বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার- ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

প্রচ্ছদ /

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি

হানিফ রুবেলের কবিতা

Add Your Heading Text Here

আমি ও আমার কবিতা

কল্পনাকে পৃথিবীজাত করতে বস্তুগত ভিত্তি অবলম্বন করে এক অমিমাংসীত জগৎতকেই কবিতা বলে জানি। নান্দনিক এ চেতনার রূপসৃষ্টি এক অধরা অনুভূতিকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি অনন্তে …। কিন্তু সেখানেও কাঙিক্ষত বস্তুর রুপান্তর ঘটে যায় বিভিন্ন উপযোগিতার ভেতর। আমার সে কল্পনার বিস্তরনকে আমি সচেতন ভাবে রূপায়িত করে যেতে চাই মানুষের বিচিত্র জীবনচর্যায়।

প্রজাপতি

বিহঙ্গের নির্ভর পাখার মতন তোমাকে বেঁধেছি অটুট আস্থায়,
পথ পরিক্রমার এ নিরুদ্ধেগ ছায়া
মাথায় নিয়েই নির্ভয়ে দরিয়ার রাতগুলো অবসিত হয়ে যায়-
নিমগ্নতার মালঞ্চে ফুটিয়ে ধ্রুবতারার আলো।
অবসাদ জড়ালে, তোমার ঠোঁটে এঁকে দিয়ে গাঢ় চুম্বন-
অপার উল্লাসে সময়ের বুক থেকে মুছে ফেলি পুরনো সকল ক্ষত,
প্রদীপ জ্বালাই ঘন অন্ধকারে- দৃঢ় ভরসায় রাখি চোখ,
প্রত্যাশার প্রতিফলিত রোদে প্রজাপতি হয়ে মাখি তোমার রঙ।

দাহসুর

নদীর দূরাভাস শুনি-মৃদু তরঙ্গের কোমল স্বর বয়ে যাচ্ছে
জল উজিয়ে হাওয়ার কাছে,
আমি জানালা খোলা চোখ রেখে পাহারাদেই রোদ,
যেন ভেজা পাতা থেকে মুছে না যায় জলের সুবাস।
ছায়াছন্ন মেঘের গুঞ্জরন মনে ডেকে আনে তোমার অভাব
দূরাগত সেই সুরসেঁধে প্রতিক্ষাকে মানিয়ে নিয়েছি সহজেই-
মেনেছি তুমি জলঈশ্বরী আমি দাহসুর জলের অভাবী
মগ্নতায় সাজিয়ে এক মুখ, এক জলধারার কথাই নিরিবিলি ভাবি।

উত্তরের জানালা

উত্তরের জানালায় আচ্ছন্ন চোখ রেখে নীরবে
কাটিয়ে দিলাম একটা দীর্ঘজীবন
ভীষণ ব্যর্থ তবুও উন্মুখা আশার বীজ বপন করে
সময়ের তপ্ত বালিরাশির ভেতর
ধূসর গোধূলীতে মিশিনি হতাশায়
সর্মপিত প্রাণকে দ্বীধাহীন প্রবোধে মুড়িয়ে রাখি
প্রচ্ছন্ন আলোর আকাশে অবিচল।
জানি তুমি আসবে সুনিশ্চিত একদিন এ প্রবল আস্থা রেখে বুকে,
তাপিত জীবনে বিরহ ফুটাই আনন্দ বিহ্বল শোকে।

গুঞ্জরন

বলিনি তোমার নাম, তবুও অনেকেই টের পেয়ে যাচ্ছে
আমার নিবিষ্ট সত্তায় জলের চাঞ্চল্য
নির্জন রুপালি হাওয়ার কাছে প্রবল একাকীত্বে
নীরবে কে দোলাচ্ছে সমুজ্জ্বল মুখ বেলা-অবেলায়।
রুপান্তরিত খেয়া গন্তব্যমুখী-উচ্ছল নদী জোয়ারে ভাসবে বলে
যে অপেক্ষায় ছিল, গহন বরষা তাকে দিল প্রাণ প্রবল প্রতাপ
সে নিবির শুদ্ধস্পর্শ আজ জমেছে সময়ে মোড়ানো খামে,
বলিনি তুমিই গুঞ্জরিত সুর যে সত্তাকে আলোড়িত করে নামে।

ইন্দ্রজাল

অপেক্ষা প্রবণ-শুধু একবার ডাক দিলেই
সায়ান্নের সাঁঝে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আসব
নিঃসীম শূন্যতার আকাশ।
প্রেমের স্বরলিপিতে নাগবল্লী
পূষ্পসম্ভারের মাঝখানে বসে
অমেয় ছায়া হয়ে যাবে তোমার নামে।
নিবিষ্ট মনের চৌদিকে
আমার অব্যাক্ত কথা পৃথিবীর রাগমালার
সম্মুখে দাঁড়িয়ে মাথা নুয়ে বলবে
আমার শূন্য পথে এসেছে আরাধ্য সুন্দর।

নিরর্থক সঙ্গীত

বিদায়ের বিষন্ন সুর বাতাসে
তবুও নিরর্থক কিছু গান প্রখর দুপুরকে সন্মোহিত করতে
সোনালুকে ডেকে সাঁঝের মায়ায় জুড়িয়ে দিচ্ছে প্রাতঃসন্ধ্যার গল্প।
আমি দূরে বসে শোনছি মিথ্যার ধারাভাষ্য-
যার গলিত রুপধারার চারপাশে সুর সেধে যাচ্ছে
দীর্ঘশ্বাসের স্বরলিপি নৈরাশ্যের গহনছায়ার
প্রবল দোল ডুকে যাচ্ছে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে,
সময়ের বুকে কান পেতে শোন
কতটা বিষন্ন সুর বাতাসে বাতাসে।

ট্যাগঃ

সম্পর্কিত আরো খবর

জনপ্রিয়