বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে, যা দলকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় সোমবার (১০ নভেম্বর) লালমনিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাপটানা বাজারে বিশেষ সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে তরুণ, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় এবং সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মিণী এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়লা হাবিব। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুস সালাম। জেলা ও পৌর বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু তার বক্তব্যে বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা এমন এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছি যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পৃথিবীর কোথাও রাতের বেলায় ভোট গ্রহণের ঘটনা দেখা যায়নি। সেদিন মাত্র এক ঘণ্টা ভোট দিতে পেরেছিলাম। আমার বিশ্বাস, আরও আধা ঘণ্টা ভোট চললে রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স ভরার পরও আমাকে হারানো সম্ভব হতো না। জনগণ এখন পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের শক্তি হচ্ছে বিএনপির নতুন ও তরুণ সদস্যরা।” তিনি আরও যোগ করেন, “দলের শক্তি হলো জনগণ এবং নতুন সদস্যরা হবে সেই শক্তির মূল চালিকা শক্তি। আমরা চাই তরুণরা গণতন্ত্র রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখুক।”
নতুন সদস্যরাও তাদের অনুভূতি ও প্রত্যাশা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, তারা দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন এবং দলের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় এই নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান একযোগে চালানো হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ বিএনপির যুব ও শিক্ষার্থী পর্যায়কে আরও সক্রিয় করবে এবং দলের ভবিষ্যত নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
স্থানীয় সূত্র মতে, চলতি মাসের মধ্যে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি অন্তত ৫০০ নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এটি স্থানীয় নেতৃত্বের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দলের স্থায়ী ভিত্তি গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হওয়া অনুষ্ঠানে সকল অংশগ্রহণকারীর প্রতিশ্রুতি ছিল—বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে সফল করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করা এবং দলীয় নীতি ও মূল্যবোধ রক্ষায় অবিচল থাকা।
এমআর/সবা




















