শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী তিথিতে চট্টগ্রামে মা দুর্গা পূজিত হয়েছেন দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে। শাস্ত্রে উল্লেখ আছে, এই রূপে দেবী ভক্তদের পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন এবং অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞান প্রদান করেন। নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি হলো মহানবমী।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহানবমীর কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজার পর পূজার্থীরা দেবীদেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। শেষে মহাষ্টমী ব্রত পালনকারীরা পারণ (নৈবেদ্য আস্বাদন) করেন।

পুরাণ মতে, বিভূতি লাভের জন্য নবমী তিথিতে যথাবিধি বলিদান, জপ ও হোম করা উচিত। ষড়ঋপুর প্রতীক হিসেবে যেকোনও ফল কেটে চণ্ডীপাঠ করা হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদেবীর উদ্দেশ্যে আহুতি দেওয়া হয়। এই পূজার ৭টি কল্প বিহিত আছে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনও কল্পে পূজা করা যায়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণানবমী থেকে আশ্বিন মাসের মহানবমী পর্যন্ত যে পূজা করা হয়, তাকে নবম্যাদি কল্প বলা হয়।

চট্টগ্রামের সব মণ্ডপে এই পূজা করা না গেলেও রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ, কৈবল্যধাম সহ পারিবারিক আয়োজনে শাস্ত্রীয় বিধি মেনে ‘মহানবমী’ পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে চট্টগ্রামে মণ্ডপে মণ্ডপে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এবছর চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হলসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত ও ঘট পূজাসহ মোট ২৯২টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় মোট পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২,২০২টি। এর মধ্যে প্রতিমা পূজামণ্ডপের সংখ্যা এক হাজার ৫৮৫টি এবং ঘট পূজার সংখ্যা ৬১৭টি।
এমআর/সবা





















