০৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনী-২ আসনে জোটের সমঝোতা, লিয়াকত আলীর পরিবর্তে লড়বেন মঞ্জু

নির্বাচনী সমঝোতার অংশ হিসেবে ফেনী-২ (সদর) আসনটি জোটের শরিক দল এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুর কাছে ছেড়ে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার রাতে জোটগতভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন ফেনী-২ আসনের জামায়াত জোটের প্রার্থী এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আসনটি থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও প্রবীণ নেতা অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় থাকা এই নেতাকে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ফেনী জেলা জামায়াতের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের প্রিয় নেতার পক্ষ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আব্দুল হান্নান এ প্রসঙ্গে বলেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া এ অঞ্চলের একজন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও জনঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সংকটে-আনন্দে সবসময় তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতেন। তাকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে।
তবে দলীয় শৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে এবং সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যের নজির স্থাপন করতেই আমরা এই ত্যাগ স্বীকার করেছি।
ফেনী-২ আসনে এই নতুন মেরুকরণ আসন্ন নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শু/সবা
জনপ্রিয় সংবাদ

ফেনী-২ আসনে জোটের সমঝোতা, লিয়াকত আলীর পরিবর্তে লড়বেন মঞ্জু

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচনী সমঝোতার অংশ হিসেবে ফেনী-২ (সদর) আসনটি জোটের শরিক দল এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুর কাছে ছেড়ে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার রাতে জোটগতভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন ফেনী-২ আসনের জামায়াত জোটের প্রার্থী এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আসনটি থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও প্রবীণ নেতা অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় থাকা এই নেতাকে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ফেনী জেলা জামায়াতের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের প্রিয় নেতার পক্ষ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আব্দুল হান্নান এ প্রসঙ্গে বলেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া এ অঞ্চলের একজন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও জনঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সংকটে-আনন্দে সবসময় তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতেন। তাকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে।
তবে দলীয় শৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে এবং সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যের নজির স্থাপন করতেই আমরা এই ত্যাগ স্বীকার করেছি।
ফেনী-২ আসনে এই নতুন মেরুকরণ আসন্ন নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শু/সবা