০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজিরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো অ্যামনেস্টি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া নামক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

এই ঘটনাকে জবাবদিহি এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ঘটনা।

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা অপরিহার্য। এর মধ্যে সুষ্ঠু বিচার এবং যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, বেসামরিক আদালতে বিচার সম্পন্ন করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড থেকে বিরত থাকা অন্তর্ভুক্ত।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ আসামির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে বুধবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

গত ৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩টি পৃথক মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর দুই দিন পর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কর্মরত ১৫ জন কর্মকর্তাকে তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বুধবার এসব কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গেল তিন বছরে ১৫ হাজার টন ই-বর্জ্য আমদানি

সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজিরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো অ্যামনেস্টি

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া নামক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

এই ঘটনাকে জবাবদিহি এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ঘটনা।

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা অপরিহার্য। এর মধ্যে সুষ্ঠু বিচার এবং যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, বেসামরিক আদালতে বিচার সম্পন্ন করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড থেকে বিরত থাকা অন্তর্ভুক্ত।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ আসামির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে বুধবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

গত ৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩টি পৃথক মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর দুই দিন পর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কর্মরত ১৫ জন কর্মকর্তাকে তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বুধবার এসব কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

এমআর/সবা