১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাইব্যুনালে হাজির রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চে আরও রয়েছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। বছরের পর বছর কারাগারে থাকা সাবেক এই আইজিপি ইতোমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার শাস্তি হবে কি না, তা ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে নির্ভর করছে। অন্যদিকে, হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড দাবি করা হয়েছে।

রায়কে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর। নিরাপত্তার কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে: উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যেখানে তথ্যসূত্র, জব্দতালিকা ও শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে ৮৪ জনকে।

প্রসিকিউশন যেখানে হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড দাবি করেছে, সেখানে রাজসাক্ষী মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামুনের আইনজীবী তার খালাস চেয়েছেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আশা প্রকাশ করেছেন, শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন।

এমআর/সবা

ট্রাইব্যুনালে হাজির রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন

আপডেট সময় : ১০:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চে আরও রয়েছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। বছরের পর বছর কারাগারে থাকা সাবেক এই আইজিপি ইতোমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার শাস্তি হবে কি না, তা ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে নির্ভর করছে। অন্যদিকে, হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড দাবি করা হয়েছে।

রায়কে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর। নিরাপত্তার কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে: উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যেখানে তথ্যসূত্র, জব্দতালিকা ও শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে ৮৪ জনকে।

প্রসিকিউশন যেখানে হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড দাবি করেছে, সেখানে রাজসাক্ষী মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামুনের আইনজীবী তার খালাস চেয়েছেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আশা প্রকাশ করেছেন, শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন।

এমআর/সবা