০১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চসিকের অনুমতি ছাড়া রাস্তা কাটা যাবে না: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ওয়াসা বা অন্যান্য ঠিকাদাররা অনুমতি ছাড়া রাস্তা কেটে জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কোন সড়ক টেন্ডারের আওতায় আছে বা নতুন নির্মাণ হবে, তার তালিকা অনুযায়ী সরাসরি খনন করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া রাস্তা কাটলে চসিক তা বন্ধ করবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমন্বয় সভায় তিনি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, ওয়াসা কাজের আগে প্রতিটি সড়কের ক্ষয়-ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে। অন্যথায় চসিক দায়ভার নেবে না। মেয়র অভিযোগ করেন, ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কারণে নগরীতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রকৌশল বিভাগকে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভাঙা রাস্তা দ্রুত প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে এবং চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি রাস্তার সঙ্গে কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেয়র বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মেডিকেল অফিসার ও প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের মাধ্যমে সচেতনতা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হবে। ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি জানিয়েছেন, নতুন অনুমোদিত ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।

রাজস্ব আদায়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে ব্যবসা করতে হলে সবাই ট্রেড লাইসেন্স নিবে। নগরে থাকা ৪–৫ লাখ ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার আছে। মেয়র বলেছেন, সাইনবোর্ড ও হোল্ডিং ট্যাক্স যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে ‘রাজস্ব সপ্তাহ’ চালু করা হবে।

মেয়র আরও জানিয়েছেন, শিগগিরই ‘আমার চট্টগ্রাম’ অ্যাপস চালু হবে। নাগরিকরা ময়লার অবস্থান, সড়ক গর্ত ও অন্যান্য সমস্যা ছবি তুলে সরাসরি জানাতে পারবেন, যাতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দ্রুত সচল রাখা যায়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এমআর/সবা

চসিকের অনুমতি ছাড়া রাস্তা কাটা যাবে না: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ওয়াসা বা অন্যান্য ঠিকাদাররা অনুমতি ছাড়া রাস্তা কেটে জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কোন সড়ক টেন্ডারের আওতায় আছে বা নতুন নির্মাণ হবে, তার তালিকা অনুযায়ী সরাসরি খনন করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া রাস্তা কাটলে চসিক তা বন্ধ করবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমন্বয় সভায় তিনি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, ওয়াসা কাজের আগে প্রতিটি সড়কের ক্ষয়-ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে। অন্যথায় চসিক দায়ভার নেবে না। মেয়র অভিযোগ করেন, ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কারণে নগরীতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রকৌশল বিভাগকে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভাঙা রাস্তা দ্রুত প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে এবং চলমান উন্নয়নকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি রাস্তার সঙ্গে কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেয়র বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মেডিকেল অফিসার ও প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের মাধ্যমে সচেতনতা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হবে। ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি জানিয়েছেন, নতুন অনুমোদিত ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।

রাজস্ব আদায়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে ব্যবসা করতে হলে সবাই ট্রেড লাইসেন্স নিবে। নগরে থাকা ৪–৫ লাখ ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার আছে। মেয়র বলেছেন, সাইনবোর্ড ও হোল্ডিং ট্যাক্স যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে ‘রাজস্ব সপ্তাহ’ চালু করা হবে।

মেয়র আরও জানিয়েছেন, শিগগিরই ‘আমার চট্টগ্রাম’ অ্যাপস চালু হবে। নাগরিকরা ময়লার অবস্থান, সড়ক গর্ত ও অন্যান্য সমস্যা ছবি তুলে সরাসরি জানাতে পারবেন, যাতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দ্রুত সচল রাখা যায়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এমআর/সবা