০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রাফাহ’র ৬০ শতাংশ এলাকা

➤ যুদ্ধবিরতি হলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তও শান্ত হবে : মার্কিন দূত
➤ পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে : জাতিসংঘ
➤ ইসরায়েলজুড়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
➤ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের রাফাহর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পোক্ত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। প্রায় ৪০ দিন ধরে রাফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এনিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ৩৭ হাজার ৩৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৪৫২ জন। গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বর্তমানে রাফাহর শাবোরা, ব্রাজিল, তাল আস-সুলতান ও ফিলাডেলফি করিডর এলাকায় ‘আভিযানিক নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের সেনারা। রাফাহ অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক সেনা। একই সময়ে প্রায় ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যারও দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বেসামরিক লোকজনের ব্যাপক প্রাণহানি সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেওয়া এই প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছিল। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে কিছু সংযুক্তিসহ নিজেদের জবাব দিয়েছে হামাস। তবে ইসরায়েল বলেছে, প্রস্তাবে কোনো ধরনের পরিবর্তন তারা মেনে নেবে না।

 

যুদ্ধবিরতি হলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তও শান্ত হবে : মার্কিন দূত
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গোলা বিনিময়ের মতো ‘জরুরি’ উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন। বৈরুত সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দূত বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। এটি দ্রুত এবং কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা সবার স্বার্থে জরুরি। হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধ অর্জনযোগ্য। ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে ‘বৃহত্তর যুদ্ধ’ এড়াতে চাইছে। সীমান্তের পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এ কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে লেবাননে প্রেরণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। গাজা যুদ্ধের জেরে সময় সময় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। উভয় পক্ষ বলছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

 

পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে : জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে গাজায় ‘বিবেকহীন মৃত্যু ও দুর্ভোগ চলছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক তৎপরতা এবং জনবহুল এলাকা জিম্মি করে রাখার বিষয় উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। গাজায় সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখে’ তিনি মর্মাহত।

 

ইসরায়েলজুড়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে ইসরায়েলের নাগরিকদের মধ্যে। মাঝে মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত নিন্দা, উদ্বেগ ও চাপের মধ্যে আবারও রাস্তায় নেমেছেন ইসরায়েলিরা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা, সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে পশ্চিম জেরুজালেমে চলছে আন্দোলন। তাদের দমনেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত আট জনকে।গত সোমবার রাতে জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনেও গণবিক্ষোভ হয়েছে। অবিলম্বে নতুন নির্বাচনসহ নানা দাবি আদায়ে এদিন রাস্তায় নেমে আসেন ১০ সহস্রাধিক মানুষ। তাদের দমনে শক্তি প্রয়োগ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এরই মধ্যে তিন জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।ইসরায়েলের সরকারবিরোধীরা সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন শহরে মিছিল সমাবেশ করছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চাই, নেতানিয়াহু পদত্যাগ করুন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুনসহ নানা দাবি সংবলিত প্লাকার্ড, ব্যানার। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ পুরো ইসরায়েলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গাজায় চলমান আগ্রাসন নিয়ে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ আছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে প্রধান মিত্র ও অস্ত্রদাতা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। সেই আগ্রাসন যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারার অভিযোগ তুলছেন খোদ ইসরায়েলের নাগরিকরাই।

 

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহু
যুদ্ধকালীন ছয় সদস্যের মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত রোববার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক-নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলি নেতা এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল তা এখন আর নেই। তাছাড়া যুদ্ধকালীন যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল তাও এখন অপ্রাসঙ্গিক। মন্ত্রিসভায় যারা ছিলেন তাদেরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নেতানিয়াহু যুদ্ধের বিষয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শ চালিয়ে যাবেন। এক সপ্তাহ আগে বেনি গ্যান্টজ ও গাডি আইজেনকোট এই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে গ্যান্টজ বলেছিলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। সে কারণে আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিচ্ছি। এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যার মাধ্যমে এমন একটি সরকার আসবে, যারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রাফাহ’র ৬০ শতাংশ এলাকা

আপডেট সময় : ০৯:০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

➤ যুদ্ধবিরতি হলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তও শান্ত হবে : মার্কিন দূত
➤ পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে : জাতিসংঘ
➤ ইসরায়েলজুড়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
➤ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের রাফাহর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পোক্ত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। প্রায় ৪০ দিন ধরে রাফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এনিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ৩৭ হাজার ৩৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৪৫২ জন। গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বর্তমানে রাফাহর শাবোরা, ব্রাজিল, তাল আস-সুলতান ও ফিলাডেলফি করিডর এলাকায় ‘আভিযানিক নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের সেনারা। রাফাহ অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক সেনা। একই সময়ে প্রায় ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যারও দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বেসামরিক লোকজনের ব্যাপক প্রাণহানি সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেওয়া এই প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছিল। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে কিছু সংযুক্তিসহ নিজেদের জবাব দিয়েছে হামাস। তবে ইসরায়েল বলেছে, প্রস্তাবে কোনো ধরনের পরিবর্তন তারা মেনে নেবে না।

 

যুদ্ধবিরতি হলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তও শান্ত হবে : মার্কিন দূত
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গোলা বিনিময়ের মতো ‘জরুরি’ উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন। বৈরুত সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দূত বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। এটি দ্রুত এবং কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা সবার স্বার্থে জরুরি। হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধ অর্জনযোগ্য। ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে ‘বৃহত্তর যুদ্ধ’ এড়াতে চাইছে। সীমান্তের পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এ কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে লেবাননে প্রেরণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। গাজা যুদ্ধের জেরে সময় সময় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। উভয় পক্ষ বলছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

 

পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে : জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে গাজায় ‘বিবেকহীন মৃত্যু ও দুর্ভোগ চলছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক তৎপরতা এবং জনবহুল এলাকা জিম্মি করে রাখার বিষয় উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে। গাজায় সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখে’ তিনি মর্মাহত।

 

ইসরায়েলজুড়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে ইসরায়েলের নাগরিকদের মধ্যে। মাঝে মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত নিন্দা, উদ্বেগ ও চাপের মধ্যে আবারও রাস্তায় নেমেছেন ইসরায়েলিরা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা, সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে পশ্চিম জেরুজালেমে চলছে আন্দোলন। তাদের দমনেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত আট জনকে।গত সোমবার রাতে জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনেও গণবিক্ষোভ হয়েছে। অবিলম্বে নতুন নির্বাচনসহ নানা দাবি আদায়ে এদিন রাস্তায় নেমে আসেন ১০ সহস্রাধিক মানুষ। তাদের দমনে শক্তি প্রয়োগ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এরই মধ্যে তিন জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।ইসরায়েলের সরকারবিরোধীরা সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন শহরে মিছিল সমাবেশ করছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চাই, নেতানিয়াহু পদত্যাগ করুন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুনসহ নানা দাবি সংবলিত প্লাকার্ড, ব্যানার। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ পুরো ইসরায়েলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গাজায় চলমান আগ্রাসন নিয়ে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ আছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে প্রধান মিত্র ও অস্ত্রদাতা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। সেই আগ্রাসন যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারার অভিযোগ তুলছেন খোদ ইসরায়েলের নাগরিকরাই।

 

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহু
যুদ্ধকালীন ছয় সদস্যের মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত রোববার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক-নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলি নেতা এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল তা এখন আর নেই। তাছাড়া যুদ্ধকালীন যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল তাও এখন অপ্রাসঙ্গিক। মন্ত্রিসভায় যারা ছিলেন তাদেরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নেতানিয়াহু যুদ্ধের বিষয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শ চালিয়ে যাবেন। এক সপ্তাহ আগে বেনি গ্যান্টজ ও গাডি আইজেনকোট এই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে গ্যান্টজ বলেছিলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। সে কারণে আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিচ্ছি। এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যার মাধ্যমে এমন একটি সরকার আসবে, যারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।