মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের নাটেশ্বর এলাকায় তালতলা- গৌরগঞ্জ খালের ড্রেজার বসিয়ে মাটি হরিলুট চলছে। সরকারী খাল হতে মাটি কেটে নিয়ে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছে কতিপয় ভূমিদশ্যূ। জড়িমানা ও ড্রেজার পাইপ গুটিয়ে দিয়েও তাদের থামতে পারছেনা স্হানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই খালের নাটেশ্বর গ্রাম এলাকায় খালের মধ্যে খনন যন্ত্র বসিয়ে মাটি কর্তণ চলছে। ৩ জন শ্রমিক এই মাটি খনন কাজ চালাচ্ছে। স্থাণীয়রা বলেন ওই এলাকার নাটেশ্বর গ্রামের আলমগীর ফকির, দেলোয়ার হোসেন, মকবুল হোসেন এই খনন যন্ত্র বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী খালের মাটি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন।
ওই স্থানে কাজ করতে থাকা শ্রমিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খনন যন্ত্রটি মকবুলের। আলমগীর ফকির ও দেলোয়ার হোসেন মকবুলের কাছ হতে ড্রেজার ভাড়া নিয়ে সরকারী এ খালের মাটি বিক্রি করছেন। সে বর্ষা শুরুর পর হতেই ওই খালের বিভিন্ন অংশে এই খনন যন্ত্র বসিয়ে মাটি বিক্রি করছেন। এছাড়াও খালের উপরের অংশের মাটি অবৈধভাবে ইট ভাটায় বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মকবুল হোসেন বলেন, ওই স্থানে মাটি কাটার অনুমতি তাদের রয়েছে। অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছেন।
এ ব্যাপারে আলমগীর ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করিম হাজীর নির্দেশে তিনি স্থানে খনন যন্ত্র বসিয়ে স্থাণীয় একটি বিদ্যালয় মাঠ ভরাট করছেন। তিনি যে স্থান হতে মাটি খনন করছেন। স্থানটি করিম হাজীর ব্যাক্তিগত জমি বলেও দাবী করেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল করিম শেখ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, করিম হাজি মাটি কাটার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। আমি কাউকে কোন স্থান হতে মাটি কাটার নির্দেশ দেয়নি। সেই সাথে তিনি যারা মাটি কাটছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবী করেন।
এর আগেও গত ১ লা নভেম্বর বর্তমানে খনন চলা স্থানের পাশে মালখানগর ইউনিয়নের ফেগুনাসার এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ফেগুনসার মডেল কোল্ডস্টোরেজকে ৩ লাখ টাকা জড়িমানা করে সিরাজদীখান উপজেলা প্রসাশন এবং ড্রেজার পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পাইপ গুড়িয়ে দেওয়ার পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পূনরায় ওই কোল্ডস্টোরেজ কতৃপক্ষ ভাঙ্গা পাইপ জোড়া লাগিয়ে মাটি কর্তন করে।
এ বিষয়ে সিরাজদীখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানা বলেন, ওই খালে মাটি কাটায় এর আগে আমি জরিমানা করেছি। এখন নতুন করে মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
স্থানীয় প্রশাসন অনুষ্ঠানিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও পরর্বতীতে ঐ বিষয় গুলোতে নজর ধারীর আওতায় রাখে না।সে জন্যই স্থানীয় প্রশাসন জরিমানা এবং কিছু পাইব উচ্ছেদ করলেও পরর্বতীতে একি ভাবে চক্র গুলো তাদের অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিং আরো জোরদার হলে এসব অবৈধ কাজ গুলো বন্ধ হবে বলে মনে করে ঐ এলাকায় সুশীল সমাজ।