০১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা শুরু, ভক্তদের ঢল

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রম থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকায় এই রথযাত্রার আয়োজন করেছে।
রথযাত্রা স্বামীবাগ আশ্রম থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর জয়কালী মন্দির, ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, পলাশী মোড় হয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছায়। ৯ দিন পরে ৫ জুলাই বেলা তিনটায় একই পথে উল্টো রথের শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে স্বামীবাগ আশ্রমে আসবে। শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসকন ৯ দিনব্যাপী শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের এ রথযাত্রার আয়োজন করেছে। এ বছর ঢাকাসহ সারা দেশে ইসকনের ১২৮টি মন্দির ও আশ্রমে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ইসকনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সকাল আটটায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। বেলা দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে তিনটায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি গোকুল ভি কে উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। এ ছাড়া ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলি কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রথযাত্রায় টহল দল, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট প্যাট্রল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল টিম, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাদাপোশাকে গোয়েন্দা, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় ইসকনের পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা শুরু, ভক্তদের ঢল

আপডেট সময় : ০৭:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রম থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকায় এই রথযাত্রার আয়োজন করেছে।
রথযাত্রা স্বামীবাগ আশ্রম থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর জয়কালী মন্দির, ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, পলাশী মোড় হয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছায়। ৯ দিন পরে ৫ জুলাই বেলা তিনটায় একই পথে উল্টো রথের শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে স্বামীবাগ আশ্রমে আসবে। শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসকন ৯ দিনব্যাপী শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের এ রথযাত্রার আয়োজন করেছে। এ বছর ঢাকাসহ সারা দেশে ইসকনের ১২৮টি মন্দির ও আশ্রমে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ইসকনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সকাল আটটায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। বেলা দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে তিনটায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি গোকুল ভি কে উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। এ ছাড়া ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলি কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রথযাত্রায় টহল দল, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট প্যাট্রল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল টিম, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাদাপোশাকে গোয়েন্দা, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় ইসকনের পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকেন।