পৌষের শেষে এসে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ঘন কুয়াশার ও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় কারনে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।
রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। ফলে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না।বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে। চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল এলাকার জহির আলী (৫০) বলেন, ঠান্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারছিনা। রমনা মডেল ইউনিয়ন শরিফের হাট এলাকার জয়নাল মিয়া (৪০)বলেন, আজ খুব কুয়াশা সেই সাথে ঠান্ডা পরেছে হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করার জন্য যেতে পারছিনা। বাতাসে কাবু করে ফেলছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু দিন আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন শত কম্বল দিয়েছিলো তা মানুষের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নে তা অতি সামান্য । কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।










