০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শামীম ওসমানের ৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৪০০ কোটির বেশি

আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান এবং তাঁর স্ত্রীর নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে শামীমের ৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৪০০ কোটির বেশি।
সন্দেহজনক লেনদেন ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এই মামলার কথা জানান।
দুদক মহাপরিচালক জানান, সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল মঙ্গলবার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামও একই কার্যালয়ে শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে করেন আরেকটি মামলা। তাদের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের প্রধান ছিলেন দুদক উপপরিচালক রেজাউল করিম।
এজাহারে বলা হয়েছে, শামীম ওসমান এমপি থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানে এসব সম্পদের বৈধ উৎস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর নিজের ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের প্রমাণ রয়েছে দুদকের হাতে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সালমা ওসমান তার স্বামীর সহায়তায় ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামের ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনপূর্বক হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে দুদকের অনুসন্ধানে শামীম ওসমানের ছেলে ও মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়ের বাইরে আরও সম্পদ থাকতে পারে বলে অনুসন্ধান দলের সদস্যদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে ছেলে ইমতিনান ওসমান ও মেয়ে লাবীবা জোহা অঙ্গনার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাদের কাছে।
এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

শামীম ওসমানের ৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৪০০ কোটির বেশি

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান এবং তাঁর স্ত্রীর নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে শামীমের ৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৪০০ কোটির বেশি।
সন্দেহজনক লেনদেন ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এই মামলার কথা জানান।
দুদক মহাপরিচালক জানান, সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল মঙ্গলবার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামও একই কার্যালয়ে শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে করেন আরেকটি মামলা। তাদের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের প্রধান ছিলেন দুদক উপপরিচালক রেজাউল করিম।
এজাহারে বলা হয়েছে, শামীম ওসমান এমপি থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানে এসব সম্পদের বৈধ উৎস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর নিজের ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের প্রমাণ রয়েছে দুদকের হাতে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সালমা ওসমান তার স্বামীর সহায়তায় ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামের ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনপূর্বক হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে দুদকের অনুসন্ধানে শামীম ওসমানের ছেলে ও মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়ের বাইরে আরও সম্পদ থাকতে পারে বলে অনুসন্ধান দলের সদস্যদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে ছেলে ইমতিনান ওসমান ও মেয়ে লাবীবা জোহা অঙ্গনার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাদের কাছে।
এমআর/সবা