০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে এনসিপি সভায় উত্তেজনা, সারজিস আলম–ওমর ফারুকের বাকবিতণ্ডা

মানিকগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাংগঠনিক সমন্বয় সভা শেষে প্রেস কনফারেন্স শুরুর আগমুহূর্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় এনসিপির মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ওমর ফারুকের মধ্যে মুখোমুখি তর্কাতর্কি হয়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের সিটি ড্রিম কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভা শেষে মঞ্চে উপস্থিত জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, “এরা দালাল, এরা ছাত্রলীগ ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত।” একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, “এনসিপির প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ক্যাডার! আমরা স্টেকহোল্ডার! উনি জামায়াতের লোক!”

সারজিস আলম পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওমর ফারুককে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি পুনরায় মন্তব্য করলে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারজিস আলম সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “মিডিয়ার সামনে এসব বলা শোভন নয়। জামায়াতের কেউ এনসিপিতে থাকতে পারে কি না—এটা বসে আলোচনা করা যায়।”

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সারজিস আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এনসিপি এখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের সিদ্ধান্ত নেয়নি। জুলাই সনদের সংস্কার বাস্তবায়ন ও জুলাই শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের শর্ত পূরণ হলে—প্রয়োজনে জোট করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হলেও আপত্তি নেই, তবে তার আগে সরকারকে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা এবং দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্বাচন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

প্রতীক প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আইনগত বাধা না থাকলেও ‘শাপলা’ প্রতীকের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা শাপলাই চাই, এই প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করব।”

জুলাই সনদে এনসিপির স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, “সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে তাতে সই করিনি।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন—এনসিপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, মানিকগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার, যুগ্ম সমন্বয়কারী এএইচএম মাহফুজসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিলো এলডিপি ও এনসিপি

মানিকগঞ্জে এনসিপি সভায় উত্তেজনা, সারজিস আলম–ওমর ফারুকের বাকবিতণ্ডা

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

মানিকগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাংগঠনিক সমন্বয় সভা শেষে প্রেস কনফারেন্স শুরুর আগমুহূর্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় এনসিপির মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ওমর ফারুকের মধ্যে মুখোমুখি তর্কাতর্কি হয়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের সিটি ড্রিম কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভা শেষে মঞ্চে উপস্থিত জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, “এরা দালাল, এরা ছাত্রলীগ ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত।” একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, “এনসিপির প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ক্যাডার! আমরা স্টেকহোল্ডার! উনি জামায়াতের লোক!”

সারজিস আলম পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওমর ফারুককে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি পুনরায় মন্তব্য করলে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারজিস আলম সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “মিডিয়ার সামনে এসব বলা শোভন নয়। জামায়াতের কেউ এনসিপিতে থাকতে পারে কি না—এটা বসে আলোচনা করা যায়।”

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সারজিস আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এনসিপি এখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের সিদ্ধান্ত নেয়নি। জুলাই সনদের সংস্কার বাস্তবায়ন ও জুলাই শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের শর্ত পূরণ হলে—প্রয়োজনে জোট করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হলেও আপত্তি নেই, তবে তার আগে সরকারকে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা এবং দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্বাচন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

প্রতীক প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আইনগত বাধা না থাকলেও ‘শাপলা’ প্রতীকের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা শাপলাই চাই, এই প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করব।”

জুলাই সনদে এনসিপির স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, “সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে তাতে সই করিনি।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন—এনসিপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, মানিকগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার, যুগ্ম সমন্বয়কারী এএইচএম মাহফুজসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এমআর/সবা