০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নানামুখী সংকটে কর্ণফুলী পেপার মিলস

  • তিনটি মেশিনের মধ্যে একটি সচল, দুটি অচল
  • দিনে উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন
  • নির্বাচনী কাজে ইসির চাহিদা ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ
  • এ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে ৫৩১ মেট্রিক টন
  • কাগজ সরবরাহে এখনও ঘাটতি রয়েছে ৩৮৪ মেট্রিক টন

‘কিছু ত্রুটির কারণে বর্তমানে কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরই এ সমস্যা কেটে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি কাগজ ইসিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে’
– মো. আবুল কাশেম, অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও এমটিএস বিভাগীয় প্রধান, কেপিএমএল
‘দুটি মেশিন বন্ধ থাকলেও একটি মেশিনে পুরোদমে কাগজ উৎপাদন চলছে। আশা করছি- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসি’র চাহিদানুযায়ী সব কাগজ নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা যাবে’
– মো. মইদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন), কেপিএমএল

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে ইসি কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন নির্বাচনে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাহিদা অনুযায়ী কাগজ সরবরাহ করতে পারেনি কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ৯১৫ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে ৫৩১ মেট্রিক টন। তবে এখনও ঘাটতি রয়েছে ৩৮৪ মেট্রিক টন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এসব কাগজ সরবরাহ করার কথা। এরই মধ্যে কয়েক দিন ধরে পানিসহ নানা সংকটে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস্। প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও এমটিএস বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল কাশেম বলছেন, কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে বর্তমানে কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরই এ সমস্যা কেটে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি কাগজ ইসিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এদিকে এ প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. মইদুল ইসলাম বলছেন, কারখানাটির দুটি মেশিন বন্ধ থাকলেও একটি মেশিনে পুরোদমে কাগজ উৎপাদন চলছে। আশা করছি- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসি’র চাহিদানুযায়ী সব কাগজ নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ১১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন তফসিল ঘোষণা করেন। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য কেপিএমএলকে ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের চাহিদাপত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে লক্ষ্যেই কাজ শুরু করে চট্টগ্রামের রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড। কিন্তু এ কাজ শুরুর মাঝপথেই কারিগরি ত্রুটির কারণে ব্যহত হচ্ছে কাগজ উৎপাদন কার্যক্রম। এর ফলে নানামুখী সংকটে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠাটি।
কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) সূত্র জানিয়েছে, প্রাচীন এ কারখানায় তিনটি মেশিন রয়েছে। অনেক পুরনো এসব মেশিনের মধ্যে একটি কোনোভাবে সচল আছে। বাকি দুটি অচল হয়ে রয়েছে। তবে একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদিত হয়। তিন-চার দিন ধরে সচল মেশিনটিতেও রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি সংকটসহ অন্যান্য কারণে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমন বাস্তবতায় ইসি’র চাহিদাপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে।

কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও এমটিএস বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল কাশেম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য কেপিএম’কে ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের চাহিদাপত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চাহিদাপত্র অনুযায়ী আমরা কাগজ তৈরি শুরু করেছি এক মাস আগে থেকে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে কেপিএম থেকে কাগজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে বর্তমানে কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ কারখানায় কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। যা কাপ্তাই লেক থেকে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় লেকের পানির স্তর অনেক কমে গেছে। যেসব পাইপ বসানো আছে সেগুলো দিয়ে পানি আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পাইপলাইন আরও নিচের দিকে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দু’একদিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করে কাগজ উৎপাদনে যাওয়া যাবে।

মো. আবুল কাশেম বলেন, কারখানায় কাগজ উৎপাদন শুরু হলে নির্বাচন কমিশনের চাহিদার বাকি কাগজ উৎপাদন করতে ২০ থেকে ২২ দিন সময় লাগবে। আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন কমিশনকে কাগজ বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মইদুল ইসলাম দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, কারখানার দুটি মেশিন বন্ধ থাকলেও একটি মেশিনে পুরোদমে কাগজ উৎপাদন চলছে। আশা করছি- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসি’র চাহিদানুযায়ী সব কাগজ নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদার ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজের মধ্যে ইতোমধ্যে আমরা ৫৩১ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করেছি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব কাগজ সরবরাহের কথা রয়েছে। অবশিষ্ট ৩৮৪ মেট্রিক টন কাগজ আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে বুঝিয়ে দিতে পারবো। আশা করছি-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারী মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই বাকি কাগজ ইসি’র নিকট সরবরাহ করতে বা বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হবো

এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ইসি সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধিত তফসিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের আপিলের সময় ৫-১১ জানুয়ারি পরিবর্তন করে ৫-৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আপিল নিষ্পত্তির সময় দুদিন বাড়ানো হয়েছে। ১২-১৮ জানুয়ারির পরিবর্তে ১০-১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য আর ১০ দিন সময় রয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হবে।
এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। ১৮ ডিসেম্বর তফসিল সংক্রান্ত ওই প্রজ্ঞাপনে কিছুটা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নানামুখী সংকটে কর্ণফুলী পেপার মিলস

আপডেট সময় : ০৯:০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • তিনটি মেশিনের মধ্যে একটি সচল, দুটি অচল
  • দিনে উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন
  • নির্বাচনী কাজে ইসির চাহিদা ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ
  • এ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে ৫৩১ মেট্রিক টন
  • কাগজ সরবরাহে এখনও ঘাটতি রয়েছে ৩৮৪ মেট্রিক টন

‘কিছু ত্রুটির কারণে বর্তমানে কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরই এ সমস্যা কেটে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি কাগজ ইসিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে’
– মো. আবুল কাশেম, অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও এমটিএস বিভাগীয় প্রধান, কেপিএমএল
‘দুটি মেশিন বন্ধ থাকলেও একটি মেশিনে পুরোদমে কাগজ উৎপাদন চলছে। আশা করছি- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসি’র চাহিদানুযায়ী সব কাগজ নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা যাবে’
– মো. মইদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন), কেপিএমএল

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে ইসি কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন নির্বাচনে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাহিদা অনুযায়ী কাগজ সরবরাহ করতে পারেনি কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ৯১৫ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে ৫৩১ মেট্রিক টন। তবে এখনও ঘাটতি রয়েছে ৩৮৪ মেট্রিক টন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এসব কাগজ সরবরাহ করার কথা। এরই মধ্যে কয়েক দিন ধরে পানিসহ নানা সংকটে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস্। প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও এমটিএস বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল কাশেম বলছেন, কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে বর্তমানে কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরই এ সমস্যা কেটে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি কাগজ ইসিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এদিকে এ প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. মইদুল ইসলাম বলছেন, কারখানাটির দুটি মেশিন বন্ধ থাকলেও একটি মেশিনে পুরোদমে কাগজ উৎপাদন চলছে। আশা করছি- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসি’র চাহিদানুযায়ী সব কাগজ নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ১১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন তফসিল ঘোষণা করেন। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য কেপিএমএলকে ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের চাহিদাপত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে লক্ষ্যেই কাজ শুরু করে চট্টগ্রামের রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড। কিন্তু এ কাজ শুরুর মাঝপথেই কারিগরি ত্রুটির কারণে ব্যহত হচ্ছে কাগজ উৎপাদন কার্যক্রম। এর ফলে নানামুখী সংকটে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠাটি।
কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) সূত্র জানিয়েছে, প্রাচীন এ কারখানায় তিনটি মেশিন রয়েছে। অনেক পুরনো এসব মেশিনের মধ্যে একটি কোনোভাবে সচল আছে। বাকি দুটি অচল হয়ে রয়েছে। তবে একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদিত হয়। তিন-চার দিন ধরে সচল মেশিনটিতেও রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি সংকটসহ অন্যান্য কারণে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমন বাস্তবতায় ইসি’র চাহিদাপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে।

কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও এমটিএস বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল কাশেম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য কেপিএম’কে ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের চাহিদাপত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চাহিদাপত্র অনুযায়ী আমরা কাগজ তৈরি শুরু করেছি এক মাস আগে থেকে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে কেপিএম থেকে কাগজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে বর্তমানে কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ কারখানায় কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। যা কাপ্তাই লেক থেকে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় লেকের পানির স্তর অনেক কমে গেছে। যেসব পাইপ বসানো আছে সেগুলো দিয়ে পানি আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পাইপলাইন আরও নিচের দিকে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দু’একদিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করে কাগজ উৎপাদনে যাওয়া যাবে।

মো. আবুল কাশেম বলেন, কারখানায় কাগজ উৎপাদন শুরু হলে নির্বাচন কমিশনের চাহিদার বাকি কাগজ উৎপাদন করতে ২০ থেকে ২২ দিন সময় লাগবে। আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন কমিশনকে কাগজ বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মইদুল ইসলাম দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, কারখানার দুটি মেশিন বন্ধ থাকলেও একটি মেশিনে পুরোদমে কাগজ উৎপাদন চলছে। আশা করছি- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসি’র চাহিদানুযায়ী সব কাগজ নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদার ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজের মধ্যে ইতোমধ্যে আমরা ৫৩১ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করেছি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব কাগজ সরবরাহের কথা রয়েছে। অবশিষ্ট ৩৮৪ মেট্রিক টন কাগজ আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে বুঝিয়ে দিতে পারবো। আশা করছি-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারী মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই বাকি কাগজ ইসি’র নিকট সরবরাহ করতে বা বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হবো

এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ইসি সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধিত তফসিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের আপিলের সময় ৫-১১ জানুয়ারি পরিবর্তন করে ৫-৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আপিল নিষ্পত্তির সময় দুদিন বাড়ানো হয়েছে। ১২-১৮ জানুয়ারির পরিবর্তে ১০-১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য আর ১০ দিন সময় রয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হবে।
এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। ১৮ ডিসেম্বর তফসিল সংক্রান্ত ওই প্রজ্ঞাপনে কিছুটা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন।