুলনায় এবছর আরো এক টন।

বর্তমানে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও ময়মনসিংহে চিংড়ি চাষ হয়। রপ্তানির জন্য ১০৫টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি ইইউর অনুমোদন পাওয়া। ১০৫টি কারখানার বছরে ৪ লাখ মেট্রিক টন চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা রয়েছে। এর বিপরীতে চিংড়ি উৎপাদন পৌনে তিন লাখ টনের কম। চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামাল না পাওয়ায় বর্তমানে ৪০টি কারখানা চালু আছে। তার মধ্যে নিয়মিত উৎপাদন করে ২৫-৩০টি কারখানা। সেগুলোও পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন চালাতে পারছে না।
তবে জেলার চিংড়ি রেণুর মান নিয়ন্ত্রণ ও জীবাণু মুক্ত পোনা সহজলভ্য না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ চাষিদের। তাছাড়া উৎপাদিত মাছ রপ্তানিতে এক শ্রেণির অপদ্রব্য মেশানোর ফলে এই শিল্প ধ্বংশের মুখে পড়ছে।
তবে জেলার চিংড়ি রেণুর মান নিয়ন্ত্রণ ও জীবাণু মুক্ত পোনা সহজলভ্য না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ চাষিদের। তাছাড়া উৎপাদিত মাছ রপ্তানিতে এক শ্রেণির অপদ্রব্য মেশানোর ফলে এই শিল্প ধ্বংশের মুখে পড়ছে।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চিংড়িচাষী মোমিনুর রহমান জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা চিংড়ি চাষে বিখ্যাত। এখানে প্রচুর পরিমান চিংড়ি উৎপাদন হয়ে থাকে। প্রতিবছর আমাদের উৎপাদিত মাছ দেশ ও দেশের বাহিরে রপ্তানি হয়। কিন্তু ভাল পোনা না পাওয়ায় আমাদের মত চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন। সেই সাথে চিংড়ি চাষে অব্যবস্থাপনায় ভাইরাসে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এতে একাবারে সর্বশান্ত হয়ে পড়েন চাষিরা।
আশাশুনি উপজেলার মৎস্য চাষি আলিম উদ্দীন জানান, চিংড়ির পোনার দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেই সাথে চিংড়ি চাষের জন্য বিশেষ করে দরকার জোয়ারের পানি। যেহেতু দক্ষিণাঞ্চলে লবন পানির পরিমান বাড়ছে। সে জন্য পানি উঠা নামার জন্য খালগুলো উন্মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি চাষিদের আরো বেশি প্রশিক্ষণ এবং নিরাপদ পোনার ব্যাবস্থা করা হলে এ শিল্পের প্রসার হবে।
সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রব জানান, সাতক্ষীরার উৎপাদিত চিংড়ির চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারগুলোতে। বর্তমানে ২৫-৩০ গ্রেডের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এই শিল্পকে ধরে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, চিংড়ি উৎপাদনের সম্ভবনাময় জেলা সাতক্ষীরা। এ জেলার চিংড়ির চাহিদা রয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬০ হাজার লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের লক্ষে সরকারিভাবে সাতক্ষীরায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এটি কাজ শুরু হবে। তখন চাষিরা চিংড়ির রেণু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবেন এবং চাষের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
আশাশুনি উপজেলার মৎস্য চাষি আলিম উদ্দীন জানান, চিংড়ির পোনার দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেই সাথে চিংড়ি চাষের জন্য বিশেষ করে দরকার জোয়ারের পানি। যেহেতু দক্ষিণাঞ্চলে লবন পানির পরিমান বাড়ছে। সে জন্য পানি উঠা নামার জন্য খালগুলো উন্মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি চাষিদের আরো বেশি প্রশিক্ষণ এবং নিরাপদ পোনার ব্যাবস্থা করা হলে এ শিল্পের প্রসার হবে।
সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রব জানান, সাতক্ষীরার উৎপাদিত চিংড়ির চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারগুলোতে। বর্তমানে ২৫-৩০ গ্রেডের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এই শিল্পকে ধরে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, চিংড়ি উৎপাদনের সম্ভবনাময় জেলা সাতক্ষীরা। এ জেলার চিংড়ির চাহিদা রয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬০ হাজার লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের লক্ষে সরকারিভাবে সাতক্ষীরায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এটি কাজ শুরু হবে। তখন চাষিরা চিংড়ির রেণু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবেন এবং চাষের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।