১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিইসির নিকট নৌকার প্রার্থী বাদশার অভিযোগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিতকরণ, নির্বাচনি আচরণবিধি ও
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন রাজশাহী-২ আসনের নৌকা প্রতীকের
পরাজিত প্রার্থী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে
হোসেন বাদশা।
৯ জানুয়ারি প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ
দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। প্রধান
নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।
বাদশার অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে রাজশাহী
সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সুনির্দিষ্টভাবে কাঁচি প্রতীকের
প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করেন। ভোটের দিন সকালে গণমাধ্যমের
সামনে আমি সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচারে অংশ
নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কাও প্রকাশ
করি।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির নির্দেশে, সব
ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুবিধাভোগীর কার্ড আটকে রেখে কাঁচি প্রতীকে
ভোট দিতে চাপ প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং
কর্মকর্তার কাছে আমি লিখিতভাবে অভিযোগও করি। নির্বাচনের আগের
রাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজাম-উল আজিমকে এসব তথ্যপ্রমাণের
ভিত্তিতে যৌথবাহিনী আটক করেও নিয়ে যায়। যদিও আর সব ওয়ার্ডে
সেই একই প্রক্রিয়া চলমান থাকে।
বাদশা অভিযোগে আরও বলেন, নির্বাচনের দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজস্ব
বাহিনী প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের ভোটারদের চিহ্নিত করে তাদের
ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করেন। ক্রমাগত হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে
ভোটের দিন ভোটাররা নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে
পারেননি। যার প্রভাব পড়েছে ভোট প্রদানের হারে। রাজশাহী-২ আসনে এ
কারণেই ভোটগ্রহণের হার ২৬ শতাংশের কাছাকাছি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণার পরও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র উন্নয়ন প্রকল্পের
উদ্বোধন অব্যাহত রাখেন, যা শুধু আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয়, গুরুতর অনিয়ম ও
রাষ্ট্রীয় আইনেরও লঙ্ঘন। তাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন
বাদশা উত্থাপিত অভিযোগগুলো যথাযথ তদন্তের আবেদন জানান।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ
শফিকুর রহমান বাদশা ৫৫ হাজার ১৫৬ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম

প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার
৪৬০ ভোট।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিইসির নিকট নৌকার প্রার্থী বাদশার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিতকরণ, নির্বাচনি আচরণবিধি ও
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন রাজশাহী-২ আসনের নৌকা প্রতীকের
পরাজিত প্রার্থী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে
হোসেন বাদশা।
৯ জানুয়ারি প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ
দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। প্রধান
নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।
বাদশার অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে রাজশাহী
সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সুনির্দিষ্টভাবে কাঁচি প্রতীকের
প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করেন। ভোটের দিন সকালে গণমাধ্যমের
সামনে আমি সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচারে অংশ
নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কাও প্রকাশ
করি।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির নির্দেশে, সব
ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুবিধাভোগীর কার্ড আটকে রেখে কাঁচি প্রতীকে
ভোট দিতে চাপ প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং
কর্মকর্তার কাছে আমি লিখিতভাবে অভিযোগও করি। নির্বাচনের আগের
রাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজাম-উল আজিমকে এসব তথ্যপ্রমাণের
ভিত্তিতে যৌথবাহিনী আটক করেও নিয়ে যায়। যদিও আর সব ওয়ার্ডে
সেই একই প্রক্রিয়া চলমান থাকে।
বাদশা অভিযোগে আরও বলেন, নির্বাচনের দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজস্ব
বাহিনী প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের ভোটারদের চিহ্নিত করে তাদের
ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করেন। ক্রমাগত হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে
ভোটের দিন ভোটাররা নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে
পারেননি। যার প্রভাব পড়েছে ভোট প্রদানের হারে। রাজশাহী-২ আসনে এ
কারণেই ভোটগ্রহণের হার ২৬ শতাংশের কাছাকাছি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণার পরও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র উন্নয়ন প্রকল্পের
উদ্বোধন অব্যাহত রাখেন, যা শুধু আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয়, গুরুতর অনিয়ম ও
রাষ্ট্রীয় আইনেরও লঙ্ঘন। তাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন
বাদশা উত্থাপিত অভিযোগগুলো যথাযথ তদন্তের আবেদন জানান।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ
শফিকুর রহমান বাদশা ৫৫ হাজার ১৫৬ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম

প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার
৪৬০ ভোট।