০১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের  দাবিতে শিক্ষক সমিতির অবস্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান নেন শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

সোমবার ১৬ (ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

চবির আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংল ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক সমিতির নেতাসহ শিক্ষকরা।

এ সময় আইন বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক এ. বি. এম. আবু নোমান বলেন, আমি আজ ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। সপ্তাহে মাত্র চারটা ক্লাস নিতে হয় আমাকে। আমাদের কোন ক্লাসলোড নেই। তবুও উপাচার্য অন্যায় করে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। তার সাথে উপ-উপাচার্যও জড়িত রয়েছে। তারা এ অন্যায় লাগাতার করেই যাচ্ছে। তাদের পদত্যাগ ছাড়া এ থেকে মুক্তির উপায় নেই।

বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আযম বলেন, বাংলা বিভাগে যেমন একটা অন্ধকার যুগ থাকে, তেমনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন অন্ধকার যুগ চলতেছে। আমাদের বিভাগে নতুন কোন শিক্ষক প্রয়োজন নেই। তাছাড়া, আমাদের বাংলা বিভাগের মতো যে বিভাগে আনিসুজ্জামানের মতো লোকেরা শিক্ষক ছিলেন, সে বিভাগে কীভাবে অন্যায় অনিয়ম করে কম সিজিপিএ দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ হবে? আমাদের বিভাগ খুব ভালোভাবে চলছে। তবুও, উপাচার্য অন্যায়ভাবে নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।

শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচলিত হোক। ১৯৭৩ এর আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চলুক। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সে জায়গা থেকে সরে এসেছে। সেজন্য শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে, অন্যায়ের বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের সকল যৌক্তিক কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দিচ্ছেন। আমরা উপাচার্যকে বোঝানোর জন্য গেলে তিনি কথা পর্যন্ত বলেননি। একপর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন অন্যায় অনিয়মের সাথে জড়িত হয়েছেন। সুতরাং, উপাচার্য উপ-উপাচার্য তাদের নীতি-নৈতিকতা হারিয়েছেন। সুতরাং তাদের অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা করে অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ দেয়ার জন্য উপাচার্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। তিনি আমাদের কোন বক্তব্যও শুনতে চান নি। এমনকি তিনি রাতের আঁধারে উপাচার্যের বাংলোতে নিয়োগবোর্ড বসান। আমরা মনে করছি, উপাচার্য তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। সুতরাং, তার পদত্যাগ ছাড়া বিকল্প নেই। সেজন্য আগামীকলও আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি আগামীকালও চালিয়ে যাব।

এর আগে গত রোববার চবির আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে শিক্ষক সমিতি অবস্থান নিলে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে দিনভর এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা যায় শিক্ষকদের মধ্যে।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষক সমিতির নেতারা নিয়োগ বাতিলের দাবিতে চিঠি দিতে যান উপাচার্যের কার্যালয়ে। এসময় দুপক্ষ চরম বাকবিতণ্ডায় জড়ান। দাবিতে অনড় থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপাচার্য দফতরে অবস্থান নেন অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

পরে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে উপাচার্যের বাংলোতে নিয়োগ বোর্ডের স্থানান্তর করলে সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদত্যাগের একদফা দাবিতে গতকাল সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান নেন এসকল শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে বাংলোতে গিয়ে ভাইভা নেওয়াটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগেও আমরা বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছি। তবে প্রশাসন সেদিকে কর্ণপাত করেনি। অন্যায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আজ যে গর্হিত কাজ উপাচার্য করেছে তা আইনের পরিপন্থি। এ ঘটনায় উপ-উপাচার্যেরও দায় আছে বলে আমরা মনে করি।

এদিন শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে চিঠি দিতে গিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী চিঠি পাঠ করার একপর্যায়ে উপাচার্য উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উপাচার্যপন্থি ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্য দফতরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রশাসনপন্থি শিক্ষকরা কয়েক দফায় উপাচার্য দফতর থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে গতকল সোমবার বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠেয় নিয়োগবোর্ড থেকে চার সদস্যের মধ্যে দুইজন অংশ নিবেন না বলে উপাচার্য বরাবর এক চিঠিতে জানান। এ দুইজন হলেন, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন ড. মহিবুল আজিজ। পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের  দাবিতে শিক্ষক সমিতির অবস্থান

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান নেন শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

সোমবার ১৬ (ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

চবির আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংল ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক সমিতির নেতাসহ শিক্ষকরা।

এ সময় আইন বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক এ. বি. এম. আবু নোমান বলেন, আমি আজ ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। সপ্তাহে মাত্র চারটা ক্লাস নিতে হয় আমাকে। আমাদের কোন ক্লাসলোড নেই। তবুও উপাচার্য অন্যায় করে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। তার সাথে উপ-উপাচার্যও জড়িত রয়েছে। তারা এ অন্যায় লাগাতার করেই যাচ্ছে। তাদের পদত্যাগ ছাড়া এ থেকে মুক্তির উপায় নেই।

বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আযম বলেন, বাংলা বিভাগে যেমন একটা অন্ধকার যুগ থাকে, তেমনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন অন্ধকার যুগ চলতেছে। আমাদের বিভাগে নতুন কোন শিক্ষক প্রয়োজন নেই। তাছাড়া, আমাদের বাংলা বিভাগের মতো যে বিভাগে আনিসুজ্জামানের মতো লোকেরা শিক্ষক ছিলেন, সে বিভাগে কীভাবে অন্যায় অনিয়ম করে কম সিজিপিএ দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ হবে? আমাদের বিভাগ খুব ভালোভাবে চলছে। তবুও, উপাচার্য অন্যায়ভাবে নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।

শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচলিত হোক। ১৯৭৩ এর আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চলুক। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সে জায়গা থেকে সরে এসেছে। সেজন্য শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে, অন্যায়ের বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের সকল যৌক্তিক কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দিচ্ছেন। আমরা উপাচার্যকে বোঝানোর জন্য গেলে তিনি কথা পর্যন্ত বলেননি। একপর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন অন্যায় অনিয়মের সাথে জড়িত হয়েছেন। সুতরাং, উপাচার্য উপ-উপাচার্য তাদের নীতি-নৈতিকতা হারিয়েছেন। সুতরাং তাদের অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা করে অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ দেয়ার জন্য উপাচার্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। তিনি আমাদের কোন বক্তব্যও শুনতে চান নি। এমনকি তিনি রাতের আঁধারে উপাচার্যের বাংলোতে নিয়োগবোর্ড বসান। আমরা মনে করছি, উপাচার্য তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। সুতরাং, তার পদত্যাগ ছাড়া বিকল্প নেই। সেজন্য আগামীকলও আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি আগামীকালও চালিয়ে যাব।

এর আগে গত রোববার চবির আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে শিক্ষক সমিতি অবস্থান নিলে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে দিনভর এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা যায় শিক্ষকদের মধ্যে।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষক সমিতির নেতারা নিয়োগ বাতিলের দাবিতে চিঠি দিতে যান উপাচার্যের কার্যালয়ে। এসময় দুপক্ষ চরম বাকবিতণ্ডায় জড়ান। দাবিতে অনড় থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপাচার্য দফতরে অবস্থান নেন অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

পরে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে উপাচার্যের বাংলোতে নিয়োগ বোর্ডের স্থানান্তর করলে সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদত্যাগের একদফা দাবিতে গতকাল সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান নেন এসকল শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে বাংলোতে গিয়ে ভাইভা নেওয়াটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগেও আমরা বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছি। তবে প্রশাসন সেদিকে কর্ণপাত করেনি। অন্যায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আজ যে গর্হিত কাজ উপাচার্য করেছে তা আইনের পরিপন্থি। এ ঘটনায় উপ-উপাচার্যেরও দায় আছে বলে আমরা মনে করি।

এদিন শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে চিঠি দিতে গিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী চিঠি পাঠ করার একপর্যায়ে উপাচার্য উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উপাচার্যপন্থি ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্য দফতরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রশাসনপন্থি শিক্ষকরা কয়েক দফায় উপাচার্য দফতর থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে গতকল সোমবার বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠেয় নিয়োগবোর্ড থেকে চার সদস্যের মধ্যে দুইজন অংশ নিবেন না বলে উপাচার্য বরাবর এক চিঠিতে জানান। এ দুইজন হলেন, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন ড. মহিবুল আজিজ। পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তারা।