ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের না যাওয়ার হুমকি ও বাড়িঘড়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের সীমান্ত এলাকার একটি গ্রামে। এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এঅবস্থায় টহল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এঘটনায় ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধো ইসলামপুর গ্রামে ৬ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১১টায়।
একাধিক সুত্র জানায়,স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রধানের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি দল ৬ ডিসেম্বর শনিবার রাত আনুমানিক ১১টা ওই এলাকায় যায় ও ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে নিষেধ করে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা বেশ কয়েকটি বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তার স্বার্থে পাটগ্রাম থানা পুলিশের সহযোগিতা চায়। খবর পেয়ে একজন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রের নেতৃত্ব পুলিশ বিজিবি ও আনসার এর মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ ঘটনার বিষয়ে সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে আলীগ নেতা কেনইবা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অপরগতা প্রকাশ করন।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা মিলে সংসদীয় আসন -১ গঠিত।
জাতীয় সংসদের ৭ ডিসেম্ববর ভোটে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান এর বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলায়।ওপরদিকে আওয়ামিলীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহার হোসেন(এমপি)এর বাড়ি হাতীবান্ধা উপজেলায়। নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতামুলক নির্বাচন হবে।এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মোতাহার হোসেন এর সমর্থক শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রধান।
ওই উপজেলায় ঈগলের ভোট বেশি থাকার শংকায় তিনি এঘটনা ঘটিয়েছেন।
তবে এসব ব্যাপারে উভয় প্রার্থীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা রিসিভ করেননি।এবিষয়ে আগামীকালের নির্বাচনে ভোটাররা স্বাভাবিক ভাবে ভোট দিতে পারবেন কি-না তানিয়ে না-না উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বেড়েই চলছে।




















