পাবনার চাটমোহরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাটে
হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন
আওয়ামীগের সভাপতি নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে নৌকা প্রার্থীর লোকজন প্রায়
১০টি বাড়ী ও দোকানে চাঁদাদাবী করে হামলা ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ
করেছেন গ্রামবাসি। এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-
সমর্থকরা ভয়ে ঘর-বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র পালিছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনা-৩ নির্বাচনী এলাকার চাটমোহর উপজেলার
গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের আমিন, আহসান, ময়নাল, রামচন্দ্রপুর
গ্রামের আমুদ আলীর বাড়িসহ প্রায় ১০টি বাড়ি ও দোকানে হামলা হয়েছে।
এসময় ১০ জন কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আহসান, ময়নাল, আমিন,
আমুদ আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে।
বেশ কয়েকজন ভয়ে বাড়ী ছাড়া হয়েছে। নতুন পাড়া গ্রামের প্রায় ১০ টি
বাড়ীতে এসব হামলার ঘটনা ঘটছে।
আহত আমুদ আলী জানান, আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে রামচন্দ্রপুর মোড়ে ব্যাপক
শারীরিক নির্যাতন করে। নতুন পাড়া ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রায় ২শ ভোটারকে
ভোট দিতে দেয় নাই নুরুল বাহিনী। ভোট পরবর্তীতে আমিনের বাড়ীতে হামলা ও
লুটপাট করে সন্ত্রাসী বাহিনী এসময় আমিন ও আহসান আহত হয়। বেশ কিছু
জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। নতুন গ্রামের বান্টুর ছেলে ময়নাল এর বাড়ীতে
হামলা করে মারধর করে। আহতদের চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা
হয়েছে। সোমবার সকাল ও রবিবার রাতে ময়েজ মাষ্টার, হাসান মাষ্টার, বান্টুসহ
কয়েকটি বাড়ীতে হামলা করে সন্ত্রাসী বাহিনী। আবুল কাশেম ও জিলালসহ
কয়েকজনের দোকানপাট খুলতে দেয় নাই সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক। নৌকা বিজয়ী
হওয়ার খবরের পরপরই তারা এই হামলা লুটপাট করেছে। সোমবার সকালে বেশ
কয়েকজনের কাছে চাঁদাও দাবি করেছে। ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি নুরুল
ইসলাম, কালাম মেম্বর, নুরুলের ছেলে আলম. জাহাঙ্গীর সহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী
হামলা, চাঁদা বাজি, লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হওয়া
লোকজন পুলিশের কছে সহায়তা চাওয়ার সাহস পাচ্ছে না।
চাটমোহর থানার ভারপ্রপাপ্ত কর্মকর্তা সোলম রেজা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ
পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনাই। অভিযোগ পেলে
আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।