০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় সিরিজে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের টানা দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একের পর এক জীবন পাওয়া স্বাগতিক ব্যাটাররা দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারলেন না। একাধিক সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়ে টানা দ্বিতীয় পরাজয় স্বীকার করতে হলো লিটন দাসদের।

এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা সাইফ হাসান এই ম্যাচে মাত্র ৫ রান করেই বিদায় নেন। প্রথম উইকেটের পতন ঘটেছে জেসন হোল্ডারের বলে ব্র্যান্ডন কিংকে ক্যাচ দিয়ে। অধিনায়ক লিটন কুমার দাস শুরুটা ভালো করেছিলেন—১৭ বলে ২৩ রান। তবে শেরফান রাদারফোর্ডের ছাড় দেয়া ক্যাচের সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে আকিল হোসেনের আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান।

ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম একপ্রান্ত আগলে রাখতে সক্ষম হলেও বড় সহযোগী ব্যাটার না থাকায় চাপের মধ্যে বড় শট খেলতে গিয়ে ৬১ রান করে আউট হন। জাক ১৭ রানে বিদায় নেন, শামীম ১ রান করে বোল্ড হন, আর তানজিম-সাকিব ও রিশাদ হোসেনও কার্যকরী অবদান রাখতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৪ রানে হার মানে সিরিজ হারায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রোমারিও শেফার্ড ও আকিল হোসেন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। দুটি উইকেট শিকার করেন জেসন হোল্ডার।

বাংলাদেশের ব্যাটিং দায়িত্বহীনতার কারণে সিরিজ জয় থেকে বঞ্চিত হলেও ম্যাচটি সমর্থকদের কাছে এক স্মরণীয় এবং শিক্ষণীয় পরাজয় হিসেবে রইল।

এমআর/সবা

দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় সিরিজে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের টানা দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একের পর এক জীবন পাওয়া স্বাগতিক ব্যাটাররা দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারলেন না। একাধিক সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়ে টানা দ্বিতীয় পরাজয় স্বীকার করতে হলো লিটন দাসদের।

এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা সাইফ হাসান এই ম্যাচে মাত্র ৫ রান করেই বিদায় নেন। প্রথম উইকেটের পতন ঘটেছে জেসন হোল্ডারের বলে ব্র্যান্ডন কিংকে ক্যাচ দিয়ে। অধিনায়ক লিটন কুমার দাস শুরুটা ভালো করেছিলেন—১৭ বলে ২৩ রান। তবে শেরফান রাদারফোর্ডের ছাড় দেয়া ক্যাচের সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে আকিল হোসেনের আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান।

ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম একপ্রান্ত আগলে রাখতে সক্ষম হলেও বড় সহযোগী ব্যাটার না থাকায় চাপের মধ্যে বড় শট খেলতে গিয়ে ৬১ রান করে আউট হন। জাক ১৭ রানে বিদায় নেন, শামীম ১ রান করে বোল্ড হন, আর তানজিম-সাকিব ও রিশাদ হোসেনও কার্যকরী অবদান রাখতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৪ রানে হার মানে সিরিজ হারায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রোমারিও শেফার্ড ও আকিল হোসেন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। দুটি উইকেট শিকার করেন জেসন হোল্ডার।

বাংলাদেশের ব্যাটিং দায়িত্বহীনতার কারণে সিরিজ জয় থেকে বঞ্চিত হলেও ম্যাচটি সমর্থকদের কাছে এক স্মরণীয় এবং শিক্ষণীয় পরাজয় হিসেবে রইল।

এমআর/সবা