খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, আওয়ামীলীগ গত ৭ জানুয়ারি বিরোধী দল ও মতকে কণ্ঠরোধ করে, জেল-নিপীড়ন চালিয়ে, অবৈধ সাজা দিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সক্ষম হলেও জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে তার সমূচিত জবাব দিয়েছে। দেশপ্রেমিক জনতা কখনো এই সরকারকে মেনে নিবে না। অবিলম্বে এই অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তে বিনা উস্কানীতে বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করছে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী। গত ১০ বছরে ১হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিককে তারা হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি এক বিজিবি সদস্যকে যশোর সীমান্তে বিএসএফ হত্যা করলেও আওয়ামীলীগ সরকার সামান্য প্রতিবাদ করার সাহস করতে পারেনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে বলেন, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সব জিনিসের দাম। মৌসুমী শাক-সব্জী ও ফলমূলের দামও এখন আকাশচুম্বী। সামনে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে পল্টন কালভার্টরোডস্থ সীগাল রেস্টুরেন্টে আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডারের মত সমকামিতার পশ্চিমা অপসংস্কৃতি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে স্বাভাবিক করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশু-কিশোর/কিশোরীদের এমন বিষয়াদি শেখানো হচ্ছে যা এদেশের ধর্মীয় সংস্কৃতিক ও মূল্যবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ভিতরের কন্টেন্ট এমনভাবে রচিত হয়েছে যা আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা নষ্ট করেছে। হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় এখনো অনেক আলেম-উলামা ও রাজনীতিবিদ কারান্তরীণ রয়েছেন। যারা জামিনে আছেন তাদেরও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা সরকারের এমন দমন-নিপীড়নের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আলেম-উলামা সহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশন ২০২৪ এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, উপদেষ্টামলীর সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক- এডভোকেট মিজানুর রহমান, আহমদ আসলাম, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, মাষ্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক এ এস এম খুরশীদ আলম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, সহকারী প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী অর্র্র্থ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, সহকারী দফতর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, সহকারী উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল হাই, নির্বাহী সদস্য- মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা সাঈদ আহমদ, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, মাওলানা আবু হানিফ, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসাইন মোহন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা কাজী ফিরোজুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নেহাল আহমদ, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো: আবুল হোসেন, মুফতি আজিজুল হক সহ মজলিসে শূরার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত উক্ত অধিবেশনে সংগঠনের সারাদেশের কাজের পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়াও ৭টি বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।
স/মিফা


























