০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় আগাম টমেটো চাষে রেজাউলের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন

আলমগীর হোসেন,বগুড়া
আগাম টমেটো চাষ করে রেজাউলের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখা দিয়েছে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মানুষের কাছে আগাম টমেটো চাষ যেন এখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন। বর্ষা শেষে শত প্রতিকূলতার বাধাকে অতিক্রম করে শীতের আগমনীতে বাজারজাত করে অতিরিক্ত দাম পাওয়ার আশায় আগাম টমেটো চাষ যেন এই নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকদের লালিত
স্বপ্ন। সারাদেশে এই আগাম টমেটোর কদরও রয়েছে বেশ। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে কৃষকরা। হারিয়ে ফেলে নিজেদের সর্বস্ব মুলধন। তারপরও অতি লাভের আশায় আগাম টমেটো চাষকে সাদরে বরণ করে নিচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা। উপজেলার ভাটগ্রাম, চাকলমা, বাদলাষন, সহ বেশ কিছু উইনিয়নে আগাম টমেটো চাষ করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে প্লাস্টিকের কালো কাগজে মোড়ানো টমেটো ক্ষেত গুলোতে ঢুকে দেখা যায়। মালচিং পদ্ধতিতে সারি সারি গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে টমেটো। প্রতিটি গাছের মাঝখানে দুই ফিটের দুরুত্ব। একটু এদিক-সেদিকও নয় সব কিছু যেন এক সমান। আবার প্রতিটি গাছ মাটি থেকে চার থেকে পাঁচ ফিট উচু। এই যেন চাষিদের হাতে বুনা কারু কাজ।
ভাটগ্রামের আব্দুল  গফুর বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছি আর কিছুদিন পর টমেটো তুলবো । আগাম জাতের এই টমেটো তুলে অনেক টাকা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি। বাদলাষন গ্রামের কৃষক রেজাউল বলেন, আমি ২৫ শতক জমিতে দুই মাস আগে সফল জাতের ১হাজার চারা রোপন করি। ২৫শতক জমিতে এপ্রর্যন্ত আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এখন প্রতিটি গাছে ১৪০-১৫০ পিচ করে টমেটো ধরা পরেছে। এখন বাজারে ১৫০ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রয় হচ্ছে।আর ১সপ্তাহ পর টমেটো তোলা শুরু হবে।যেভাবে
টমেটো ধরেছে ২৫ শতক জমি থেকে শেষ প্রর্যন্ত ২৫০ মন টমেটো তুলতে পারবো। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দেয় ২৫ শতক জমি থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার আগাম জাতের টমেটো বিক্রয় করতে পারবো।
 নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজিউল হক জানান, উপজেলার কৃষকরা টমেটো চাষে বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা বশে সাফল্য এনেছেন। এই উপজেলার কৃষকরা আগাম টমেটো চাষের প্রতি দিনদিন চাষিরা ঝঁকছেন। আমাদের কৃষি অফিস থেকে চাষিদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ, সার সহ নানা কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কৃষকদের টমেটো চাষের জন্য সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ায় আগাম টমেটো চাষে রেজাউলের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
আলমগীর হোসেন,বগুড়া
আগাম টমেটো চাষ করে রেজাউলের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখা দিয়েছে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মানুষের কাছে আগাম টমেটো চাষ যেন এখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন। বর্ষা শেষে শত প্রতিকূলতার বাধাকে অতিক্রম করে শীতের আগমনীতে বাজারজাত করে অতিরিক্ত দাম পাওয়ার আশায় আগাম টমেটো চাষ যেন এই নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকদের লালিত
স্বপ্ন। সারাদেশে এই আগাম টমেটোর কদরও রয়েছে বেশ। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে কৃষকরা। হারিয়ে ফেলে নিজেদের সর্বস্ব মুলধন। তারপরও অতি লাভের আশায় আগাম টমেটো চাষকে সাদরে বরণ করে নিচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা। উপজেলার ভাটগ্রাম, চাকলমা, বাদলাষন, সহ বেশ কিছু উইনিয়নে আগাম টমেটো চাষ করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে প্লাস্টিকের কালো কাগজে মোড়ানো টমেটো ক্ষেত গুলোতে ঢুকে দেখা যায়। মালচিং পদ্ধতিতে সারি সারি গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে টমেটো। প্রতিটি গাছের মাঝখানে দুই ফিটের দুরুত্ব। একটু এদিক-সেদিকও নয় সব কিছু যেন এক সমান। আবার প্রতিটি গাছ মাটি থেকে চার থেকে পাঁচ ফিট উচু। এই যেন চাষিদের হাতে বুনা কারু কাজ।
ভাটগ্রামের আব্দুল  গফুর বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছি আর কিছুদিন পর টমেটো তুলবো । আগাম জাতের এই টমেটো তুলে অনেক টাকা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি। বাদলাষন গ্রামের কৃষক রেজাউল বলেন, আমি ২৫ শতক জমিতে দুই মাস আগে সফল জাতের ১হাজার চারা রোপন করি। ২৫শতক জমিতে এপ্রর্যন্ত আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এখন প্রতিটি গাছে ১৪০-১৫০ পিচ করে টমেটো ধরা পরেছে। এখন বাজারে ১৫০ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রয় হচ্ছে।আর ১সপ্তাহ পর টমেটো তোলা শুরু হবে।যেভাবে
টমেটো ধরেছে ২৫ শতক জমি থেকে শেষ প্রর্যন্ত ২৫০ মন টমেটো তুলতে পারবো। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দেয় ২৫ শতক জমি থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার আগাম জাতের টমেটো বিক্রয় করতে পারবো।
 নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজিউল হক জানান, উপজেলার কৃষকরা টমেটো চাষে বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা বশে সাফল্য এনেছেন। এই উপজেলার কৃষকরা আগাম টমেটো চাষের প্রতি দিনদিন চাষিরা ঝঁকছেন। আমাদের কৃষি অফিস থেকে চাষিদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ, সার সহ নানা কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কৃষকদের টমেটো চাষের জন্য সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।