০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামেক হাসপাতালের বাথরুমগুলো যেন তেলাপোকার রাজ্য, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক)। এই হাসপাতলে প্রায় প্রতিদিন দক্ষিন ও উত্তরা লের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসে ভালো চিকিৎসা ও সেবা পাওয়ার জন্য। এরইমধ্যে এই হাসপাতালে বিভিন্ন নতুন নতুন চিকিৎসা যন্ত্র ও অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও এখনও হাসপাতালের বেশ কয়েকটি পুরনো ভবন রয়েছে। যা নির্মিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালের দিকে তা এখন বেশ স্যাঁতস্যাঁতে ও অস্বাস্থ্যকর। এরফলে এই ওয়ার্ডগুলো তেলাপোকা, ইঁদুর, টিকটিকিসহ বিভিন্ন পোকার বাস। বিশেষ করে হাসপাতালের বাথরুমগুলো যেন তেলাপোকার অভয়াশ্রম। ফলে সুস্থ হতে এসে হাসপাতালে নানা অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতাসহ রোগী ও স্বজনদের অসচেতনতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

 

 

এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিরা নানা জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। একটি জরিপের তথ্য বলছে, রামেক হাসপাতালের প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগী বাথরুম ব্যবহার শেষে সাবান বা এ জাতীয় জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধৌত করে না। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের ব্যবহারের জন্য ওয়ার্ডের বাথরুমগুলোতে কোনো সাবান বা জীবাণুনাশকের অস্তিত্বও পাওয়া যায় নি। এছাড়া বাথরুম ছিলো অপরিষ্কার ও বিকট গন্ধযুক্ত। যে গন্ধে বাথরুমের বাইরে বেডের রোগী পর্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেক সময় বাথরুমের বাইরেই মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে রোগীদের।

 

করোনাকালীন প্রত্যাহিক জীবনে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস মরণব্যাধি থেকে বাঁচার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলো। নানা বিধিনিষেধ, প্রচার-প্রচারণা ও করোনার নির্মম মৃত্যুর চিত্রে টনক নড়েছিলো সবার। সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো ছিলো বিশেষ নজরদারিতে। সেবাদানকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও জীবাণুনাশক হিসেবে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এখন অনেক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসের বাইরে হাত ধোঁয়ার জায়গাগুলো পতিত ময়লার ভাগাড়।

 

আর সরকারি সেবাদানকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত বাথরুমে সাবান বা জীবাণুনাশকের অস্তিত্ব পাওয়া দুষ্কর! যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাথরুম ব্যবহারের শেষে অবশ্যই সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে। অন্যথায় নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জন্ডিস, ভার্বাল ক্যান্সারসহ নানা ঝুঁকি তৈরি হবে। আর যারা আগে থেকেই রোগাক্রান্ত তাদের জন্য বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। অপারেশনের রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

 

রোগী ও স্বজন জানান, তারা বাথরুম ব্যবহার শেষে সাবান বা এ জাতীয় কোনো কিছু ব্যবহার করেন না। কারণ হাসপাতালের বাথরুমে এ জাতীয় কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। তাই তারা শুধু পানি দিয়েই হাত ধুয়ে নেন। আবার কেউ কেউ বলেন, হাসপাতাল থেকে সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ বা এ জাতীয় উপাদান সরবরাহ করা হয় না, এটা বোঝার পরে নিজেরাই সাবান কিনে এনে ব্যবহার করেন।

 

মনিকা দেবী তার স্বামীকে নিয়ে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট টয়লেটের পাশেই মেঝেতে বসেছিলেন। তিনি জানান, তার স্বামী যে রোগে আক্রান্ত সেটা রোগীর সামনে বলা যাবে না। তবে এই মেঝেতেই তিনদিন ধরে আছেন। সামনের বাথরুমটিই ব্যবহার করেন। আর সত্য বলতে, হাসপাতালে এসে বাথরুমে সাবান পায় নি। একারণে বাথরুম শেষে সাবানও ব্যবহার করা হয় নি।

 

নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে আর্থপেডিক্স সার্জারি ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন বলেন, স্বামীকে নিয়ে ভর্তি আছি প্রায় মাসখানেক। এ সময়ের মধ্যে দিনে একবার করে রুম পরিষ্কার করতে দেখেছি। সাবান কখনো দেখি নি। ভর্তির পর কয়েকদিন সাবান ব্যবহার করতে পারি নি, কারণ হাতের কাছে ছিলো না। বাথরুমগুলো এতো মানুষ ব্যবহার করছে, কিন্তু পরিষ্কার দিনে একবার করা হয়। এতে বিকট গন্ধে অনেক সময় বমি বমি ভাব চলে আসে।

 

হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় ক্যাথ ল্যাবের সামনে বেড না পেয়ে মেঝেতেই শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, যেখানে শুয়ে আছি এই দেয়ালের বিপরীতেই বাথরুম আছে। এখানে এতো দুর্গন্ধ যে বমি চলে আসবে। এতো বিকট গন্ধের মধ্যে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

 

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাসান তারিক বলেন, আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে বাথরুম ব্যবহারের শেষে সাবান দিয়ে অবশ্যই হাত ধোঁয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। অন্যথায় পেটের যে রোগ যেমন: ডায়রিয়া, টাইফয়েড এসব রোগ হবে। এছাড়া জন্ডিসসহ নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে। আর মানুষের মলের জীবাণু সার্জারি বা অপারেশনের রোগীদের ক্ষতস্থানে পৌঁছালে তা বিপজ্জনক হতে পারে। সুতরাং সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, আমাদের হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন-চারগুণ রোগী ভর্তি হয়। এরপর আছে রোগীর অ্যাটেনডেন্স। আর হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ আসে। অধিকাংশ রোগী ও স্বজনদের মাঝে সচেতনতা নেই। তবে আমার জানা মতে, বাথরুমে সাবান দেয়া হয়। সেগুলো হয়তো, রোগীরাই নিয়ে চলে যায়। তারপরও আমি বিষয়টি দেখবো।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, বিষয়টি প্রত্যাহিক জীবনের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেকেই এখনো বিষয়টি নিয়ে সচেতন না। আর সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাবান বা জীবাণুনাশক ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার বিষয়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ রোগীরা সচেতন নয়। অনেকে বাথরুমের সাবানটিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যায়। সুতরাং আমাদের সচেতন হতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নান্দাইলে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ, বিক্ষোভে শিক্ষার্থী–স্থানীয়রা

রামেক হাসপাতালের বাথরুমগুলো যেন তেলাপোকার রাজ্য, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক)। এই হাসপাতলে প্রায় প্রতিদিন দক্ষিন ও উত্তরা লের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসে ভালো চিকিৎসা ও সেবা পাওয়ার জন্য। এরইমধ্যে এই হাসপাতালে বিভিন্ন নতুন নতুন চিকিৎসা যন্ত্র ও অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও এখনও হাসপাতালের বেশ কয়েকটি পুরনো ভবন রয়েছে। যা নির্মিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালের দিকে তা এখন বেশ স্যাঁতস্যাঁতে ও অস্বাস্থ্যকর। এরফলে এই ওয়ার্ডগুলো তেলাপোকা, ইঁদুর, টিকটিকিসহ বিভিন্ন পোকার বাস। বিশেষ করে হাসপাতালের বাথরুমগুলো যেন তেলাপোকার অভয়াশ্রম। ফলে সুস্থ হতে এসে হাসপাতালে নানা অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতাসহ রোগী ও স্বজনদের অসচেতনতায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

 

 

এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিরা নানা জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। একটি জরিপের তথ্য বলছে, রামেক হাসপাতালের প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগী বাথরুম ব্যবহার শেষে সাবান বা এ জাতীয় জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধৌত করে না। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের ব্যবহারের জন্য ওয়ার্ডের বাথরুমগুলোতে কোনো সাবান বা জীবাণুনাশকের অস্তিত্বও পাওয়া যায় নি। এছাড়া বাথরুম ছিলো অপরিষ্কার ও বিকট গন্ধযুক্ত। যে গন্ধে বাথরুমের বাইরে বেডের রোগী পর্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেক সময় বাথরুমের বাইরেই মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে রোগীদের।

 

করোনাকালীন প্রত্যাহিক জীবনে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস মরণব্যাধি থেকে বাঁচার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলো। নানা বিধিনিষেধ, প্রচার-প্রচারণা ও করোনার নির্মম মৃত্যুর চিত্রে টনক নড়েছিলো সবার। সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো ছিলো বিশেষ নজরদারিতে। সেবাদানকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও জীবাণুনাশক হিসেবে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এখন অনেক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসের বাইরে হাত ধোঁয়ার জায়গাগুলো পতিত ময়লার ভাগাড়।

 

আর সরকারি সেবাদানকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত বাথরুমে সাবান বা জীবাণুনাশকের অস্তিত্ব পাওয়া দুষ্কর! যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাথরুম ব্যবহারের শেষে অবশ্যই সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে। অন্যথায় নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জন্ডিস, ভার্বাল ক্যান্সারসহ নানা ঝুঁকি তৈরি হবে। আর যারা আগে থেকেই রোগাক্রান্ত তাদের জন্য বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। অপারেশনের রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

 

রোগী ও স্বজন জানান, তারা বাথরুম ব্যবহার শেষে সাবান বা এ জাতীয় কোনো কিছু ব্যবহার করেন না। কারণ হাসপাতালের বাথরুমে এ জাতীয় কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। তাই তারা শুধু পানি দিয়েই হাত ধুয়ে নেন। আবার কেউ কেউ বলেন, হাসপাতাল থেকে সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ বা এ জাতীয় উপাদান সরবরাহ করা হয় না, এটা বোঝার পরে নিজেরাই সাবান কিনে এনে ব্যবহার করেন।

 

মনিকা দেবী তার স্বামীকে নিয়ে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট টয়লেটের পাশেই মেঝেতে বসেছিলেন। তিনি জানান, তার স্বামী যে রোগে আক্রান্ত সেটা রোগীর সামনে বলা যাবে না। তবে এই মেঝেতেই তিনদিন ধরে আছেন। সামনের বাথরুমটিই ব্যবহার করেন। আর সত্য বলতে, হাসপাতালে এসে বাথরুমে সাবান পায় নি। একারণে বাথরুম শেষে সাবানও ব্যবহার করা হয় নি।

 

নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে আর্থপেডিক্স সার্জারি ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন বলেন, স্বামীকে নিয়ে ভর্তি আছি প্রায় মাসখানেক। এ সময়ের মধ্যে দিনে একবার করে রুম পরিষ্কার করতে দেখেছি। সাবান কখনো দেখি নি। ভর্তির পর কয়েকদিন সাবান ব্যবহার করতে পারি নি, কারণ হাতের কাছে ছিলো না। বাথরুমগুলো এতো মানুষ ব্যবহার করছে, কিন্তু পরিষ্কার দিনে একবার করা হয়। এতে বিকট গন্ধে অনেক সময় বমি বমি ভাব চলে আসে।

 

হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় ক্যাথ ল্যাবের সামনে বেড না পেয়ে মেঝেতেই শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, যেখানে শুয়ে আছি এই দেয়ালের বিপরীতেই বাথরুম আছে। এখানে এতো দুর্গন্ধ যে বমি চলে আসবে। এতো বিকট গন্ধের মধ্যে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

 

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাসান তারিক বলেন, আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে বাথরুম ব্যবহারের শেষে সাবান দিয়ে অবশ্যই হাত ধোঁয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। অন্যথায় পেটের যে রোগ যেমন: ডায়রিয়া, টাইফয়েড এসব রোগ হবে। এছাড়া জন্ডিসসহ নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে। আর মানুষের মলের জীবাণু সার্জারি বা অপারেশনের রোগীদের ক্ষতস্থানে পৌঁছালে তা বিপজ্জনক হতে পারে। সুতরাং সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, আমাদের হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন-চারগুণ রোগী ভর্তি হয়। এরপর আছে রোগীর অ্যাটেনডেন্স। আর হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ আসে। অধিকাংশ রোগী ও স্বজনদের মাঝে সচেতনতা নেই। তবে আমার জানা মতে, বাথরুমে সাবান দেয়া হয়। সেগুলো হয়তো, রোগীরাই নিয়ে চলে যায়। তারপরও আমি বিষয়টি দেখবো।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, বিষয়টি প্রত্যাহিক জীবনের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেকেই এখনো বিষয়টি নিয়ে সচেতন না। আর সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাবান বা জীবাণুনাশক ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার বিষয়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ রোগীরা সচেতন নয়। অনেকে বাথরুমের সাবানটিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যায়। সুতরাং আমাদের সচেতন হতে হবে।