রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী-বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় দুই দলের কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে ও বুদ্ধিজীবী চত্বরে শুরু হয়। এসময় বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। অন্যদিকে, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা প্রতিবাদ র্যালি বের করেন।
বিএনপি জামায়াতের সহিংসতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ প্রতিবাদ র্যালি বের করেন। সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে র্্যালিটি শুরু হয়। পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্যারিস রোড হয়ে বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে মিলিত হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, আহত, নিহত, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বলে জানান তারা। এছাড়া আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও ২৮ অক্টোবরের শান্তি সমাবেশে হামলার প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অবস্থান কর্মসূচিও একই সময়ে একই স্থানে শুরু হয়। এসময় বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাখেন। অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা ১৫ মিনিট নীরবতা পালন করেন।
নীরবতা পালন শেষে ফেরামের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এফ নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশে অতর্কিত হামলা করেছে এই স্বৈরাচারী সরকার। ২০০৮ সালে আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া একটা ঘোষণা দিয়েছিলেন, একটা মূলমন্ত্র দিয়েছিল যে, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। তখন আমাদের দলের অনেকেই এই মন্ত্রের অর্থ বুঝতে পারেনি। কিন্তু এখন ২০২৩ সালে এসে সেটার মর্মার্থ বোঝা যাচ্ছে। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। এদেশের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ করছে, এরকম আরও প্রতিবাদ করতে হবে, আরও রক্ত দিতে হবে। এই সরকারের পদত্যাগ করাতেই হবে।
অন্যদিকে প্রতিবাদী র্্যালি শেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন সমাবেশে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের র্্যালিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি সহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান খান(মুক্তা) ‘র সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক সায়েদুর রহমান পান্নু, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হক, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সাহেদ জামানসহ সহযোগী সংগঠনের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

























