০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা জেএসডির

দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডি আজ সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডি এককভাবে অংশগ্রহণ করবে—এমন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

লিখিত বক্তব্যের শুরুতে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,
“জেএসডি দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার এবং একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংকটময় রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জেএসডি আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

সভাপতির বক্তব্যে তানিয়া রব বলেন,
“বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি সমঝোতার রাজনীতি এবং ঘোষিত রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রত্যাশিত সম্মান ও নিষ্ঠা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া আরও জটিল ও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।”

জেএসডির দুই দফা প্রস্তাব

সংবাদ সম্মেলনে ভোটাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে জেএসডির পক্ষ থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়—

১. নবতর রাজনৈতিক শক্তি গঠন:
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জন-সার্বভৌমত্বের ধারাকে ধারণ করে এমন একটি নবতর রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে, যা প্রচলিত ক্ষমতা কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। এর লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন, বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং রাষ্ট্রের গুণগত রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠা।

২. নির্বাচনী কৌশল:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডি ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র রূপান্তরের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে মেরুকরণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম, নূরুল আমিন, মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সামছুল আলম নিক্সনসহ মোশারেফ হোসেন মন্টু, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আবদুল মান্নান মুন্সি, কামরুল আহসান অপু, ফারজানা দিবা, আনিসা রত্না, তাবাসসুম মৌ, মোহাম্মদ মোস্তাক প্রমুখ।

শু/সবা

আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা জেএসডির

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডি আজ সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডি এককভাবে অংশগ্রহণ করবে—এমন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

লিখিত বক্তব্যের শুরুতে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,
“জেএসডি দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার এবং একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংকটময় রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জেএসডি আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

সভাপতির বক্তব্যে তানিয়া রব বলেন,
“বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি সমঝোতার রাজনীতি এবং ঘোষিত রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রত্যাশিত সম্মান ও নিষ্ঠা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া আরও জটিল ও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।”

জেএসডির দুই দফা প্রস্তাব

সংবাদ সম্মেলনে ভোটাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে জেএসডির পক্ষ থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়—

১. নবতর রাজনৈতিক শক্তি গঠন:
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জন-সার্বভৌমত্বের ধারাকে ধারণ করে এমন একটি নবতর রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে, যা প্রচলিত ক্ষমতা কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। এর লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন, বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং রাষ্ট্রের গুণগত রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রতিষ্ঠা।

২. নির্বাচনী কৌশল:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডি ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র রূপান্তরের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে মেরুকরণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম, নূরুল আমিন, মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সামছুল আলম নিক্সনসহ মোশারেফ হোসেন মন্টু, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আবদুল মান্নান মুন্সি, কামরুল আহসান অপু, ফারজানা দিবা, আনিসা রত্না, তাবাসসুম মৌ, মোহাম্মদ মোস্তাক প্রমুখ।

শু/সবা