০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে একটি স্বতন্ত্র,দু-টি নৌকার বিজয়ী

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের ৩ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দু’টিতে নৌকা প্রার্থী বিজয়ী হলেও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের যে ৬টি থানা নিয়ে সংসদীয় ৩টি আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
শ্রীনগর-সিরাজদিখান(মুন্সিগঞ্জ-১ আসন)
লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি(মুন্সিগঞ্জ-২ আসন),
গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সদর -(মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন)
এর মধ্যে ১৭১ মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের ১৭০ টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে বেরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ট্র্যাক প্রতীকে পেয়েছেন – ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট। তাছাড়া অন্য অন্য তৃণমূল বিএনপি সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে অন্তরা সেলিনা হুদা  ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়েছে, আতা উল্লাহ বট গাছ ২ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছে, দোয়ার আক্তার আম প্রতিকে পেয়েছে ২৯৯ ভোট, নুরজাহান বেগম রিতা ডাব প্রতীকে পেয়েছে ৮৭ ভোট, মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৩, লতিফ সরকার একতারা ৩ হাজার ২০২, শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম লাঙ্গল ৪৭০ ভোট পেয়েছে।
১৭২ মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ১৩০ টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ৭১ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচীত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট ।
১৭৩ মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনটি গজারিয়া ও মুন্সিগঞ্জ সদর নিয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ পৌর সভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রথম বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাঁচি প্রতীকে বেসরকারি ভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তিনি পেয়েছে ৮৯হাজার ৭০৫ ভোট। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকেট মনোনীত প্রার্থী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং  দুই বারের এমপি এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস তিনি ৮২ হাজার ৮৩৩ পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তাছাড়া অন্য অন্য প্রার্থীর মধ্যে এ এফ এম রফিকউল্লাহ সেলিম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের তিনি ভোট পেয়েছে ২ হাজার ৯৩৬, চৌধুরী ফারিয়া আফরিন কেটলি প্রতিকে ভোট পেয়েছে ৪৯, বাবুল মিয়া চেয়ার ৪৮৫,  মমতাজ সুলতানা টেলিভিশন ৫৪, ওমর ফারুক মোমবাতি ৬২০, আজিম খান ইগল ১৯২, মোহাম্মদ দুলাল হোসেন মন্ডল একতারা ৭৪৩, মো: শাহিন হোসেন ছড়ি ১০৬ ভোট পেয়েছেন।
শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ ১ আসন এ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৮ জন। শ্রীনগর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন ও সিরাজদিখান উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ২১২ জন। এখানে ১৭০টি ভোটকেন্দ্রের ১০৮৫টি ভোটকক্ষে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
লৌহজং ও টংগিবাড়ী উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ ২ আসন এই আসনে ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৫১৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯১৯ জন। লৌহজং উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৫ জন ও টংগিবাড়ী উপজেলায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ১০৮ জন। এখানে ১৩০টি ভোটকেন্দ্রের ৭৮৪টি ভোটকক্ষে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৮২ হাজার ২৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৮জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৪০৬ জন। সদর উপজেলায় ভোটার ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩১৩ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮১ জন। এখানে ১৬৯টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন গজারিয়া -সদর এর নির্বাচনের চিত্র প্রথম থেকেই ছিলো একটু অন্য রকম।এ আসনে হাজার চড়াই উৎরাই ডিঙ্গিয়ে বিজয়ের শেষ হাসি হাসতে হয়েছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব কে।মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন (গজারিয়া-সদর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই বারের এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পাদক তৃতীয়বারের মতো নৌকার হেব্বি ওয়েট প্রার্থী এডভোকেট মিনাল কান্তি দাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লের কাঁচির যাতাকলে পরাজিত।
গজারিয়া উপজেলায় সকাল থেকেই কাঁচির এজেন্ট এবং সমর্থকদের উপর নৌকার চাপ ছিল দৃশ্যমান, কোথাও  কোথাও এজেন্ট ও বাহির করে দেয়া হয়েছিল কাঁচির।তাপরও গজারিয়া উপজেলায় একটি বড় মাপের ভোট পরেছে হাজী ফয়সাল বিপ্লব এর কাঁচি প্রতীকের পক্ষে।
মুন্সিগঞ্জ সদরে ফয়সাল বিপ্লব বরাবর’ই ভালো অবস্থানে ছিল।তবে গজারিয়ায় হাজার চড়াই উৎরাই ডিঙ্গিয়ে বিজয়ের হাসি হাসতে হয়েছে হাজী ফয়সাল বিপ্লব কে।
ফয়সাল বিপ্লব সবুজ বাংলা কে জানায়,সকলের ভালোবাসায় তাদের ভোটে  বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।নানা ভাবে হামলা মামলা দিয়ে তার কর্মীদের হয়রানী করেছে নৌকার পক্ষ।গজারিয়া  এবং মুন্সিগঞ্জ সদর এর সকল কে তার এবং তার বাবা মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিনের সালাম জানায়।
সে সাথে তার যত কর্মীসমর্থক আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা কেউ কারো সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলবেন না।যারা আপনাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে তাদের কে আপনারা ভোটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে দিয়েছেন।সে আরো জানায়, মুন্সিগঞ্জ সদর -গজারিয়ার প্রতেকটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তার সকল কর্মীসমর্থকদের সঙ্গে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন।

মুন্সীগঞ্জে একটি স্বতন্ত্র,দু-টি নৌকার বিজয়ী

আপডেট সময় : ০২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের ৩ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দু’টিতে নৌকা প্রার্থী বিজয়ী হলেও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের যে ৬টি থানা নিয়ে সংসদীয় ৩টি আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
শ্রীনগর-সিরাজদিখান(মুন্সিগঞ্জ-১ আসন)
লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি(মুন্সিগঞ্জ-২ আসন),
গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সদর -(মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন)
এর মধ্যে ১৭১ মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের ১৭০ টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে বেরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ট্র্যাক প্রতীকে পেয়েছেন – ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট। তাছাড়া অন্য অন্য তৃণমূল বিএনপি সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে অন্তরা সেলিনা হুদা  ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়েছে, আতা উল্লাহ বট গাছ ২ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছে, দোয়ার আক্তার আম প্রতিকে পেয়েছে ২৯৯ ভোট, নুরজাহান বেগম রিতা ডাব প্রতীকে পেয়েছে ৮৭ ভোট, মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৩, লতিফ সরকার একতারা ৩ হাজার ২০২, শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম লাঙ্গল ৪৭০ ভোট পেয়েছে।
১৭২ মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ১৩০ টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ৭১ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচীত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট ।
১৭৩ মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনটি গজারিয়া ও মুন্সিগঞ্জ সদর নিয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ পৌর সভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রথম বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাঁচি প্রতীকে বেসরকারি ভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তিনি পেয়েছে ৮৯হাজার ৭০৫ ভোট। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকেট মনোনীত প্রার্থী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং  দুই বারের এমপি এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস তিনি ৮২ হাজার ৮৩৩ পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তাছাড়া অন্য অন্য প্রার্থীর মধ্যে এ এফ এম রফিকউল্লাহ সেলিম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের তিনি ভোট পেয়েছে ২ হাজার ৯৩৬, চৌধুরী ফারিয়া আফরিন কেটলি প্রতিকে ভোট পেয়েছে ৪৯, বাবুল মিয়া চেয়ার ৪৮৫,  মমতাজ সুলতানা টেলিভিশন ৫৪, ওমর ফারুক মোমবাতি ৬২০, আজিম খান ইগল ১৯২, মোহাম্মদ দুলাল হোসেন মন্ডল একতারা ৭৪৩, মো: শাহিন হোসেন ছড়ি ১০৬ ভোট পেয়েছেন।
শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ ১ আসন এ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৮ জন। শ্রীনগর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন ও সিরাজদিখান উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ২১২ জন। এখানে ১৭০টি ভোটকেন্দ্রের ১০৮৫টি ভোটকক্ষে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
লৌহজং ও টংগিবাড়ী উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ ২ আসন এই আসনে ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৫১৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯১৯ জন। লৌহজং উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৫ জন ও টংগিবাড়ী উপজেলায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ১০৮ জন। এখানে ১৩০টি ভোটকেন্দ্রের ৭৮৪টি ভোটকক্ষে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৮২ হাজার ২৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৮জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৪০৬ জন। সদর উপজেলায় ভোটার ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩১৩ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮১ জন। এখানে ১৬৯টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন গজারিয়া -সদর এর নির্বাচনের চিত্র প্রথম থেকেই ছিলো একটু অন্য রকম।এ আসনে হাজার চড়াই উৎরাই ডিঙ্গিয়ে বিজয়ের শেষ হাসি হাসতে হয়েছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব কে।মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন (গজারিয়া-সদর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই বারের এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পাদক তৃতীয়বারের মতো নৌকার হেব্বি ওয়েট প্রার্থী এডভোকেট মিনাল কান্তি দাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লের কাঁচির যাতাকলে পরাজিত।
গজারিয়া উপজেলায় সকাল থেকেই কাঁচির এজেন্ট এবং সমর্থকদের উপর নৌকার চাপ ছিল দৃশ্যমান, কোথাও  কোথাও এজেন্ট ও বাহির করে দেয়া হয়েছিল কাঁচির।তাপরও গজারিয়া উপজেলায় একটি বড় মাপের ভোট পরেছে হাজী ফয়সাল বিপ্লব এর কাঁচি প্রতীকের পক্ষে।
মুন্সিগঞ্জ সদরে ফয়সাল বিপ্লব বরাবর’ই ভালো অবস্থানে ছিল।তবে গজারিয়ায় হাজার চড়াই উৎরাই ডিঙ্গিয়ে বিজয়ের হাসি হাসতে হয়েছে হাজী ফয়সাল বিপ্লব কে।
ফয়সাল বিপ্লব সবুজ বাংলা কে জানায়,সকলের ভালোবাসায় তাদের ভোটে  বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।নানা ভাবে হামলা মামলা দিয়ে তার কর্মীদের হয়রানী করেছে নৌকার পক্ষ।গজারিয়া  এবং মুন্সিগঞ্জ সদর এর সকল কে তার এবং তার বাবা মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিনের সালাম জানায়।
সে সাথে তার যত কর্মীসমর্থক আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা কেউ কারো সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলবেন না।যারা আপনাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে তাদের কে আপনারা ভোটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে দিয়েছেন।সে আরো জানায়, মুন্সিগঞ্জ সদর -গজারিয়ার প্রতেকটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তার সকল কর্মীসমর্থকদের সঙ্গে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন।