রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে  ডাকাতি করার সময় কাজে বাধা দিলে  পুলিশের ওপর ডাকাতদল হামলা চালায়।  হমলার ঘটনায় জড়িত তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- পটোয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী এলাকার মো. খলিল সরদারের ছেলে ডাকাত সরদার মো. ইসমাইল ওরফে লিটন (৩৮), একই এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মো. হানিফ ওরফে মাস্টার (৪০) এবং নেত্রকোনা জেলার পূর্ব ধলা থানার মো. মোসলেম মিয়ার ছেলে মো. কামরুল মিয়া (২০)। শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর কুর্মিটোলা ঢাকার লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তাররা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করতেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। গত ৩ মার্চ রাতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে তারা ডাকাতি করছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় কনস্টেবল রুহুল আমিন ও সেলিম গুরুত্বর আহত হন। পালানোর সময় অন্য একটি গাড়ির চাপায় ডাকাত রুবেল আহত হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পরদিন শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়। র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ওই ডাকাতির ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ডাকাতদলকে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানায়, ৩ মার্চ দুপুরে ডাকাত সরদার ইসমাইল ও তার সহযোগী হানিফের নেতৃত্বে ৬/৭ জনের ডাকাতদল একটি পিকআপভ্যানে করে ডাকাতির জন্য কেরানিগঞ্জ থেকে শ্রীপুর আসে। বিভিন্ন স্থানে রেকি করার পর ওই সড়কে ডাকাতি শুরু করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।