০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হল নির্মাণে চাঁদা দাবির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • 70
বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শেখ রেহানা হল নির্মাণ কাজ বন্ধের ব্যবস্থা করার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠে প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসলে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে হিসেবে পানি সরবরাহ, গ্যাস, পয়ঃপ্রণালী ও স্যানিটেশন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো মনিরুজ্জামানকে সভাপতি এবং পূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) প্রকৌশলী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ডালিয়া খাতুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শাখার পূর্তঃনির্মাণ ও সংরক্ষণ বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিল করিয়ে নেওয়া, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা, সিমেন্ট ব্যবহারে অপচয় করা, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সহ নানা অভিযোগ করেন শেখ রেহানা হলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইট প্রকৌশলী মো. আনোয়ার বিন আরাফাত।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ৪ থেকে ৫ টি মিটিং করেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আমরা প্রতিবেদন আকারে তদন্তের সুপারিশ করবো ।
কমিটির সভাপতি মো মনিরুজ্জামান বলেন, ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আল মামুনকে সাইট প্রকৌশলী থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আরাফাত সাইট প্রকৌশলী আল মামুনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে এসেছে তাতে ৩০ লাখ টাকা চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই। তবে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ের তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান বলেন, অভিযুক্তকে সাইট থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইঞ্জিনিয়ার ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার সরিয়ে নতুন ইঞ্জিনিয়ার, সাইট ইঞ্জিনিয়ার দেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে তদন্তের কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিলো এলডিপি ও এনসিপি

হল নির্মাণে চাঁদা দাবির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ১০:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শেখ রেহানা হল নির্মাণ কাজ বন্ধের ব্যবস্থা করার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠে প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসলে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে হিসেবে পানি সরবরাহ, গ্যাস, পয়ঃপ্রণালী ও স্যানিটেশন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো মনিরুজ্জামানকে সভাপতি এবং পূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) প্রকৌশলী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ডালিয়া খাতুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শাখার পূর্তঃনির্মাণ ও সংরক্ষণ বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিল করিয়ে নেওয়া, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা, সিমেন্ট ব্যবহারে অপচয় করা, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সহ নানা অভিযোগ করেন শেখ রেহানা হলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইট প্রকৌশলী মো. আনোয়ার বিন আরাফাত।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ৪ থেকে ৫ টি মিটিং করেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আমরা প্রতিবেদন আকারে তদন্তের সুপারিশ করবো ।
কমিটির সভাপতি মো মনিরুজ্জামান বলেন, ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আল মামুনকে সাইট প্রকৌশলী থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আরাফাত সাইট প্রকৌশলী আল মামুনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে এসেছে তাতে ৩০ লাখ টাকা চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই। তবে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ের তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান বলেন, অভিযুক্তকে সাইট থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইঞ্জিনিয়ার ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার সরিয়ে নতুন ইঞ্জিনিয়ার, সাইট ইঞ্জিনিয়ার দেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে তদন্তের কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করছি।