০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুষ্টি সমৃদ্ধ যেসব সবজির খোসা

আমরা সাধারণত সবজির খোসা ফেলে রান্না করি। কিছু সবজির খোসা খাওয়া যায় না। এ ধারণা থেকে আমরা সব সবজির খোসা ফেলে দেই। কিন্তু প্রায় সবজির খোসাতে থাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ। পুষ্টিবিদরা জানান, কিছু সবজির খোসা না ফেলে রান্না করা প্রয়োজন। এতে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়।

বাসায় রান্নার সময় আমরা সবজির খোসা ফেলে দিয়ে রান্না করি। এবার সেসব সবজির খোসায় পুষ্টি আছে তা আমরা জেনে নিব। কিছু সবজি খোসাসহ রান্না করলে স্বাদে পরিবর্তন হয় না বরং তাতে মিলবে পর্যাপ্ত পুষ্টি। যেসব সবজির খোসায় সহজেই পাওয়া যায় এমন পুষ্টিকর সবজির তালিকা দেখে নিন।

এক. আলু
আলুর একেবারে খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। আলুর খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি। এজন্য আলু দিয়ে সবজি রান্না বা যে কোন খাবার তৈরি করার সময় খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। আলুর খোসাসহ খেলে বাড়তি পুষ্টির যোগান হবে। আর দেরি নয়। আলু দিয়ে তৈরি করুন সুস্বাদু সব রকমের খাবার।

দুই. টমেটো
টমেটো দিয়ে তৈরি হয় সালাদ, স্যুপ, চাটনিসহ অনেক রকমের খাবার। টমেটো কাঁচা এবং রান্না করেও খাওয়া যায়। টমেটোর খোসায় থাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির দারুণ উপকরণ। তাই খোসা ফেলার কোন প্রয়োজন নেই। এজন্য টমেটো দিয়ে যে কোন খাবার তৈরি করতে খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিবে না।

তিন. শসা
সালাদ তৈরিতে আমরা শসা ব্যবহার করি। কয়েক ধরনের শশা বা কেয়ার বাজারে পাওয়া যায়। এটি তরকারি হিসেবেও রান্না করার প্রচলন আছে। তবে যে পক্রিয়াই খান না কেন এতে শসার খোসা ফেলবার প্রয়োজন নেই। শশার খোসায় থাকে সিলিকা নামক উপকারী উপাদান। এই উপাদান ত্বকের পুষ্টির জন্য খুব কার্যকরী। ত্বককে করে তোলে মসৃণ। এজন্য খোসাসহ শশা খেতে পারেন।

চার. গাজর
দেখতে প্রায় কমলা রঙের। গাজর কাঁচাও খাওয়া যায়। রান্না করলেও পাওয়া যায় এর ভিন্ন স্বাদ। গাজর দিয়ে সবজি বেশ সুস্বাদু হয়। গজরে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। তাই গাজরের খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন হয় না। ভালোভাবে পরিস্কার করলে খোসাসহ খাওয়া যাবে। গাজর দিয়ে তৈরি হয় সালাদ, হালুয়া, লাড্ডুসহ মজাদার অনেক খাবার।

পাঁচ. বেগুন
বেগুন সবজিকে আমরা হালকা আগুনে পুড়িয়ে তারপর খোসা ফেলে ভর্তা তৈরি করি। আমরা অনেকেই বেগুনকে উপকারী মনে করি না। অথচ বেগুনের খোসার যে রঙ তা আসে এক ধরনের নাসুনিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে। বেগুনের এ উপাদানটি স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও বেগুনের খোসায় আরও আছে ক্লোরোজেনিক এসিড এতে ফাইটোক্যামিক্যাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী
উপাদান রয়েছে। বেগুনের খোসাসহ রান্না ও নানান রকমের খাবার তৈরি করা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

পুষ্টি সমৃদ্ধ যেসব সবজির খোসা

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

আমরা সাধারণত সবজির খোসা ফেলে রান্না করি। কিছু সবজির খোসা খাওয়া যায় না। এ ধারণা থেকে আমরা সব সবজির খোসা ফেলে দেই। কিন্তু প্রায় সবজির খোসাতে থাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ। পুষ্টিবিদরা জানান, কিছু সবজির খোসা না ফেলে রান্না করা প্রয়োজন। এতে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়।

বাসায় রান্নার সময় আমরা সবজির খোসা ফেলে দিয়ে রান্না করি। এবার সেসব সবজির খোসায় পুষ্টি আছে তা আমরা জেনে নিব। কিছু সবজি খোসাসহ রান্না করলে স্বাদে পরিবর্তন হয় না বরং তাতে মিলবে পর্যাপ্ত পুষ্টি। যেসব সবজির খোসায় সহজেই পাওয়া যায় এমন পুষ্টিকর সবজির তালিকা দেখে নিন।

এক. আলু
আলুর একেবারে খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। আলুর খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি। এজন্য আলু দিয়ে সবজি রান্না বা যে কোন খাবার তৈরি করার সময় খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। আলুর খোসাসহ খেলে বাড়তি পুষ্টির যোগান হবে। আর দেরি নয়। আলু দিয়ে তৈরি করুন সুস্বাদু সব রকমের খাবার।

দুই. টমেটো
টমেটো দিয়ে তৈরি হয় সালাদ, স্যুপ, চাটনিসহ অনেক রকমের খাবার। টমেটো কাঁচা এবং রান্না করেও খাওয়া যায়। টমেটোর খোসায় থাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির দারুণ উপকরণ। তাই খোসা ফেলার কোন প্রয়োজন নেই। এজন্য টমেটো দিয়ে যে কোন খাবার তৈরি করতে খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিবে না।

তিন. শসা
সালাদ তৈরিতে আমরা শসা ব্যবহার করি। কয়েক ধরনের শশা বা কেয়ার বাজারে পাওয়া যায়। এটি তরকারি হিসেবেও রান্না করার প্রচলন আছে। তবে যে পক্রিয়াই খান না কেন এতে শসার খোসা ফেলবার প্রয়োজন নেই। শশার খোসায় থাকে সিলিকা নামক উপকারী উপাদান। এই উপাদান ত্বকের পুষ্টির জন্য খুব কার্যকরী। ত্বককে করে তোলে মসৃণ। এজন্য খোসাসহ শশা খেতে পারেন।

চার. গাজর
দেখতে প্রায় কমলা রঙের। গাজর কাঁচাও খাওয়া যায়। রান্না করলেও পাওয়া যায় এর ভিন্ন স্বাদ। গাজর দিয়ে সবজি বেশ সুস্বাদু হয়। গজরে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। তাই গাজরের খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন হয় না। ভালোভাবে পরিস্কার করলে খোসাসহ খাওয়া যাবে। গাজর দিয়ে তৈরি হয় সালাদ, হালুয়া, লাড্ডুসহ মজাদার অনেক খাবার।

পাঁচ. বেগুন
বেগুন সবজিকে আমরা হালকা আগুনে পুড়িয়ে তারপর খোসা ফেলে ভর্তা তৈরি করি। আমরা অনেকেই বেগুনকে উপকারী মনে করি না। অথচ বেগুনের খোসার যে রঙ তা আসে এক ধরনের নাসুনিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে। বেগুনের এ উপাদানটি স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও বেগুনের খোসায় আরও আছে ক্লোরোজেনিক এসিড এতে ফাইটোক্যামিক্যাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী
উপাদান রয়েছে। বেগুনের খোসাসহ রান্না ও নানান রকমের খাবার তৈরি করা যায়।