০৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের ভুল চিকিৎসায় শীলা’র মৃত্যু 

কক্সবাজারের বেসরকারি  ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসায় মারা গেলো মহেশখালীর আফসানা হোসেন শীলা নামের প্রসূতি এক তরুণী মা। এমনটি অভিযোগ পরিবারের।
সে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মাষ্টার সোলাইমানের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ খানের স্ত্রী।
আগামী ৬ মে শীলার সম্ভাব্য ডেলিভারির দিন তারিখ ঠিক থাকলেও নিয়মিত চকআপের জন্য  স্বামী ইখতিয়ার স্ত্রী শীলাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডাঃ ও ইউনিয়ন হাসপাতালে চেম্বারকারী নীনা জিহানের কাছে নিয়ে গেলে শীলার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে রক্ত দিতে হবে বলে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শক্রমে ২১ এপ্রিল শহরের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতি  শীলাকে।
ইউনিয়ন হাসপাতালে ঐ রাতে প্রসূতির  ডেলিভারি করতে গিয়ে ডাঃ শাহেদ, নার্স সোমা ও হিমু তার জরায়ু ফুটা করে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন শীলার পরিবার।তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার জরায়ু কেটে ফেলেন বলে এমনটি অভিযোগ করেন শীলার বাবা কক্সবাজার নুনিয়াছড়ার  মোহাম্মদ হোসেন। এসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রথমে আইসিউতে এবং পরে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফসাপোর্টে থাকাকালীন ২৫ এপ্রিল রাতে শীলার মৃত্যু হয়। ২৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও  বাঁচানো গেলো না আফসানা হোসেন শীলাকে।
ফুটফুটে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে এবং শীলার মৃতদেহটি নিয়ে পরিবারে কান্নার রোল থামানো যাচ্ছে না। ইখতিয়ারের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
রোগীর স্বজনরা জানায়, ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসার কারণে আমাদের মেয়ের এই করুণ  মৃত্যু। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই।
 তারা আরও জানান আফসানার ডেলিভারির তারিখ ছিলো ৬ মে।
 আগাম ডেলিভারি করাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা করেছেন ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও এই হাসপাতালে অপারেশনের সময় রোগির পেটে কাঁচি রেখে সেলাই দেয়া হয়।
এদিকে, নিয়ম না মেনে হাসপাতাল পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। বাসা- বাড়ির আদলে করা আবাসিক ভবণে হাসপাতাল করে রাখা হয়নি পাকিং। তাছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পাশাপাশি নানা অনিয়মে চলছে হাসপাতালটি। চলতি বছরে হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর চোখে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। তখন এই হাসপাতালের ছয়টি ইউনিট বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়।
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের ভুল চিকিৎসায় শীলা’র মৃত্যু 

আপডেট সময় : ১১:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
কক্সবাজারের বেসরকারি  ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসায় মারা গেলো মহেশখালীর আফসানা হোসেন শীলা নামের প্রসূতি এক তরুণী মা। এমনটি অভিযোগ পরিবারের।
সে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মাষ্টার সোলাইমানের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ খানের স্ত্রী।
আগামী ৬ মে শীলার সম্ভাব্য ডেলিভারির দিন তারিখ ঠিক থাকলেও নিয়মিত চকআপের জন্য  স্বামী ইখতিয়ার স্ত্রী শীলাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডাঃ ও ইউনিয়ন হাসপাতালে চেম্বারকারী নীনা জিহানের কাছে নিয়ে গেলে শীলার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে রক্ত দিতে হবে বলে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শক্রমে ২১ এপ্রিল শহরের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতি  শীলাকে।
ইউনিয়ন হাসপাতালে ঐ রাতে প্রসূতির  ডেলিভারি করতে গিয়ে ডাঃ শাহেদ, নার্স সোমা ও হিমু তার জরায়ু ফুটা করে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন শীলার পরিবার।তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার জরায়ু কেটে ফেলেন বলে এমনটি অভিযোগ করেন শীলার বাবা কক্সবাজার নুনিয়াছড়ার  মোহাম্মদ হোসেন। এসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রথমে আইসিউতে এবং পরে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফসাপোর্টে থাকাকালীন ২৫ এপ্রিল রাতে শীলার মৃত্যু হয়। ২৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও  বাঁচানো গেলো না আফসানা হোসেন শীলাকে।
ফুটফুটে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে এবং শীলার মৃতদেহটি নিয়ে পরিবারে কান্নার রোল থামানো যাচ্ছে না। ইখতিয়ারের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
রোগীর স্বজনরা জানায়, ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসার কারণে আমাদের মেয়ের এই করুণ  মৃত্যু। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই।
 তারা আরও জানান আফসানার ডেলিভারির তারিখ ছিলো ৬ মে।
 আগাম ডেলিভারি করাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা করেছেন ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও এই হাসপাতালে অপারেশনের সময় রোগির পেটে কাঁচি রেখে সেলাই দেয়া হয়।
এদিকে, নিয়ম না মেনে হাসপাতাল পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। বাসা- বাড়ির আদলে করা আবাসিক ভবণে হাসপাতাল করে রাখা হয়নি পাকিং। তাছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পাশাপাশি নানা অনিয়মে চলছে হাসপাতালটি। চলতি বছরে হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর চোখে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। তখন এই হাসপাতালের ছয়টি ইউনিট বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়।